বাঁকা হাঁটুর লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে শিশুর পা বাঁকা লক্ষী কিন্তু কোন রোগ কি কখনো লক্ষী হতে পারে?এ ধারনা সম্পূর্নই কুস্কার ও ভ্রান্ত ভাবনা। প্রায়ই পিতামাতা জানতে চান, তাদের বাচ্চাদের হাঁটু ও লেগ কি স্বাভাবিক?

nisa--2

অনেক পিতামাতা সরাসরি বলেন তাদের বাচ্চাদের হাঁটু ও লেগ বাঁকা।বাঁকা (বো) একটি টেকনিক্যাল শব্দ যা, একটি শিশুর স্বাভবিক বৃদ্ধির অংশ। তবে চিকিৎসক হিসেবে সম্যক জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন কোনটা স্বাভাবিক (ফিজিওলোজিক) বৃদ্ধির অংশ এবং কোনটা রোগের (প্যাথলোজিক) কারণে হয়েছে। হাঁটু ভেতরের দিকে বাঁকা হলে তাকে জেনু ভেরাস বলে এবং বাইরের দিকে বাঁকা হলে তাকে জেনু ভালগাস বলে। স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বাঁকা হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু রোগের কারণে বাঁকা হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। আর এ রোগের জন্য চিকিৎসাও আছে। কিন্তু শিশুর বাবা -মা লক্ষি ভেবে এরোগের চিকিৎসা করেন না।চিকিৎসা করলে শিশুর বাঁকা হাঁড় সোজা হয়ে যায়।যথাসময়ে চিকিৎসা গ্রহন না করলে বাঁকা বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য অসুবিধা দেখা দিবে। স্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে লেগ ও হাঁটুর বাঁকা অংশ তিন থেকে সাত বৎসর বয়সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু বাঁকা অংশ এ সময়ে বৃদ্ধি পেতে থাকলে কারণ অনুসন্ধান করে বাঁকা অংশের চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। জন্মগত কারণে জোড়ার লিগামেন্ট ও পেশি না থাকলে বা থাকলেও ঢিলা বা সংকুচিত, হাড়ের অস্বাভাবিক আকৃতি ও অবস্থান হলে হাঁটু ও লেগ বেঁকে যেতে পারে। ভিটামিন ডি (রিকেট) ও ক্যালসিয়াম অভাব, ব¬াউন্ট রোগ হলে এবং আঘাতে হাড়ের বৃদ্ধির তারতম্যের কারণে হাঁটু ও লেগ বেঁকে যায়। বয়স্কদের ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম অভাব (ওসটিওপোরোসিস ও ওসটিওমালাসিয়া), হাড়ভাঙা ও জোড়া ডিসপে¬সমেন্ট, পেজেটস ডিজিস এবং আর্থ্রাইটিস (রিউমাটয়েড ও অসটিওআর্থাইটিস) হয়ে হাঁটু বেঁকে যায়।
লক্ষণ : দু’ হাঁটু বাঁকা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। অথবা স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাহত হচ্ছে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দু’ হাঁটুর বাঁকা বেড়ে যাচ্ছে। রোগের কারণে এমন হচ্ছে এবং এর চিকিৎসা প্রয়োজন। এক হাঁটু বাঁকা এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। তাহলে এর যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন।

চিকিৎসা :
হোমিওপ্যাথিঃ-হোমিও কিছু নিদৃষ্ট ঔষধ আছে যা শিশুদেও জন্মের পর যখনই মা-বাবার ছোখে পড়ে যে শিশুটির পায়ের হাঁড় বাঁকা.তখন কোনো ভালো হোমিও ডাক্তারের পরার্মশ অনুযায়ী শিশুকে ঔষধ খাওয়ালেই বাঁকা হাঢ় সোজা হয়ে যাবে।
এ্যালোপ্যাথিঃ- বাঁকা হাঁটু ও লেগের চিকিসার শুরুতেই এর কারণ অনুসন্ধান করে, রোগীর বয়স অনুসারে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। প্রথম অবস্থায় স্পি¬ন্টিং, ব্রেচিং, হাঁটু সাপোর্ট এবং থেরাপিউটিক সু ব্যবহার করলে হাঁটু ও লেগের স্বাভাবিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে ফিরে আসবে। ১৮ বছর বয়সের আগে হাড়ের বৃদ্ধির স্থানে ক্লিপিং করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বৃদ্ধির স্থানের নিচে হাড় কেটে হাঁটু ও লেগকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা হয়। প্র্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হাড় কেটে হাঁটু ও লেগ সোজা করতে হবে এবং প্রয়োজনে লিগামেন্ট তৈরি করতে হবে।
প্রতিরোধ : পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সেবন করতে হবে। শিশু যাতে ডায়রিয়া ও মেলনিউট্রিশনে না ভোগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জন্মগত ত্রুটির চিকিৎসা দ্রুত করতে হবে এবং ফিজিক্যাল স্ট্রেসিং ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ভয়াবহ ক্ষতি থেকে জোড়াকে রক্ষা করা যায়। প্রথম অবস্থায় স্পি¬ন্টিং, ব্রেচিং, হাঁটু সাপোর্ট এবং থেরাপিউটিক সু ব্যবহার করলে হাঁটু ও ল্যাগের স্বাভাবিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে ফিরে আসবে।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *