প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। যে রোগে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিশার। সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়। সমস্যা হল এই যে এই ঘা শুকাতে চায় না সহজে। আবার কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছুদিন পর আবার মল শক্ত হলে একই সমস্যা আবার দেখা দেয়। এই রোগ একজন রোগীর বছরের পর বছর এমনকি ৩০-৪০ বছর থাকতে দেখেছি। এ রোগের উপসর্গের বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। আবার কখন কখন ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। আবার দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। তরুণ ও যুবাদের বেশি হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।
কারণ কিঃ-
এটি হওয়ার জন্য সাধারণত দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কোৎ দেয়া। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়। যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসুপগুলের ভুষি ইত্যাদি। চা কফি বা মদ খাওয়ার সাথে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিশার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত বলে মনে হয়। মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে যে ঘা হয় তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে দেখা যায়।
চিকিৎসা:
হোমিওপ্যাথি যেহেতু লন ভিত্তিক চিকিৎসা তাই রোগীর লক্ষন বুঝে চিকিৎসা করলে রোগী আরোগ্য লাভ করে।কোনো প্রকার অপারেশান এর দরকার হয় না।
উপসর্গ ও লক্ষণঃ-
মলদ্বারে ফিশারের প্রধান লণ হল ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও রক্তরণ। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত মলত্যাগের পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাক্স’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের অব্যবহিত পরেই হয় না, দিনের যে কোনো সময় হতে পারে। পাইলসের জটিলতা যেমন রক্ত জমাট বাঁধা, আলসার বা গ্যাংগ্রীন হলেও মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয় কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে বড় একটি মাংশপিন্ড আছে বলে অভিযোগ করেন। মলদ্বারে সংক্রমণ হলে ফোঁড়া হলে, ফিস্টুলা বা ভগন্দর এবং দুরারোগ্য ক্যান্সারেও ব্যথা হয়। এসব েেত্র রোগের ইতিহাস ও রোগীকে ফিজিক্যাল পরীা করে রোগ সনাক্ত করতে হয়।
ফিশারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্র্রাবের সমস্যায় ভোগেন। অনেকে বহুদিন ধরে প্রস্রাব করতে কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ রোগে মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন যে কোষ্টকাঠিন্যের কারণে এ সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে তবু ব্যথার ভয়ে রোগীরা টয়লেটে যেতে চান না। এভাবে কোনো কোনো রোগী ৫-১০ দিন পর একবার টয়লেটে যান। আবার এরূপ একটি রোগী পেয়েছি যাদের অতিরিক্ত মল আটকে রাখার কারণে মলত্যাগ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে এবং মল চুইয়ে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়। তখন রোগী বলেন যে আমি মল ধরে রাখতে পারছি না। আসলে সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করালে এমনটি হবার কথা নয়।
লেখক পরিচিতি
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
ফেসবুক পেইজে লাইক দিন https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall