অ্যাকজিমা সম্পর্কে কিছু কথা

images (1)দেহের চামড়া লাল হয়ে অ্যাকজিমায় ছোট ছোট চাকা বের হলে সেগুলো ভীষণ চুলকায়। শেষে রক্ত বের হতে দেখা যায় ও ক্ষতের সৃষ্টি করে। রোগ পুরনো হলে চামড়া মোটা হয়। সর্বদা চুলকানি থাকে ও চামড়া ফেটে যায়। অ্যাকজিমা ত্বকের এক বিশেষ ধরনের অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ। রাসায়নিক পদার্থ, (প্রোটিন, জীবাণু, ছত্রাক) ইত্যাদির প্রভাবে অ্যাকজিমা হতে পারে। আকজিমা দেখা দিলে তা মোটেও পুষে রাখা উচিত নয়। অ্যাকজিমা দেহের অন্যান্য জায়গায় এমনকি সারা দেহে ছড়িয়ে এঙ্ফোলিয়েটিভ অ্যাকজিমার সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাকজিমা হলে অঙ্গে অনেকে নিম পাতা, গাছ-গাছড়া, ডেটল, সাবান ইত্যাদি লাগায়। কিন্তু এসব করা মোটেও উচিত নয়। তবে অ্যাকজিমার জায়গাটুকু পরিষ্কার ফোটানো পানি কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ মতে লোশন দিয়ে ধোয়া যেতে পারে। সাধারণত অ্যাকজিমার সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক খুব কম। তবে চিংড়ি, ডিম, বেগুন ইত্যাদি রোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশি মাত্রায় ক্ষারীয় সাবান, সরষের তেল, কাদামাটি, গাছপালা, চন্দন, রসুুন, পেঁয়াজ ইত্যাদির সংস্পর্শে অ্যাকজিমা রোগীর আসা উচিত নয়। আবার দেহের উন্মুক্ত স্থানের কিছু অ্যাকজিমা, বিশেষত আলোকজনিত অ্যাকজিমা সূর্যের আলো লাগলে বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে রোদে না যাওয়াই ভালো। গেলেও ছাতা বা চশমা ব্যবহার করা উচিত।

বিভিন্ন ধরনের অ্যাকজিমা সম্পর্কিত কিছু তথ্যimages (2)

অ্যাটোপিক অ্যাকজিমা : অ্যাটোপিক শব্দের অর্থ ‘অন্য জায়গা’। ভাসমান ধুলাবালি, পোকা বা ফুলের রেণু ইত্যাদি খাদ্যের সঙ্গে মিশ্রিত হলে কিছু রোগী তা থেকে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন। রোগীর বয়স অনুযায়ী অ্যাটোপিক অ্যাকজিমা তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

ক. ইনফ্যানটাইল অ্যাকজিমা : এর ফলে শিশুর গালে চুলকানি হয় এবং সে সঙ্গে লালচে আভা দেখা যায়। পরে সূক্ষ্ম পানি বিন্দুর আকারে লালচে অংশের ত্বক ফুলে ওঠে এবং এর ওপর একটি ভিজে আস্তরণ পড়ে। ধীরে ধীরে রোগ মাথা, গলা, কপাল, কব্জি এবং পেছনে ছড়াতে পারে। হাঁটু বা কনুইয়ের ভাঁজে শুকনো এক ধরনের অ্যাকজিমা দেখা যায়।images (3)

খ. একটু বেশি বয়সে এ অ্যাকজিমা হলে তা সাধারণত হয় শুকনো ধরনের অর্থাৎ রস গড়ায় কম। কব্জি, চোখের পাতা, কনুইয়ের ভাঁজ, মুখে, গলায় বা গায়ে এ অ্যাকজিমা দেখা যায়। চুলকানি হয় ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরো ত্বকে আবার চুলকানি বাড়তে থাকে।

 

গ. বয়স্ক অবস্থায় অ্যাকজিমা : পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় হয় এই শ্রেণীর অ্যাকজিমা। অ্যাটোপিক অ্যাকজিমার আরও একটি বড় কারণ হলো দুশ্চিন্তা। অ্যাকজিমা মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। শীতকালে বায়ুর আর্দ্রতা কম থাকায় এ অ্যাকজিমা বৃদ্ধি পায়। কাপড়, জামা বা উলের ঘর্ষণেও অ্যাকজিমা বৃদ্ধি পায়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এবং মধ্যবয়সের পর সাধারণত এ অ্যাকজিমা আর থাকে না।

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইকদিন) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *