শিশুদের কান্নাকাটি এবং তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

babies-crying-pictures-14732-hd-wallpapers-630x210

crying of kids and its homeopathic cure (শিশুদের কান্নাকাটি) ঃ-

শিশুদের কান্নার চাইতে অধিকতর হৃদয়বিদারক কোন বিষয় আছে বলে আমার জানা নাই। এমনকি মহানবী (দঃ) কখনও মসজিদে শিশুদের কান্না শোনলে নামায পযর্ন্ত সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। কেননা তিনি মনে করতেন, এক্ষেত্রে নামায দীর্ঘ করলে কান্নারত শিশুর পিতা-মাতার মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হবে। অসহায় এবং বাকশক্তিহীন এই শিশুরা তাদের দুঃখ-কষ্ট-অসুবিধার কথা কান্নার মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করে; কান্নাই তাদের ভাষা। সে যাক, বাহ্যত কোন কারণ ছাড়াই যদি শিশুরা কান্নাকাটি করে তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, তার পেটব্যথা হচ্ছে। ক্যালশিয়াম (দুধ) জাতীয় খাবার পেটে গ্যাস বা এসিডের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। শিশুরা যেহেতু দুধ বেশি বেশি খায় এবং দুধে যেহেতু প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে ; কাজেই ধরে নিতে পারেন শিশুদের পেটে এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকবেই।
শিশুরা দিনরাতে যে-কোন সময়ে অকারণে কান্নাকাটি করলে বা খুব মেজাজ দেখালে Nux vomica দুয়েকটি বড়ি খাইয়ে দিন ; সাথে সাথে কান্নাকাটি বন্ধ হয়ে যাবে। যদি কান্নাকাটি বন্ধ করে আপনার বাচ্চা মুহূর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে তবে ভয় পাবেন না ! কারণ নাক্স ভমিকা আসলে ঘুমের জন্যও একটি ভালো ঔষধ। সাধারণত শিশুর মেজাজ কড়া না হলে নাক্সে কাজ হয় না ; কেননা নাক্স হলো প্রধানতঃ বদমেজাজি লোকদের ঔষধ।
এক্ষেত্রে Colocynthis (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা কমে) এবং Dioscorea (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা বাড়ে) ঔষধ দুটির যে-কোনটি কিছুক্ষণ পরপর খাওয়াতে থাকুন। হ্যাঁ, শিশু যদি খুবই ছোট হয় যেমন দুয়েক দিন থেকে দু’য়েক মাস বয়স, তাদেরকে ঔষধ না খাইয়ে বরং তাদের মাকে খাওয়ানোই যথেষ্ট (যদি তারা বুকের দুধ খায়)। প্রয়োজনে পানিতে গুলিয়ে খাওয়াতে পারেন।
যে-সব শিশুরা সারাদিন ভালো থাকে কিন্তুরাতে খুব কান্নাকাটি করে তাদেরকে Jalapa নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান। পক্ষান্তরে যে-সব শিশুরা সারাদিন কান্নাকাটি করে কিন্তুরাতে চুপচাপ থাকে তাদেরকে Lycopodiumনামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।
শিশুদের কান্নাকাটির আরেকটি কারণ থাকতে পারে পায়খানার রাস্তায় সুতাকৃমির উৎপাত। এজন্য পায়খানার রাস্তা যতটা সম্ভব ফাঁক করে দেখতে পারেন সুতাকৃমি দেখা যায় কিনা অথবা পায়খানা করে সময় খেয়াল রাখবেন পায়খানার সাথে কোন ধরনের কৃমি যায় কিনা । কৃমি পাওয়া গেলে Teucrium নামক ঔষধ দুটির যে-কোনটি রোজ দুইবেলা করে তিনদিন খাওয়ান।
অনেক শিশু ঘুমের ভেতরে গোঙাতে থাকে এবং চীৎকার করতে থাকে, এদেরকে Calcarea Carbonica নামক ঔষধটি (শক্তি ২০০) এক মাত্রা খাওয়ান। শিশু একটু বড় হলে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ১০০০ (1M) অথবা ১০,০০০ (10M) শক্তিতে একমাত্রা খাওয়াতে পারেন। শিশুদের কান্নাকাটি এবং বদমেজাজের একটি বড় কারণ হলো টিকা (vaccine) নেওয়া।
সাধারণত বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস ইত্যাদি টীকা নেওয়ার কারণে শিশুদের কান্নাকাটি করার রোগ হয়। তারা দিন্তেরাতে, কারণে-অকারণে কাঁদতে থাকে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির সবার ঘুম হারাম করে ফেলে। এজন্য Thuja occidentalis নামক ঔষধটি সপ্তায় এক মাত্রা করে ছয় সপ্তাহ খাওয়ান। থুজাতে পুরোপুরি না সারলে বিকল্প হিসেবে Silicea, Vaccininum, Sulphurইত্যাদি নামক ঔষধগুলোও খাওয়াতে পারেন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *