শীতে শিশুর টনসিলাইটিস

ডাঃ এস.জামান পলাশimages (1)

শিশুদের অসুখের মধ্যে টনসিলাইটিস বা টনসিলে প্রদাহ অহরহই দেখা যায়। শিশুদের যত অপারেশন হয় তার মধ্যে টনসিলে অপারেশন প্রথম। টনসিলাইটিস সাধারণত স্ট্রেপট্রোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়ে থাকে। আরও কিছু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও হতে পারে টনসিলাইটিস। গলায় ক্ষত বা গলাব্যথা টনসিলাইটিসের প্রথম দিকের লক্ষণ। খাবার খাওয়ার সময় গলায় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে স্বল্পমাত্রার জ্বর। শরীরে ব্যথা ও ম্যাজম্যাজ ভাব থাকতে পারে। টনসিল ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। অনেক সময় কানেও ব্যথা হতে পারে। আবার বারবার দেখা দিতে পারে টনসিলের প্রদাহ। যেটাকে রিকারেন্ট টনসিলাইটিস বলা হয়। সঠিক সময় টনসিলাইটিসের চিকিৎসা করালে রোগী ভালো হতে পারে। আবার এ চিকিৎসায় অবহেলা করলে রোগীর বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে। টনসিল বড় হয়ে শ্বাসনালি বন্ধ করে দিতে পারে। খাবার খাওয়ার সময় খুব বেশি ব্যথা হতে পারে। যদি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে টনসিলের চারদিকে অ্যাবসেস বা ফোড়া হতে পারে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সমস্যাটি হলো টনসিলাইটিসের জীবাণু শিশুর হৃৎপিণ্ডের ভাল্বে সৃষ্টি করতে পারে রিউমেটিক ফিভার। এজন্য এ রোগের চিকিৎসা করা জরুরি। অনেকেই টনসিলাইটিস হলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। মনে করেন শিশুর টনসিলে অপারেশন করাতেই হবে। এটা ভুল ধারণা। পরপর দুই-তিন বছর ধরে প্রতি বছর তিন-চারবার টনসিলে প্রদাহ, টনসিলে অ্যাবসেস বা ফোড়া হলে টনসিল বড় হওয়ার দরুন শ্বাসকষ্ট, কথা বলায় সমস্যা ও ঘুমে সমস্যা এবং আরও কিছু সমস্যা দেখা দিলে অপারেশন করার প্রয়োজন পড়ে।images

শিশুকে গরম পানি গড়গড়া করান। খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর যেন ঠাণ্ডা না লাগে। প্রখ্যাত নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, টনসিল হলেই তা কাটতে হবে এটা কোনো কাজের কথা নয়।হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ।
প্রতিরোধ করুন টনসিলাইটিস : ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় টনসিলের ইনফেকশন তথা স্টেপটোকক্কাল জীবাণুু দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। শিশুকে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। পরিবারে অন্য কারও এ সমস্যা থাকলে তার ব্যবহার্য চামচ, প্লেট, গ্গ্নাস, কাপড়চোপড় ব্যবহার করবেন না। প্রচুর পরিমাণে ফলের জুস পান করতে দিন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে দিন। শিশুকে পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে দিন। ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুকে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে দিন। এতে করে মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। খুব কম বয়সী শিশুদের মাউথওয়াশ ব্যবহার করাবেন না। শিশু গিলে ফেললে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করান। শিশুকে কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করতে দিন। শিশুর সামনে ধূমপান করবেন না।

 

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *