হোমিওপ্যাথিতে সাইনোসাইটিস রোগের চিকিৎসা

379744_463677720390941_606490931_n
ডাঃ এস.জামান পলাশ

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুন্দর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন তথা নাক, কান ও গলা এ তিন অঙ্গ মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর কোনো একটি রোগাক্রান্ত হলে সম্পূর্ণ মানবদেহই অসুস্থ হয়ে যায়। এ তিন অঙ্গের যেকোনো একটি অথবা একত্রে তিনটিই রোগাক্রান্ত হতে পারে। যখন কোনো মানুষের রক্তের Esonophil I Serum IGE-এর পরিমাণ বাড়তে থাকে, তখন এমনিতেই ঠাণ্ডা, হাঁচি, সর্দি লেগে যায়। একপর্যায়ে নাকের ভেতরের মাংস ও টনসিল বৃদ্ধি হয় এবং সব শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। নাকের মধ্যে ও কপালের চামড়ার নিচে আটটি কুঠরি বা স্তর থাকে। এসব কুঠরিকে বলা হয় সাইনাস। ঠাণ্ডায় এসব সাইনাসে প্রদাহের সৃষ্ট ইনফেকশন প্রদাহ ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাকে সাইনোসাইটিস বলে। সাইনাস সাধারণত চার প্রকার : ১। Maxillary ২। Frontal ৩। Ithomoidal ৪। Sphenoidal. সাধারণত Maxillary I Frontal সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে থাকে। মাথার খুলির মধ্যে যে Sinus থাকে, সেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস মাথার মধ্যে অবস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির অঙ্গকে যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

সাইনোসাইটিস দুই ধরনের : একটি তীব্র প্রদাহযুক্ত অন্যটি ক্রনিক দীর্ঘ দিনের প্রদাহ, যা সাধারণত আস্তে আস্তে হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস সাধারণত ঠাণ্ডা ও ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, ধুলোবালু ও ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়াও অন্য কারণে সাইনোসাইটিস হতে পারে। 19315

যেমন : নাকের ইনফেকশন, নাকের ভেতর ঝিল্লির প্রদাহ ও নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে;

উপসর্গ : সাধারণত চোখের নিচ ও কপালসহ মাথাব্যথা, মুখমণ্ডল, মাথার পেছন দিকে ব্যথা, সর্দি, হাঁচি, নাকে ব্যথা হওয়া এবং আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট অনুভব হলেই সাইনোসাইটিসের লক্ষণ বুঝতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্যাথলজিতে পিএনএস এক্স-রে করে আমরা সাইনাসের অবস্থান জানতে পারি। সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা : সাধারণত বেশির ভাগ রোগীকেই দেখা যায় যারা সাইনাসে ভোগেন তাদের নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে পলিপের চিকিৎসা দিয়ে নাকের দু’টি ছিদ্র ব্লক অবস্থা থেকে মুক্ত করে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা শুরু করা ভালো। এতে ভালো ফল আশা করা যায়। সাধারণত অন্য পদ্ধতিতে অপারেশন ও সিরিঞ্জ দিয়ে পানি ঢুকিয়ে ওয়াশের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় বছরে কমপক্ষে দুইবার এ ধরনের চিকিৎসা নিতে হয়। এটি রোগীর জন্য দীর্ঘ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় যদি প্রথমে লক্ষণ অনুযায়ী অ্যালার্জির ওপর চিকিৎসা দিয়ে চার-ছয় মাসের চিকিৎসায় সাইনোসাইটিসের তীব্র কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে নিচের ওষুধের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে সঠিক ওষুধটি নির্ণয় করে অতি অল্প সময়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। ওষুধ : ১. রাস-টক্স, ২. স্যাংগু নাট, ৩. লেমনা মিউর, ৪. সালফার, ৫. কস্টিকাম, ৬. ইচিনিং, ৮. সাইলিসিয়া, ৯. ন্যাটরাম মিউর, ১০. ক্যালি বাই প্রভৃতি। রোগীদের করণীয় : চিকিৎসার পাশাপাশি ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার ব্যবহার, অতিরিক্ত গরম, ধুলোবালু, অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
======================================================

ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *