ক্রনিক টনসিলাইটিস —অপারেশান ছাড়া চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ


টনসিলের ইনফেকশনকে সাধারণত টনসিলাইটিস বলা হয়। টনসিল হচ্ছে এক ধরনের ফিম্ফনোড বা শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অংশ। এটি দুই থেকে ছয় বছর পর্যন্ত নাক, কান, গলাকে ইনফেকশনে থেকে রক্ষা করে। এর সঙ্গে প্যালেটে, নাকের আশপাশের অংশে আরো লিম্ফনোড থাকে। টনসিলসহ পুরো এই অঞ্চলকে ওয়ালডেয়ার রিং বলা হয়। টনসিলে ভাইরাল ইনফেকশন হলেই টনসিলাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থেকেও 485962_564000286952350_873907604_nইনফেকশন হতে পারে, বিশেষ করে স্ট্রোপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া থেকে। শিশুদের ক্ষেত্রে টনসিলাইটিস ছাড়াও অন্য থ্রোট ইনফেকশন দেখা দেয়। এখানে বলা প্রয়োজন যে আমাদের শরীরের লিম্ফনোডস থাকে যা ইমিউনোগে¬াবিউলিন নির্গত করে শরীরকে রক্ষা করে। টনসিলও এক ধরনের লিম্ফনোড। টনসিলাইটিস দু’ ধরনের হয়-অ্যাকিউট ও ক্রনিক।
অ্যাকিউট টনসিলাইটিসের লক্ষণ:জ্বর, কাঁপুনি, খাবার গিলতে অসুবিধা, অ্যাডেনয়েড গ¬্যানেডের ইনফেকশন হলে নি:শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। শুলে নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে ও ঘুমোতে অসুবিধা হয়।
ক্রনিক টনসিলাইটিসের লক্ষণ: শিশুর ক্রনিক টনসিলাইটিস হলে অ্যাকিউন টন্সিলাইটিসের লক্ষণের সঙ্গে যুক্ত হয় জটিল আরো কিছু উপসর্গ:
০ কোনো জিনিসের গন্ধ পাওয়া যায় না। জোর করে ঘ্রান নিতে গেলে সবকিছুতেই বাজে গন্ধ পাওয়া যায়। একে হ্যালিটোসিস বলে
০ ঘুমোতে খুব অসুবিধা হয়। শিশু ঘুমোতে ভয় পায়। এ সমস্যাকে সমনাবুলিজস বলা হয়
০ নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে
০ অনেক সময় বাচ্চার ঘুমের গড়ন পাল্টে যায়। থুতনি এগিয়ে আসে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে অ্যাভেনয়িভফেসিস
০ মাথা ব্যথা, সোর থ্রোট, কানে ব্যথা
০ ক্লান্তি, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে
০ মুখে অনবরত লালা জমতে থাকে
জটিলতা বৃৃদ্ধিতে টনসিল অপারেশন: টনসিলে ইনফেকশন হলে তা আশপাশে পেরিটনসিল, রেপটোফ্যারানজিয়াল এলাকায় ছড়িয়ে যেতে পারে। এর থেকে পুঁজ জমে ইনফেকশন বেড়ে যেতে পারে
০ ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। ফুসফুস এ সময় ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হার্টে যথাযথ পরিমাণ রক্ত পৌঁছায় না। এতে ফুসফুসে প্রেসার বেড়ে গিয়ে হার্টের ডান ভেনট্রিকাল বড় হয়ে যায়। একে বলা হয় রাইট সাইড হার্ট ফেলিওর। এ জাতীয় সমস্যা হলে ডাক্তার টনসিল অপারেশনের পরামর্শ দেন।
রোগ নির্ণয়: থ্রোট কালচার: সাধারণত থ্রোট কালচার করে দেখে নেয়া হয় যে কোনো ধরনের জীবাণু থেকে ইনফেকশন হয়েছে। সে অনুযায়ী চিকিৎসার ধরন নির্ধারন করা হয়।
এক্স-রে: গলায় ল্যাটারাল এক্স-রে করে দেখা হয় যে অ্যাডেনয়েড ইনফেকশন হয়েছে কি না।
এ্যালপ্যাথি চিকিৎসা: অ্যাকিউট টনসিলাইটিস হলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি গলায় ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল দেয় হয়। ভাইরাল ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার প্রয়োজন নেই। নোজল ড্রপস এবং গার্গেল করার পরামর্শ দেন ডাক্তারগণ। আবার ক্রনিক টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে সাধারণত মনে করা হয় পরপর তিন বছর প্রতিবছর তিন বার তিন দিনের বেশি সমস্যা থাকে তবে টনসিল অপারেশন করাই ভালো।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ-অপারেশান ছাড়াই হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করা সম্ভব।টনসিল যত সিবিয়ার অবস্থাই হোক না কেনো, হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎস্ াকরা সম্ভব।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা টনসিল এর কোনো অপারেশান প্রয়োজন হয় না

 

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

জামান হোমিও হল

চাঁদপুর
01711-943435 //01670908547 ইমু-01919943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

 

Leave a Reply to graciela Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *