শিশুর খাবার থেকে অ্যালার্জি

41ddf174f77629e9337375e2f695e187ডাক্তার কাশফিয়া নাজনীন

অ্যালার্জি কী

শ্বাস গ্রহণ, স্পর্শ, ইনজেকশন বা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে কোনো বস্তু শরীরে ঢুকে অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলে তাকে অ্যালার্জি বলা হয়। খাবারের ঘ্রাণ নিলেও অ্যালার্জি হতে পারে। খাবার থেকে বায়ুবাহিত কিছু প্রোটিন শ্বাসনালিতে ঢুকে এমন প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

লক্ষণ

ত্বকে চুলকানি, লাল চাক হয়ে ওঠা, চোখ চুলকানো ও লাল হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।

যেসব খাবারে অ্যালার্জিdownload

গরুর দুধ, ডিমের সাদা অংশ ও বাদাম। এ ক্ষেত্রে বাদামযুক্ত কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুটও হতে পারে। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম থেকেও অ্যালার্জি হয়।

চিংড়ি, ইলিশ মাছ, বেগুন, গরুর মাংস, খাসির মাংস হাঁসের মাংস ও ডিম খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। কোনো কোনো শিশুর পুঁটি, বোয়াল ও শোল মাছ এবং মিষ্টি কুমড়ায় অ্যালার্জি হতে পারে। ফাস্ট ফুডও অ্যালার্জির জন্য কম দায়ী নয়। ময়দাজাত এসব খাবারে গ্লুটিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা থেকে অ্যালার্জি হয়। মুখরোচক করার জন্য বাইরের অনেক খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট মেশানো হয়, তাতে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। বিভিন্ন কৃত্রিম রং ও মসলা থেকেও অ্যালার্জি হয়।images

শিশুদের প্রিয় খাবার চিপস। চিপস মচমচে রাখতে সালফাইড মেশানো হয়। তেমনি চিজ, কেক ও পেস্ট্রিতে মেশানো হয় টাইরামিন। এই সালফাইড ও টাইরামিন অ্যালার্জির জন্য দায়ী। শিশুরা কোমল পানীয় ও ফলের রস খেতেও ভালোবাসে। এসব পানীয়তে থাকে সাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ফ্লোরাইড প্রভৃতি। এসব থেকে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে।

প্রতিকার

* অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবারগুলো বর্জন করলে অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকা যায়। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী সব খাবারে সব শিশুরই যে অ্যালার্জি হবে তা নয়, একেক শিশুর একেক খাবারে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই কোনো খাবার খাওয়ানোর পর শিশুর প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে ওই খাবার বাদ দিন।

* অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের অ্যালার্জি দুই বছর বয়সের পর থাকে না। তাই এ সময় পর্যন্ত অ্যালার্জিযুক্ত খাবার বর্জন করা উচিত। মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার শেষের তিন মাসে অ্যালার্জিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।

* বুকের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খেলে শিশুর অ্যালার্জির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। তাই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

===================================================

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *