কালোজিরার গুণ

ডাঃ এস.জামান পলাশ
****************************
রাসুল্লাহ মুহাম্মদ সা. বলেছেন , কালোজিরা ম্রত্যু ব্যাতিত সকল রোগের ঔষধ ।(বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন, yyyyy‘কালোজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই প্রায় সব রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত রয়েছে।’ সে জন্য যুগ যুগ ধরে পয়গম্বরীয় ওষুধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে আসছে।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কালিজিরা সম্পর্কে অত্যন্ত বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া যায়। প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে ‘কালিজিরা’ গ্রহণ করে আসছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছেন যে কালিজিরার সব গুণ লুকিয়ে আছে এর তেলে।
সাধারণত আমরা খাবারের সঙ্গে মসলা হিসেবে অথবা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে কালিজিরা
কালিজিরার তেলের উপকার
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ইনসুলিন রোধ হ্রাস (এভাবে ডায়াবেটিস কমিয়ে রাখা), কাশি ও হাঁপানির উপশম, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হৃজ্জনিত সমস্যার আশঙ্কা হ্রাস, চুল পড়া হ্রাস, ত্বকের সুস্বাস্থ্য, মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে কালিজিরার তেল উপযোগী। কালিজিরার তেল গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করতে হয় না।

সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ক্যানন অব মেডিসিন’-এ বলেছেন, ‘কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।’ কালোজিরা তে প্রায় শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর প্রধান উপাদানের মধ্যে প্রোটিন ২১ শতাংশ, শর্করা ৩৮ শতাংশ, স্নেহ ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।মিসরের গবেষকরা ১৯৬০ সালে নিশ্চিত হন যে এতে বিদ্যমান নাইজেলোনের কারণে ব্রুকোডাইলেটেশন বা হাঁপানি উপশম হয়। জার্মানির বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেন যে, কালিজিরার এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি-মাইকোটিক প্রভাব বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, এটি বোনম্যারো (অস্তিমজ্জা), প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে দেয় ফলে ভাইরাসের ক্ষতিকারক প্রভাব হতে স্বাভাবিক কোষগুলো রক্ষা পায়। কালিজিরা টিউমার কোষগুলোকেও ধ্বংস করে এবং এন্টিবডি প্রস্তুতকারী ‘বি লিমফোসাইট’ কোষগুলোর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকার গবেষকরা সর্বপ্রথম কালিজিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে রিপোর্ট করেন। শরীরের ক্যান্সার উৎপাদনকারী ‘ফ্রি রেডিকেল’-এর সাথে কালিজিরার এ্যাসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের বন্ধন হয়। ফলে এই ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলগুলো অপসারিত হয়। বেটা কেরোটিনও ক্যান্সার উৎপন্নকারী দ্রব্যগুলো ধ্বংস করে। অতএব স্বাস্থ্য রক্ষায় কালিজিরার সুফল যেন প্রশ্নাতীত। সত্যি, বিস্মিত হতে হয় এর গুণাগুণ দেখে। কী অন্তর্নিহিত শক্তিই না রয়েছে কালিজিরায়! তাহলে চলুন কালিজিরার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করা যাক।
তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ক্যানন অব মেডিসিন’-এ বলেছেন, ‘কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।’ কালোজিরা তে প্রায় শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর প্রধান উপাদানের মধ্যে প্রোটিন ২১ শতাংশ, শর্করা ৩৮ শতাংশ, স্নেহ ৩৫ শতাংশ। কালোজিরার গুণের শেষ নেই। প্রতিদিন সকালে এক চিমটি কালজিরা এক গ্লাস পানির সাথে খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ভেষজবিদরা কালোজিরা কে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে অভিহিত করেছেন¬ হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন কালোজিরা সেবনে উপকার পাওয়া যায়। কালোজিরা হরমোন সমৃদ্ধ হওয়ায় পুরুষত্বহীনতায় বা নারী-পুরুষের যৌন অক্ষমতায় নিয়মিত কালোজিরা সেবনে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। কালোজিরায় রয়েছে ১৫টি অ্যামাইনো এসিড। আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজন ৯টি অ্যাসেনসিয়াল অ্যামাইনো এসিড¬ যা দেহে তৈরি হয় না, অবশ্যই খাবারের মাধ্যমে এর অভাব পূরণ করতে হয়। আর কালোজিরায় রয়েছে আটটি অ্যাসেনসিয়াল অ্যামাইনো এসিড। সর্দি কাশি সারাতে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালাজিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রসূতি মাতাদের দুগ্ধ বাড়াতে ও নারী দেহের মাসিক নিয়মিতকরণে এবং মাসিকের ব্যথা নিবারণে কালোজিরার ভূমিকা রয়েছে।
*****************************************
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *