লিভার দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর অনেক কাজ রয়েছে আমাদের দেহে।
লিভার প্রধানত কী কাজ করে?
উত্তর : আমরা খাবার বলি বা ওষুধ বলি, যেকোনো কিছু আমরা মুখে গ্রহণ করি, সেগুলো কিন্তু লিভার হয়ে আমাদের রক্তে মিশ্রিত হয়ে, হয় শক্তি তৈরি করে, নয়তো প্রতিদিনের যে ক্ষতি হয়, সেগুলোকে পূর্ণ করে। যখন খাবার গ্রহণ করি, তখন কার্বোহাইড্রেটগুলোকে লিভার জমিয়ে রাখে। যখন আমরা না খেয়ে থাকব, বিশেষ করে রোজার মাসে, তখন কিন্তু গ্লাইকোজেন- যেটা জমিয়ে রেখেছিল, সেগুলোকে খরচ হিসেবে ধরে। লিভার শর্করাকে জমা রাখে। প্রয়োজনে একে ভাঙে। রক্ত যে জমাট বাঁধে, লিভার কোয়াগুলেশন ফ্যাক্টর, এর উপাদানগুলো তৈরি হয়। আরেকটি জিনিস একমাত্র লিভারেই তৈরি হয়, অ্যালবুমিন। এটা আমাদের দেহের জন্য অবশ্যই দরকারি। না হলে আমাদের দেহে পানি চলে আসে। কিডনির কার্যক্ষমতা অনেক সময় লোপ পায়। আরেকটি হলো বিলুরুবিন বা মেটাবোলিজম করা- জন্ডিস যে কারণে হয় আর কি।
লিভার যখন ফেইল করে, তখন কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। পেটে পানি আসে, জন্ডিস হয়। কারো রক্ত আর জমাট বাঁধতে পারে না। যে সমস্ত টক্সিন লিভার পরিশোষিত করত, সেগুলো মস্তিষ্কে চলে যায়। সে অজ্ঞান হয়ে যায়। একপর্যায়ে কোমাতে চলে যায়। মারাও যায়। এগুলো হলো লিভার সিরোসিসের খুব জটিল অবস্থা।
লিভার সিরোসিসের কারণ কী?
প্রশ্ন : লিভার সিরোসিস মানে কী।
উত্তর : লিভার সিরোসিসের আক্ষরিক অর্থ হলো লিভার শক্ত হয়ে যাওয়া। আমরা জানি, লিভার একটি স্পঞ্জি বা নরম একটি অঙ্গ। সুস্থ লোকের দেহে এটি নরম একটি অঙ্গ। কোনো কারণে যদি লিভার শক্ত হয়ে যায়, তাহলে তাকে লিভার সিরোসিস বলে। লিভার সিরোসিসের কারণের মধ্যে আমাদের দেশে হেপাটাইটিস বি ও সি প্রধান কারণ। বর্তমানে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ থেকেও লিভার সিরোসিস হতে পারে। আর পশ্চিমা দেশগুলোতে যেহেতু অ্যালকোহল বা মদ্যপানের আধিক্য বেশি, সেখানে অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ থেকে লিভার সিরোসিস হয়। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো ওষুধ যদি দীর্ঘদিন গ্রহণ করা হয়, সেখানে লিভার ফাইব্রোসিস থেকে লিভার সিরোসিস হতে পারে।
প্রশ্ন : একটি লিভার ক্রমান্বয়ে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। শক্ত হলে ক্ষতি কী।
উত্তর : লিভারের যে কার্যক্ষম অংশ একে পূর্ণ করে ফাইব্রাস টিস্যু। ইট ও এর ভেতরে সিমেন্ট, লোহা এগুলো দিয়েই একটি বিল্ডিংয়ের দেয়াল তৈরি হয়। ইটগুলো যদি লিভারের কোষ হয়, তাহলে তো একটু অনুপাত থাকে। কোনো কারণে যদি লিভারের কোষগুলোকে সরিয়ে দিয়ে, সিমেন্টের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে তো ব্লিডিংয়ের চেহারাটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। বেশি শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু কোষগুলো কমে যাচ্ছে, তখন লিভারের কার্যক্ষমতা সম্ভবতই কমে যাচ্ছে।
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল- dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
ফেসবুক পেইজে লাইক দিন https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall