ইফতারিতে অবশ্যই খেজুর খান!

download (1)রমজান মাস এলেই খেজুর ছাড়া আমাদের চলেই না। অনেকেই জানেন না, ইফতারিতে এটি খেলে উপকারিতা কী? তবে মহানবী (সা.) দেড় হাজার বছর আগেই জানিয়েছেন এর উপকারিতা। হাদিসে আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙলে শরীরে উপকারিতা অনেক।’ অন্য একটি হাদিসে আছে, ‘তোমরা খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙ, না পারলে পানি দিয়ে, এতেই কল্যাণ নিহিত।’

তাই বলা যায়, খেজুরের উপকারিতা নিঃসন্দেহে অনেক। বর্তমানে তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ‘খেজুরের উপকারিতা’ নামক গবেষণা প্রকল্প থেকে জানা গেছে খেজুরের গুণাগুণ। এ গবেষণায় গবেষকরা দেখতে চেয়েছেন খেজুর রোজাদারদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর ইফতারিতে রোজাদারদের ছয়টি স্বাস্থ্য উপকারী ভূমিকা রাখে।

১. খেজুর সহজপাচ্য। সারা দিন অভুক্ত থাকার পর খেজুর খেলে পাকস্থলীর ওপর কোনো চাপ পড়ে না।

২. খেজুরে যে শর্করা থাকে, তা দ্রুত শোষিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শরীর দ্রুত শক্তি পায়। সারা দিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমেষেই।

৩. এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। রোজা রাখলে পানি কম পান করা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে খেজুর খেলে এ আশঙ্কা কমে যায়।

৪. সারা দিন অভুক্ত থাকার পর মন চায় খাই আর খাই। এতে কিন্তু রোজার আদর্শ ঠিকমতো পালিত হয় না। আবার এতে পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে। রোজা রাখলে যেসব স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়, তাও ব্যাহত হয়। ইফতারিতে খেজুর খাওয়া ক্ষুধা ভাব কমায়। এতে কমে অতিরিক্ত খাবার পরিমাণ।

৫. খাবার হজম বা পাচিত করার জন্য পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুর পাকস্থলীর রস নিঃসরণ হার বাড়িয়ে খাবার পাচিত করতে সহায়তা করে।

৬. রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *