অস্টিওপোরোসিস কী? উপসর্গ ও লক্ষণ

20305_1অস্টিওপোরোসিস কী?

আক্ষরিক অর্থে অস্টিওপোরোসিস বলতে বোঝায় ছিদ্রযুক্ত হাড়। এতে হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়, হাড়ের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে যায় এবং ক্রমেই হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়। অস্টিওপোরোসিসে কোমরের হাড়, মেরুদণ্ড ও হাতের কবজির হাড় সবচেয়ে বেশি ভঙ্গুর হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

কেন অস্টিওপোরোসিস হয়?

অস্টিওপোরোসিসের বহুবিধ কারণ রয়েছে। শৈশবে হাড় গঠনের সময় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের স্বাভাবিক গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া হাড় গঠনে কিছুটা পারিবারিক প্রভাবও রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যায়ামের অভ্যাস ও দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণের ওপরও হাড়ের গঠন অনেকাংশে নির্ভর করে। এ ছাড়া বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগ ও কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।

অস্টিওপোরোসিসের উপসর্গ ও লক্ষণ

অস্টিওপোরোসিসে নীরবে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। হাড় ভাঙার মাধ্যমেই এর উপস্থিতি প্রথমবারের মতো টের পাওয়া যায়। হাড়ের ব্যথা বা অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়াও হতে পারে অস্টিওপোরোসিসের প্রথম লক্ষণ। মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙার ফলে কোমরে হাড়ের গঠনগত ত্রুটি, শরীরের উচ্চতা কমে যাওয়া- এমনকি মেরুদণ্ডের ভিতরে অবস্থিত স্নায়ুর ওপর চাপের প্রভাবে তীব্র ব্যথাও অনুভূত হতে পারে।

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ

অন্য অনেক রোগের মতোই চিকিৎসার চেয়ে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ অনেক সহজসাধ্য। প্রতিরোধের তিনটি ধাপ হলো : পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি, পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও নিয়মিত ব্যায়াম

ভিটামিন ডি : সূর্যের আলো হচ্ছে ভিটামিন ডি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। এ ছাড়া তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুমেও কিছু পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে। এসব খাদ্যে বেশি কলেস্টেরল থাকায় এ ধরনের খাদ্য নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি গ্রহণ করা উচিত নয়।

ক্যালসিয়াম : গড়ে তিন বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম, চার থেকে আট বছর পর্যন্ত ৮০০ মিলিগ্রাম, নয় থেকে ১৮ বছর বয়সে এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, ১৯ থেকে ৫০ বছরে ১০০০ মিলিগ্রাম এবং ৫১ বছর বা তদূর্ধ্বে এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাবার থেকে গ্রহণ করা উচিত। দুধ ছাড়াও বাদাম, শাকসবজি, হাড়সহ ছোট মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।

ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেও সুস্থ হাড় পাওয়া সম্ভব। যত তাড়াতাড়ি ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা যাবে, ততই এর উপকারিতা বেশি। ওজনবাহী ব্যায়ামগুলোই অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের জন্য বেশি উপযোগী। শারীরিক পরিশ্রম যেমন সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নিয়মিত হাঁটা, সম্ভব হলে জিমে যাওয়া। প্রত্যেকটি স্কুল কলেজে খোলাধুলার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে করে আমাদের কমলমতি শিশুরা ছোট থেকে খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের শরীরকে ফিট রাখতে পারে এবং হাড় ও মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। তবে সুখের বিষয় এই যে অস্টিওপোরোসিস এখন একটি প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য রোগ। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক জীবনযাত্রা ও চিকিৎসা।

 

ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

চাঁদপুর
01711-943435 //01670908547
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *