ডাস্ট মাইট। বাসাবাড়িতে বিশেষ করে শোয়ার ঘরের বিছানায় বসবাসকারী একটি অতি ক্ষুদ্র জীব। বিছানায় শুয়ে থাকলে বা ঘুমালে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় সে আমাদের সঙ্গী হিসেবে থাকে এবং অনেক সময় বিভিন্নভাবে অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
ডাস্ট মাইট অ্যালার্জির ফলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাঝে-মধ্যে নাক বা কান বন্ধ হয়ে থাকা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং অনেক সময় হাঁপানি রোগীদের হাঁপানির উদ্রেগ হয়। হাঁপানি রোগীদের অনেকের কাছে ডাস্ট মাইট একটি পরিচিত নাম।
ডাস্ট মাইট অ্যালার্জি না হওয়ার জন্য ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় উপায়গুলো হচ্ছেÑ
* বাসায় যথাসম্ভব কম আসবাবপত্র রাখা উচিত।
* বিছানায় সুতির চাদর ও বালিশের কভার ব্যবহার করা। ম্যাট্রেস, তোশক ও বালিশের বাইরে মাইট প্রতিরোধক সিনথেটিক কভারের ব্যবস্থা করা উত্তম। সকালে উঠে ও ঘুমের আগে বিছানা ঝাড়– দেয়া। প্রয়োজন ছাড়া বাকি সময়ে পুরো বিছানা আলাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা।
* কাঁথা, কম্বল, চাদর, বালিশ ইত্যাদি মাঝে-মধ্যে কয়েক ঘণ্টা রোদে দিতে পারলে আর্দ্রভাব চলে যায় এবং রোগজীবাণুও অনেকটা নির্মূল হয়।
* শোয়ার ঘরে বই, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ ও অরনামেন্ট না রাখা। এগুলোর ওপর সহজেই ধুলা জমতে পারে।
* ডাস্ট মাইট ঠা-া ও শুকনো জায়গায় টিকতে পারে না। তাই বাসায় প্রচুর বায়ু চলাচল থাকা দরকার।
* দেয়াল, কাঠের আসবাব, জানালা, কার্নিশ ও অন্যান্য স্থান থেকে মাঝে-মধ্যে ধুলা পরিষ্কার করা দরকার। প্রত্যেক দিন ঘর ঝাড়– দেয়া ও ঘর মোছা প্রয়োজন ।
* ধুলা পরিষ্কারের সময় নাক ঢেকে নেয়া বা মাস্ক পরা উচিত।
* সম্ভব হলে বাসায় কার্পেট না রাখা।
* বাসায় লোমশ ও পালকযুক্ত প্রাণী না পোষা।
চিকিৎসা — এ রোগের জন্য একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি,অন্য চিকিৎসা ব্যাবস্থায় এ রোগ থেকে সাময়িক উপশম পাওয়া যায় কিন্তু নির্মূল হয় না। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন নিমূর্ল হয়ে যায়।তাই দ্রুত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন।
====================================================
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall