না বুঝেই নতুন বাবা-মায়েরা যে ভুলগুলো করে থাকেন

jibon 4_20271নতুন নতুন বাবা মা হওয়ার খুশি কতোটা হতে পারে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই নতুন মুখের আগমনে খুশির পাশাপাশি দায়িত্বও অনেক বেড়ে যায়। দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ার পর থেকে নতুন মুখটিকে স্বাগত জানাতে গিয়ে অনেক ভুল কাজ করে থাকেন নতুন বাবা মায়েরা। এতে করে নিজেদের পাশাপাশি সন্তানেরও ক্ষতি করে ফেলেন।
অল্পতেই অনেক বেশি ভয় পেয়ে যাওয়া
নতুন বাবা মায়েরা নিজের সন্তানের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকেন। এর ফলে খুব সামান্যতেই অনেক বেশি ভয় পেয়ে যান। বাচ্চার সামান্য কোনো সমস্যায় বাবা মা দুজনেই অনেক ঘাবড়ে যান। কিন্তু এভাবে খুব সামান্যতেই ঘাবড়ে যাওয়া উচিত্ নয়। বাচ্চা জন্মের পর একটি নির্দষ্টি সময় পর পর শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। খুব ঠাণ্ডা মাথায় বাচ্চার ব্যাপারগুলো চিন্তা করবেন।
রাতে দুধ খাওয়ানোর জন্য শিশুকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি ২/৩ ঘণ্টা পরপর শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। কিন্তু রাতের বেলা দুধ খাওয়ানোর জন্য শিশুকে জাগিয়ে তোলা একেবারেই উচিত্ নয়। এতে শিশু ও মা দুজনেরই ঘুমের সমস্যা এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শিশু জন্মের এক মাস পর দিনের বেলা ভালো করে দুধ খাইয়ে রাতের বেলা একটি নির্দষ্টি সময় পর্যন্ত ঘুমুতে দিন।

মুখের যত্নে কিছু না করা10458321_10152323891308813_2694226500321854011_n
মুখের যত্নে কোনো কিছুই না করা নতুন অভিভাবকের আরও একটি ভুল কাজ। দাঁত না উঠে থাকলেও মুখের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে ১ বছরের নিচের শিশুদের। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর ভেজা নরম কোনো কাপড় নিয়ে বাচ্চার মাড়ি মুছে দেয়া উচিত্। এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর কয়েক ফোঁটা পানি পান করান।

ঘুমের একটি নির্দষ্টি সময় নির্ধারণ করে দেয়া

অনেক অভিভাবকের মতে বাচ্চাকে দিনের বেলা বেশি ঘুমুতে না দিলে রাতের বেলা তার ঘুম ভালো হবে। এবং বড় হওয়ার সাথে সাথে এই অভ্যাস টিকে থাকবে। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে এই কাজটি করা একেবারেই উচিত্ নয় কারণ এতে শিশুদের ঘুম পূরণ হয় না। এক থেকে দেড় বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ইচ্ছেমতো সময়ে ঘুমুতে দেয়া উচিত্। এতে করেই তাদের ঘুম পূরণ হবে।

বাচ্চার সাথে বাচ্চার মতো কথা বলা

বাচ্চার সাথে কথা বললে বাচ্চারা দ্রুত কথা বলা শিখে যায়। কিন্তু অভিভাবকেরা বাচ্চার সাথে বেশিরভাগ সময় বাচ্চার মতোই অদ্ভুত আওয়াজ করে এবং নানা মুখভঙ্গি করেন। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের সাথে বাচ্চাদের মতোই আওয়াজ করা উচিত্ নয়। এতে তার কথা শিখতে দেরি হয়। তার সাথে কথা বলুন কিন্তু শুদ্ধ উচ্চারণে। এতে করে শিশুটির ভোকাব্যুলারি উন্নত হবে।
===========================================================

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *