মৃগী রোগীদের পুকুরে বা বাথটাবে গোসল না করে শাওয়ারের নিচে বা বালতি থেকে পানি উঠিয়ে গোসল করা নিরাপদ। শরীর ভালো থাকলে পুকুরেও হেসেখেলে গোসল করা যায়। তবে অবশ্যই ঘনিষ্ঠভাবে খেয়াল রাখার জন্য কাছের কেউ সঙ্গে থাকা দরকার, যেন প্রয়োজনে তাকে সামলানো যায়। রোগীর সমস্যা হতে পারে মনে হলে, দাঁড়িয়ে গোসল করার চেয়ে, প্লাস্টিকের চেয়ার, টুল, বেঞ্চ-এমনকি মাটিতে বসে গোসল করা হিতকর। হঠাৎ পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ার কোনো ভয় থাকে না। সম্ভব হলে বাসায় কেউ থাকলেই কেবল তাকে জানিয়ে গোসলে ঢোকা উচিত। প্রয়োজনে বাথরুমের ভেতরে বা দরজার বাইরে থেকে কেউ খেয়াল রাখতে পারেন। গোসলের সময় রোগী গুনগুন করে গান গাইতে পারলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
বাথরুম বা স্নানের জায়গা যেন কোনোভাবেই পিচ্ছিল, ভেজা, অপরিষ্কার বা উঁচুনিচু না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের জায়গায় খসখসে টাইলস বা ননস্কিড বাথরুম ম্যাট (nonskid bathroom mat) থাকলে ব্যালেন্স রাখতে সুবিধা হয়। ব্যবহারের পর প্রতিবারই পানি সরিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হলে, তা অন্তত সহ্য হওয়ার মতো গরম হতে হবে। পানি বেশি গরম হলে খিঁচুনির উদ্রেক হতে পারে। বেশি ঠান্ডা পানিতেও মৃগী রোগে সমস্যা হয়। তাই ঠান্ডার সময় গোসলের পানিটুকু একটু গরম করে নেয়াই ভালো। বাথরুমে গিজার থাকলে সুবিধামতো গরম পানি পাওয়া যায় ও গোসল করাটা অনেক সহজ ও আরামদায়ক হয়।
বাথরুমের দরজাটি কেবল বাইরের দিকে খুলবে। এটা স্লাইডিং ডোর বা পাল্লাযুক্তও হতে পারে। ছিটকানির ব্যবস্থা থাকা ঠিক নয়। সহজ কোনো লক থাকতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, বাথরুমে থাকা অবস্থায় দরজা ভেজিয়ে রাখতে পারলে। এ সময়ে দরজার বাইরে ‘ভেতরে কেউ আছেন’ ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। স্নানঘরে গ্রাবিং স্যান্ডেল পরা উত্তম। বাথরুমে যেন প্রচুর আলো ও বাতাস থাকে, সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারেন্ট চলে গেলে কমোডে বসা অবস্থাতেই যেন ইমারজেন্সি লাইটের ব্যবস্থা করা যায়। এখানে একটা অ্যালার্ম বেল থাকা একান্ত দরকার, যেন বিশেষ প্রয়োজনে বাইরের কাউকে ডাকা যায়। চশমা ব্যবহারকারীদের, সম্ভব হলে চশমাসহ বাথরুমে যাওয়া উচিত। তাতে চলাফেরা অনেক সহজ হয়। বাথরুমে ইলেস্ট্রিক রেজর বা হেয়ার ড্রায়ার রাখা ঠিক নয়। সামান্য অসাবধানতার জন্য কারেন্ট পানিতে মিশে গিয়ে রোগীকে তড়িতাহত হয়ে বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে।
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall