গর্ভাবস্থায় মায়েরা খুব সহজেই ক্লান্ত বোধ করে বিশেষ করে গর্ভের প্রথম ১২ সপ্তাহে ও শেষ দিকে। কনসিভ করার পর পর মায়ের শরীরে কিছু হরমোনের অধিক নিঃসরণ ঘটে। এর ফলে মায়েদের শারীরিক ও মানসিক কিছু পরিবর্তন দেখা যায়; যেমন ক্লান্ত হওয়া, বিষণ্ণ বোধ করা, জ্বর জ্বর লাগা ইত্যাদি। গর্ভের শেষ দিকে মায়েরা তাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে অল্পতেই যেকোন কাজে হাঁপিয়ে ওঠেন। এ সময়ে ক্লান্ত বোধ করা সাধারণ ঘটনা হলেও কিছু কিছু মেডিকেল কারণও এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে। যেমন, রক্ত শূন্যতা, থাইরয়েড গ্রন্থির এবনরমালিটি ও বিষণ্ণতা রোগ থেকেও গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি হতে পারে।
কীভাবে ক্লান্তি দূর করা যাবে?
ক্লান্তির পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তা নির্নয় করতে হবে। রক্তশূন্যতা বা থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে এর যথাযথ চিকিৎসা নিন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য ও পানীয় পান করতে হবে। একবারে বেশি না খেয়ে ৩/৪ ঘণ্টা পর পর অল্প পরিমাণে খেতে হবে, এতে হজমে সহায়ক হবে এবং এ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা করবে।
দিনে ২ ঘণ্টা ও রাতে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামে থাকতে হবে।
গর্ভাবস্থার শেষ দিকে নিদ্রাহীনতা একটি পরিচিত সমস্যা, যা এই সময়কে কঠিন করে তোলে। এটি দূর করার কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান, রাতে ঘুমাতে যাবার ২/৩ ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার সেরে নিন।
ঘুমানোর আগে উষ্ণ পানির গোসল, এক কাপ গরম দুধ আপনার নিদ্রায় সহায়ক হবে।
ঘুমানোর সময় ছাড়া বিছানায় যাবেন না, অলস সময় না কাটিয়ে স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যান এবং প্রতিদিন কিছু সময় যেকোনো মধ্যম মানের ব্যায়াম (হাটা, সাঁতার কাটা), ইয়োগা বা মেডিটেশন আপনার দুশ্চিন্তা কমিয়ে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
চা, কফি, কোক জাতীয় পানীয় মস্তিস্কের জন্য উত্তেজক ও নিদ্রাহীনতার কারণ। তাই যথাসম্ভব পরিহার করুন।
ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার ঘুমানোর জায়গাটি যথেষ্ট আরামদায়ক ও কোলাহলমুক্ত কিনা।
এরপরেও যদি নিদ্রাহীনতা থেকে যায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। গর্ভাবস্থায় নিরাপদ এমন কিছু ঔষধের সাহায্যে আপনার নিদ্রাহীনতা কাটিয়ে ফ্রেশ বা ক্লান্তি মুক্ত হতে পারেন।
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall