এইডস রোগ এবং আমাদের সচেতনতা!

elius_1291208916_9-9_aids-rugiসারা বিশ্বে এইডসের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য ১৯৮৮ সাল থেকে ১লা ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসাবে পালন করা হয়। প্রতি বৎসর আমাদের দেশেও এইডস দিবস পালন করা হয়।

 এইডস কি?

এইডস একটি মারাত্নক সন্ক্রামক রোগ। যা এইচআইভি(HIV) জীবাণুর মাধ্যমে সন্ক্রিমত হয়। এইডস(AIDS) যাহা Acquired Immune Deficiency Syndrome এর সংক্ষিপ্ত রুপ।

 বিশ্বে প্রথম কখন এইডসের জীবাণু সনাক্ত হয়?
বিশ্বে প্রথম ১৯৮১ সালে এইডসের জীবাণু সনাক্ত করা হয় এবং ১৯৮৫ সালে আফ্রিকাতে প্রথম এইডস রোগী সনাক্ত করা হয়।

কি ভাবে এইডস রোগ ছড়ায়?

(: এইচআইভি(HIV)সাধারনত যৌন সর্ম্পকের মাধ্যমে ছড়ায়।
(: এছাড়া অনিরাপদ শাররীক সর্ম্পক স্থাপন।
(: অন্যের ব্যবহৃত সুইঁ, সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার,টুট ব্রাশ ব্যবহার করা।
(: অপরীক্ষিত রক্ত গ্রহন করা।
(: এইচআইভি(HIV) জীবাণুবাহী পিতা মাতার জন্ম নেওয়া সন্তান।
(: এইচআইভি(HIV) জীবাণুবাহী মায়ের স্তন্য পান। ইত্যাদি ভাবে।

 এইডস রোগের লক্ষণ সমুহ কি কি?

এইচআইভি(HIV) আক্রান্ত লোকের দেহে সাধারনত জীবাণু প্রবেশের ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়। অন্যান্য লক্ষণ সমুহ:-
(: প্রথমত জ্বর ও দূর্বলতা।
(:বুকে বা পিঠে লালচে দানা।
(:গলার লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
(:মাথা ব্যথা, মাংসপেশী ব্যথা, অক্ষিকোটরের পেছনে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা অনুভব হওয়া।
(: কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে ঘা দেখা যায়। এছাড়া আরো কিছু কিছু উপর্সগ দেখা যায়।

 এইডস রোগের জীবাণুর ছবি?


> জীবাণুর ছবি-১


> জীবাণুর ছবি-২


> জীবাণুর ছবি-৩

 বাংলাদেশে প্রথম কবে এইডস রোগ সনাক্ত হয় এবং বর্তমানে দেশে এই রোগীর সংখ্যা কত?

বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম একজন বিদেশীর শরীরে এইচআইভি(HIV) জীবাণু সনাক্ত করা হয়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত সরকারী হিসাব মতে ১০৯ এইডস রোগী বাংলাদেশে মারা গেছে। বর্তমানে ১৩ হাজারের মতো এইচআইভি(HIV) জীবাণুবাহী রোগী বাংলাদেশে আছে।

 পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে এইডস রোগের বর্তমান অবস্থা কি রকম?

পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যে :-
(: চীনে:- চীনে ১৯৮০ সালে প্রথম এইডস রোগী সনাক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার এইডস রোগী চীনে সনাক্ত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার লোক এইডসে মারা যায়।
(: ভারতে:- ১৯৮৬ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে প্রথম এক মহিলা যৌনকর্মীর দেহে এইচআইভি(HIV) জীবাণু সনাক্ত করা হয়। মার্চ`২০১০ পর্যন্ত প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ভারতীয় লোকের দেহে এইচআইভি(HIV) জীবাণু সনাক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রতি বৎসর প্রায় ৩০ হাজার শিশু দেহে এইচআইভি(HIV) জীবাণু নিয়ে জন্ম গ্রহণ করছে।

(: মানায়মারে:- বর্তমানে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মায়ানমারের লোকের দেহে এইচআইভি(HIV) জীবাণু সনাক্ত করা হয় এবং ৭৬ হাজার এইডস রোগী মারাত্নক পর্যায়ে রয়েছে।

 বিশ্বের কোন দেশে বর্তমানে এইডস রোগীর সংখ্যা বেশী?
(: বর্তমান বিশ্বে আমাদের পরিচিত ক্রিকেটের দেশ জিম্বাবুয়েতে সব চেয়ে বেশী এইডস রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এবং পাশ্ববর্তী দেশ বতসোয়ানায় মোট প্রাপ্ত বয়ষ্ক পুরুষের ৪০% এইডস রোগে আক্রান্ত।
চিত্র:-

 কোন মহাদেশে মারাত্নক ভাবে এইডস ছড়িয়ে পড়েছে?
আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে এইডস রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। মরু আফ্রিকায় ২০০৭ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রতি বৎসর ১.৬ মিলিয়ন লোক এইডসে মারা যায়, যাহা দিনে ৪,৩৩৩ জনের মতো।
চিত্র:-

সাহার অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি দেশে এইডস গনহারে ছড়িয়েছে। ২০০৯ সালে করা নিচের পরিসংখ্যানের চিত্রটি দেখলে এর ব্যাপকতা বুঝা যায়।

একজন এইডস রোগীর করুন পরিনিতীর চিত্র?


(:একজন এইডস রোগীর করুন পরিনিতীর চিত্র।

এইডস থেকে বাঁচার উপায় কি?

ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে এইডস রোগের জীবাণুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। প্রতিরোধই হচ্ছে এইডস থেকে নিজেকে বাঁচানোর উত্তম উপায়। এইডস তেকে বাঁচতে হলে যা করতে হবে:-
[-X ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
[-X অনিরাপদ শাররীক সর্ম্পক স্থাপন করা।
[-X একই সুঁই-সিরিঞ্জ,রেজার, টুথব্রাশ ব্যবহার না করা।
[-X অপরীক্ষিত রক্ত শরীরে গ্রহণ না করা।
[-X অনিরাপদ শাররীক সর্ম্পকে কনডম ব্যবহার করা।

@) এইডস কি?

এইডস একটি মারাত্নক সন্ক্রামক রোগ। যা এইচআইভি(HIV) জীবাণুর মাধ্যমে সন্ক্রিমত হয়। এইডস(AIDS) যাহা Acquired Immune Deficiency Syndrome এর সংক্ষিপ্ত রুপ।

@) বিশ্বে প্রথম কখন এইডসের জীবাণু সনাক্ত হয়?
বিশ্বে প্রথম ১৯৮১ সালে এইডসের জীবাণু সনাক্ত করা হয় এবং ১৯৮৫ সালে আফ্রিকাতে প্রথম এইডস রোগী সনাক্ত করা হয়।

@) কি ভাবে এইডস রোগ ছড়ায়?

(: এইচআইভি(HIV)সাধারনত যৌন সর্ম্পকের মাধ্যমে ছড়ায়।
(: এছাড়া অনিরাপদ শাররীক সর্ম্পক স্থাপন।
(: অন্যের ব্যবহৃত সুইঁ, সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার,টুট ব্রাশ ব্যবহার করা।
(: অপরীক্ষিত রক্ত গ্রহন করা।
(: এইচআইভি(HIV) জীবাণুবাহী পিতা মাতার জন্ম নেওয়া সন্তান।
(: এইচআইভি(HIV) জীবাণুবাহী মায়ের স্তন্য পান। ইত্যাদি ভাবে।

 এইডস রোগের লক্ষণ সমুহ কি কি?

এইচআইভি(HIV) আক্রান্ত লোকের দেহে সাধারনত জীবাণু প্রবেশের ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়। অন্যান্য লক্ষণ সমুহ:-
(: প্রথমত জ্বর ও দূর্বলতা।
(:বুকে বা পিঠে লালচে দানা।
(:গলার লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
(:মাথা ব্যথা, মাংসপেশী ব্যথা, অক্ষিকোটরের পেছনে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা অনুভব হওয়া।
(: কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে ঘা দেখা যায়। এছাড়া আরো কিছু কিছু উপর্সগ দেখা যায়।

এইডস থেকে বাঁচার উপায় কি?

ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে এইডস রোগের জীবাণুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। প্রতিরোধই হচ্ছে এইডস থেকে নিজেকে বাঁচানোর উত্তম উপায়। এইডস তেকে বাঁচতে হলে যা করতে হবে:-
[-X ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
[-X অনিরাপদ শাররীক সর্ম্পক স্থাপন করা।
[-X একই সুঁই-সিরিঞ্জ,রেজার, টুথব্রাশ ব্যবহার না করা।
[-X অপরীক্ষিত রক্ত শরীরে গ্রহণ না করা।
[-X অনিরাপদ শাররীক সর্ম্পকে কনডম ব্যবহার করা।

ছবি ও তথ্য সূত্র:- ইন্টারনেট, জার্নাল ও বিভিন্ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *