প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
অবসেসিভ-কম্পালসিভ রোগটির কোনো নির্দিষ্ট কারণ বলা যায় না। তবে এ রোগে আক্রান্তদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের নির্দিষ্ট একটি রাসায়নিকের তারতম্য দেখা যায়। যাদের বংশে ওসিডির ইতিহাস আছে, তাদের বংশগতির মাধ্যমে অথবা আক্রান্ত বাবা-মাকে অনুকরণের ফলে সন্তানের এ রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়া গবেষণায় দেখা যায়, পরিবেশগত নানা আচরণ, বিশ্বাস, মূল্যবোধ এবং বিশেষ কিছু শারীরিক রোগের সঙ্গে এ রোগের সম্পর্ক রয়েছে
অনেকেই স্বভাবগতভাবে খুঁত খুঁতে প্রকৃতির। খাওয়ার আগে থালাটা একবার পরিষ্কার করে সন্তুষ্ট হন না অনেকে, দরজায় তালা লাগিয়ে বার দুয়েক টেনে নিশ্চিত হয়ে নিতে হয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অন্যদের চেয়ে কিছুটা বেশি সতর্ক থাকেন। এসব ব্যক্তি চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। তবে এ ধরনের ব্যাপারগুলো যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ে, অনেকক্ষণ সময় নষ্ট করে, দৈনন্দিন কাজ-কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে; তবে সেটি রোগের পর্যায়ে চলে গেছে কিনা তা পর্যালোচনার প্রয়োজন পড়ে। যে রোগটির কথা বলা হচ্ছে চিকিৎসার পরিভাষায় তাকে ‘অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার’ বা সংক্ষেপে ওসিডি বলা হয়।
ওসিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মনে একই চিন্তা বা ছবি বার বার আসা অথবা একই কাজ বার বার করার উপসর্গ দেখা যায়। তিনি চিন্তাটি মাথা থেকে সরাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেন না। চিন্তার কারণে বা চিন্তা সরানোর চেষ্টায় ব্যর্থতার কারণে তার মধ্যে অস্থিরতা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। একই চিন্তার পুনরাবৃত্তির ফলে একই কাজ বার বার করতে থাকেন। যেমন, ব্যক্তির বার বার মনে হতে থাকে তার হাতে ময়লা লেগে আছে। এ কারণে তিনি বার বার হাত ধুতেই থাকেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাজনিত অবসেশনের কারণে অনেকের ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায় গোসলে। ‘শুচিবাই’ বলতে অনেকে যেটা বোঝেন- তা ওসিডির একটি ধরন। যেহেতুু অধিকাংশ রোগী বুঝতে পারেন তার চিন্তা ও আচরণগুলো অহেতুক এবং অতিরিক্ত, তিনি এর জন্য লজ্জিতবোধ করেন এবং উপসর্গগুলো অনেক সময় অন্যের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন।
অবসেসিভ-কম্পালসিভ রোগটির কোনো নির্দিষ্ট কারণ বলা যায় না। তবে, এ রোগে আক্রান্তদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের নির্দিষ্ট একটি রাসায়নিকের তারতম্য দেখা যায়। যাদের বংশে ওসিডির ইতিহাস আছে, তাদের বংশগতির মাধ্যমে অথবা আক্রান্ত বাবা-মাকে অনুকরণের ফলে সন্তানের এ রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়া গবেষণায় দেখা যায়, পরিবেশগত নানা আচরণ, বিশ্বাস, মূল্যবোধ এবং বিশেষ কিছু শারীরিক রোগের সঙ্গে এ রোগের সম্পর্ক রয়েছে।
ওসিডি একটি দীর্ঘমেয়াদি মানসিক রোগ। চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপসর্গগুলোকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অনেক রোগীর জন্য ওষুধ, আবার কারও জন্য কগনিটিভ ও বিহেভিয়ার থেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে, গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধ এবং কগনিটিভ-বিহেভিয়ার থেরাপি একত্রে প্রয়োগ করলে রোগীর উপকার বেশি হয়।
চিকিৎসা = এ রোগের জন্য একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি,অন্য কোনো চিকিৎসা ব্যাবস্থায় এ রোগের চিকিৎসা নাই।
==================================================================
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com