মাইগ্রেন

ডাঃ এস.জামান পলাশ
2222
মাইগ্রেন হলে মাথায় প্রচন্ড ব্যথার আক্রমণ হয় হঠাৎ হঠাৎ। বিভিন্ন কারণেই এ ব্যথার আক্রমণাত্মক প্রবণতা বাড়ে। বিশেষ কোন এ্যালর্জিক খাবার-যেমনঃ পনির, কলিজা, কলা, চকোলেট। রাতজাগা, ঘুমের অনিয়ম। মাসিকের সময়, জন্ম নিয়ন্তণ বড়ি। অতিরিক্ত টেনশন বা মানসিক দুশ্চিন্তা। অতিরিক্ত পরিশ্রম। বিশেষ কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।এই বিষয়গুলো ল্য করে চললে এবং মেনে চললে মাইগ্র্রেনের রোগীরা মাইগ্রেনের দুঃসহ যন্তণা থেকে অনেকটাই রা পাবেন। মাইগ্রেন জীবনবিনাশী রোগ নয়, তবে সুখবিনাশী। এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় প্রতিরোধই হলো এর কার্যকর চিকিৎসা। পুরোপুরি প্রতিকার সম্ভব নয়।কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে মাইগ্রেন এর চিকিৎসা সম্ভব.রোগীর রোগের লন অনুযায়ী চিকিৎসা করলে মাইগ্রেন নির্মুল হবে।
মাথা ব্যথার কারণ ও লক্ষণঃ-

মাথাব্যথা এমন একটি ব্যাপার যার সঙ্গে আমরা কম-বেশী সবাই পরিচিত। সাধারণত মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, জ্বর, উচ্চরক্তচাপ বা চোখের দৃষ্টিশক্তি ত্রুটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই মাথাব্যথার অভিযোগ বেশী ল্য করা যায়। কোনও কোনও অধিক সচেতন ব্যক্তি মাথাব্যথা উপশমের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ক্রমান্বয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধও খেয়ে থাকেন। এমনটি কখনোই যুক্তিযুক্ত নয় বরং তা স্বাস্থ্যে তিকর ক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। মাথাব্যথা যেমন সাধারণ কোনও কারণে হতে পারে, তেমনি কোনও জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবেও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।6
মাথাব্যথার কারণ ও লক্ষণঃ- মাথাব্যথা কেন হয় এর প্রকৃত কারণ এখনও অজানা। তবে মস্তিষ্কের আবরণ ডুরা ম্যাটার, পায়াম্যাটার এবং ডুরাল সাইনাস ও ফক্স সেরিব্রেরির রক্তনালিগুলো ব্যথা সৃষ্টির জন্য খুব সংবেদনশীল। যে কোনও কারণ যেমন মানসিক উত্তেজনা, মাথার মধ্যে টিউমার, রক্তচাপ, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ ইত্যাদি কারণে এগুলো বড় হলে বা স্ফীত হলে, টান পড়লে বা স্ট্রেচড হলে অথবা বেঁকে গেলে বা বেন্ড হলে এবং উত্তেজিত হলেই মাথাব্যথা হয় বলে ধারণা করা হয়। তবে মস্তিষ্কের অন্যান্য টিস্যু, সেরিব্রাল ভেন্ট্রিকেলস ও করয়েড পেক্সাস ব্যথার জন্য সংবেদনশীল নয়।
চিন্তাজনিত মাথাব্যথা বা টেনশন হেডেকঃ-শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মাথাব্যথাই এ ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকমের মানসিক অশান্তি, অত্যধিক চিন্তা, হতাশা, অবসাদ, বিষন্নতা, কোনও কিছু প্রপ্তিতে বা সাফল্য অর্জনে ব্যর্থতা ইত্যাদি নানা কারণ এ জাতীয় ব্যথার উদ্রেক করে। এর লক্ষণগুলো হল-7
১। সম্পুর্ণ মাথায় বা ঘাড়ে, কপালের দুপাশে, মাথার তালুতে চাপ দিলে ব্যথা হয় অথবা মাথাটা ভারি ভারি লাগে।
২। ব্যথা কয়েক মাস হতে কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
৩। এ ব্যথার ওপর বংশগতির কোনও প্রভাব নেই।
৪। ব্যথার সময় বমি হয় না।
৫। কোনও ওষুধে এ ব্যথার উপশম হয় না। এমন অবস্থায় রোগীকে অবশ্যই অধিক চিন্তা বা মানসিক অশান্তির কারণ খুঁজে বের করে সেটি হতে মুক্ত করতে হবে।
জ্বরে মাথাব্যথাঃ-চিন্তাজনিত মাথাব্যথার পর ভাইরাস জ্বরে মাথাব্যথাই বেশি ল্য করা যায়। আজকাল ভাইরাস জ্বরে মাথাব্যথা একটি সাধারণ উপসর্গ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি অসুখে অনেকের জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে।
রক্তনালী সংক্রান্ত মাথাব্যথাঃ-মাইগ্রেন, টেম্পোরাল বা কাস্টার হেডেক, রক্তনালী প্রদাহজনিত মাথাব্যথাই এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। তবে এদের মধ্যে মাইগ্রেনই বেশী ল্য করা যায়। মাথাব্যথা হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পরিলতি হয়।
১। তীব্র মাথাব্যথা যা কি-না খোঁচা দিচ্ছে বা আঘাত করছে এমন মনে হয়।
২। সাধারণত মাথার যে কোনও একদিকে, অল্প সময়ের জন্য এবং কিছুদিন পরপর অনুভূত হয়।
৩। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব ও বমি হয়।
৪। এ ব্যথা সাধারণত বংশগত হয়।
৫। অনেকণ ধরে টিভি দেখা, বেশি ভ্রমণ করা, ঠাণ্ডা বা গরম কিছু খাওয়া, অত্যধিক সূর্যশ্মি বা অত্যধিক ঠাণ্ডা ইত্যাদির মাধ্যমে মাথাব্যথার সূত্রপাত হতে পারে।
৬। আবার নীরব অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিলে, বমি করলে, ব্যথাজাতীয় ওষুধ খেলে এ ব্যথার উপশম হতে পারে।

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *