ব্রেন টিউমার কি ? কেন হয় ও কাদের ক্ষেত্রে হওয়ার প্রবণতা বেশি…

resize4276

টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এবং এই টিউমারটি যখন ব্রেনের ভেতরে হয় তখন সেটাকে আমরা বলি ব্রেন টিউমার।

এর লক্ষণগুলো কী কী?
 : ব্রেন টিউমারের লক্ষণ একেক সময় একেক রকম হতে পারে। এর প্রধান বা স্বাভাবিক লক্ষণ হচ্ছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়ার এই তিনটিকে আমরা সব টিউমারের ক্ষেত্রে ধরতে পারি। এ ছাড়াও অনেক সময় রোগীর অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। যেমন: রোগীর খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যে কোনো একদিকের হাত বা পা দুর্বল হয়ে যায় অথবা তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে। অনেক ক্ষেত্রে হরমোনের নিঃসরণের আধিক্য বা ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যা ব্রেন টিউমারের রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়।

ব্রেন টিউমার কেন হয়?
 : ব্রেন টিউমারের কারণ এখন পর্যন্ত অজানা। খারাপ টিউমার শরীরের অন্য জায়গা থেকে ক্যান্সারের রূপ নিয়ে ব্রেনের মধ্যে চলে যায়। বংশগত কারণেও ব্রেন টিউমার হতে পারে।

কাদের ক্ষেত্রে হওয়ার প্রবণতা বেশি? বাংলাদেশে এর প্রকোপ কেমন?
 : কিছু টিউমার আছে ছোটদের বেশি হয়, আবার কিছু টিউমার আছে যা ৬০ বছরের ওপরে গেলে বেশি হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে সব ধরনের টিউমারের প্রতিক্রিয়া এক রকম নয়। একেক ক্ষেত্রে টিউমারটি একেক রকমভাবে প্রকাশ পায়। যার ফলে আমরা ওভাবে বলতে পারব না কাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। এক কথায় বলতে পারি, যে কোনো বয়সের, যে কোনো পুরুষ বা মহিলার টিউমার হতে পারে। একেক ধরনের টিউমার শিশু বা মহিলা বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে একেক রকমের হতে পারে।

এটা সত্যি দুঃখজনক যে, বাংলাদেশে ক্রমশ আমরা এর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে দেখছি। তবে সঠিক পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে নেই।

 ব্রেন টিউমার কি সারানো সম্ভব?
 : ব্রেন টিউমার মানেই ক্যান্সার এটা ভুল ধারণা। কিছু কিছু টিউমার আছে যা খারাপ টিউমার বা ক্যান্সার টিউমার, কিন্তু অনেক টিউমারই আছে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে আরোগ্যযোগ্য। কিছু কিছু টিউমার আছে চিকিৎসা করালে সম্পুর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর কিছু আছে যা থেকে আপৎ হতে পারে।

ব্রেন টিউমার কীভাবে চিহ্নিত করা হয়? এর জন্য কী ধরনের পরীক্ষা করা হয়?
: যে কোনো রোগ নির্ণয়ের প্রথম পদ্ধতিই হচ্ছে তাকে ক্লিনিকে আনা, পর্যবেক্ষণে রাখা। রোগীর বিশেষ শারীরিক পরীক্ষা করা যেটাকে আমরা বলি নিউরোলজিক্যাল বিশ্লেষণ। রোগীর বর্ণনা থেকে এবং রোগের লক্ষণ দেখে ধারণা করা যায়। মাথার নরমাল প্লেন এক্স-রে পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা কিছু ধারণা করতে পারি কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি নয়। পদ্ধতি হচ্ছে সিটি-স্ক্যান এবং আরও ভালো হচ্ছে এম.আর.আই।

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীর পরিণতি কী?
 : সাধারণভাবে আমরা টিউমারকে ২ ভাগে ভাগ করি। ১. ভালো টিউমার, ২. খারাপ টিউমার। ভালো টিউমার যদি সঠিকভাবে অপারেশন করে সম্পূর্ণ বের করা যায় তাহলে রোগী স¤পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে। আর যদি ক্যান্সার টিউমার হয় তবে তারও রকমবেদ আছে। কিছু কিছু খারাপ টিউমার আছে যা হলে রোগী কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে পারে। আর কিছু কিছু টিউমার আছে যা এতই খারাপ যে, রোগী ৬ মাস থেকে ১ বছরের বেশি বেঁচে থাকে না

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য অপারেশান ছাড়া হোমিওপ্যাথ  চিকিৎসা নেয়া উত্তম,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

জামান হোমিও হল

চাঁদপুর
01711-943435 //01670908547 ইমু-01919943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *