সোরিয়াসিস এর একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি

 

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

সোরিয়াসিস এক ধরনের চর্মরোগ।এতে চামড়ার ওপর শুকনো ত জন্মে,তার ওপর কখনো মামড়ি পড়ে। ঐ মামড়ী কখোনো আঁশের মত ভূঁষির মত খসে পড়ে।সব েেত্র 13চুলকানীথাকেনা।হাত.পা.কনুই.হাঁটু.মাথার চুলের নীচে বা দেহের নানা স্থানে হতে পারে।হার্ট, লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপন তো এখন বিশ্বব্যাপীই হচ্ছে। এত আশার মাঝেও দুরাশা ছড়াচ্ছে ত্বকের একটি রোগ, নাম সোরিয়াসিস। ডায়াবেটিসকে যেমন জীবনব্যাপী রোগ বলা হয়, তবে একে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায় সোরিয়াসিসের েেত্র এই একই কথা প্রযোজ্য। তাই জটিল এই রোগকে নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়, অহেতুক ভীতিও নয় বরং দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন নির্বাহ করতে পারলে এর তীব্রতা কমে যায়।
কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে সোরিয়াসিস নির্মূল করা সম্ভব হয়।
কিভাবে বুঝবেন সোরিয়াসিসঃ-এ রোগে চামড়া লাল হয়ে মাছের আঁশের মতো সাদা সাদা হয়ে উঠে যায়। মেডিকেল ভাষায় একে সিলভারি স্কেল বলে। আমাদের দেহে কোষ চামড়ার নিচের স্তর থেকে উপরে আসতে ২৮ দিন সময় নেয়। কিন্তু সোরিয়াসিসের রোগীদের এ কোষ ৪-৫ দিনে উপরে উঠে আসে। ফলে কোষ পরিপূর্ণতা লাভ করে না এবং সিলভারি স্কেল তৈরি করে। সোরিয়াসিসের লিশন বা তস্থানগুলো শুকনো, গোলাকৃতি বা এবড়োথেবড়ো হয়, কিছু কিছু েেত্র এ স্থানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া থাকতে পারে। তবে কখনোই সোরিয়াসিসের রোগীর ত্বক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় না। নখ দিয়ে চুলকালে ওই স্থান থেকে রক্তরণ হয় এবং সোরিয়াসিস বেড়ে যায়। এ রোগীদের কোথাও কেটে বা ছিলে গেলে ওই স্থানে সোরিয়াসিস হতে পারে।
কারা কারা আক্রান্ত হয়ঃ-পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড় নির্বিশেষে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত ২৭ বছরের পর থেকে এটি হতে দেখা যায়। যারা বেশি মানসিক চাপে থাকেন তাদের এ রোগ হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
এটা কোথায় হয়ঃ-images (13)

সাধারণত হাতের কনুই, মাথা ও হাঁটু দিয়ে এ রোগ শুরু হয়। তবে পিঠের নিচের অংশ, বগল, কুঁচকি, চামড়ার ভাঁজেও হতে পারে। অনেকের নখ আক্রান্ত হয়। ফলে নখ মোটা ও হলুদ বর্ণ ধারণ করে। মাথায় হলে স্কাল্পের চামড়া উঠে যায়, যা কপালেও বিস্তার লাভ করে। মনে হয় যেন খুশকি হয়েছে।
কেন হয় ঃ-

সোরিয়াসিসের সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। তবে বংশগতভাবে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একে বলা হয়ে থাকে অটো-ইমিউন ডিজিজ অর্থাৎ আমাদের শরীরে কোনও রোগজীবাণু ঢুকলে দেহের রোগ প্রতিরোধ মতাবলে ওই জীবাণুকে শরীর আক্রমণ করে এবং এন্টিবডি তৈরি করে রোগ ঠেকায় কিন্তু সোরিয়াসিসের রোগীদের দেহ এ রোগের কারণকে চিহ্নিত করতে পারে না, ফলে রোগ ঠেকাতেও পারে না। কিছু কিছু পরিবেশ এটি হতে সাহায্য করে। একাধিক কারণ এ রোগ হওয়ার জন্য দায়ী। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া বা অন্য কোনও জীবাণু দিয়ে হয় না।
সোরিয়াসিস কি শুধু ত্বককেই আক্রমণ করেঃ-images (14)

হ্যাঁ, এটি ত্বকের রোগ। তবে দেহের ছোটবড় জয়েন্টকেও আক্রমণ করতে পারে। তখন তাকে সোরিয়াসিস আর্থ্রােপ্যাথি বলে। এ অবস্থায় জয়েন্ট বিকৃত হয়ে নড়াচড়ায় অসুবিধা হয়। তবে এটি দেহের অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে কখনোই আক্রমণ বা তিগ্রস্ত করে না।
সোরিয়াসিস কি ছোঁয়াচে রোগঃএটি ছোঁয়াচে নয়। এই রোগীর সঙ্গে পাশাপাশি জীবনযাপন করলেও সুস্থ ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার কোনওই সম্ভাবনা নেই। রোগীর থালা-বাসন, কাপড়-চোপড় থেকেও রোগ ছড়ায় না। এ রোগীরা টার জাতীয় শ্যাম্পু, তেল, সাবান ব্যবহার এবং প্রতিদিন গোসল করতে পারবেন।
সোরিয়াসিসে কি কি করবেন না ঃ-

এ রোগীরা গরু ও খাসির মাংস খেতে পারবেন না। তবে স্বাভাবিক অন্যান্য খাবার খেতে পারবে। কিছু ওষুধ যেমন বিটা বকার (উচ্চ রক্তচাপ কমানো), লিথিয়াম (প্রশান্তিদায়ক), এন্টি ম্যালেরিয়াল, মুখে খাওয়ার স্টেরয়েড খেতে পারবে না। স্টেরয়েড খেলে প্রথম দিকে এ রোগ কমে যায়, তবে পরে এটি আবারও তীব্র হয়ে শরীরে ছড়ায়।
চিকিৎসা ঃ-

সোরিয়াসিস নির্মূলের জন্য এ্যালোপ্যাথিতে কোনও চিকিৎসা আজও আবিষ্কৃত হয়নি। শুধু মাত্র হোমিওপ্যাথিতে এর চিকিৎসা আছে কারন হোমিওপ্যাথি কোনো রোগের চিকিৎসা করে না, রোগীর চিকিৎসা করা হয়,রোগীর রোগের লন বুঝে ঔষধ দিলে এ রোগ নিমূল সম্ভব।
সোরিয়াসিস এমনই একটি রোগ যা একবার কমে গিয়ে আবার ঘুরে-ফিরে আসে। তাই একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হয়।
কম ক্যালরির খাবারঃ-
ডিম : ডিম ভাজা বা পোচ করার পরিবর্তে সিদ্ধ ডিম খান।
দুধ : দুধের সর সরিয়ে পাতলা অথবা øেহবর্জিত দুধ খান।
মাছ : মাছ ভাজার পরিবর্তে অল্প তেল দিয়ে ঝোল তরকারি রান্না করুন।
মাংস : রান্নার আগে মাংসের চর্বি যথাসম্ভব বের করে অল্প তেল দিয়ে বেশিণ সিদ্ধ করে রান্না করুন। তবে বেশি ভুনা করা ঠিক নয়।
ডাল : ঘন ডালের পরিবর্তে অল্প তেলের পাতলা ডাল খান।
ভাত : ফ্রাইড রাইসের পরিবর্তে সিদ্ধ ভাত খান। পোলাও বা খিচুড়ি অধিক তেল দ্বারা রান্নার পরিবর্তে সিদ্ধ পোলাও চালের ভাত বা অল্প তেলের খিচুড়ি খান।
ময়দা বা আটা : পরোটা, লুচি, পুরি ইত্যাদির পরিবর্তে শুকনা বা তেল ছাড়া রুটি, পাউরুটি খান।
শাকসবজি : বেশি তেল দিয়ে ভাজার পরিবর্তে যথাসম্ভব অল্প তেল দিয়ে রান্না করে খান।
ফল : তাজা ফল খান। কাস্টার্ড বা জুস হিসেবে নয়।
সালাদ : মেয়োনিজ, মাসরুম সালাদ থেকে বাদ দিন।
ফাস্ট ফুড : বেশি ক্যালরিযুক্ত ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।
মিনারেল ও ভিটামিন : গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ও মিনারেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। যেমনÑ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (ননীমুক্ত দুধ, ছোট মাছ) খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা ৭০% কমে যায়।
এছাড়াও ঃ-
* ভাজা খাদ্যদ্রব্য যথাসম্ভব বাদ দিতে হবে।
* খাবার রান্নার সময় নারকেল, দই, ক্রিম, তৈলবীজ, বাদাম ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।
* মিষ্টি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
* সফট ড্রিকংস বা এলকোহল বাদ দিতে হবে।
* সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো।
* রান্নায় তেল কমানোর জন্য ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন।
সর্বোপরি রান্নার জন্য অল্প তেল ব্যবহার করতে হবে এবং তা বহু অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড হতে হবে।

==============================================

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 //01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *