কাঁধ ও হাতের মধ্যকার জোড়ায় মানব শরীরের অন্যান্য জোড়া থেকে বেশি নড়াচড়া হয় এবং গঠনগতভাবে খুবই দুর্বল বলে এই জোড়া ছুটে যায় বা স্থানাচ্যুতি হয় অতি সহজেই। কোন জোড়া একের অধিক বার ছুটে গেলে তাকে বার বার স্থানচ্যুতি (ডিসপ্লেসমেন্ট) বলে। আঘাতের কারণে কাঁধের জোড়া ছুটে যায় শতকরা ৬০ ভাগ। একবার হাত ছুটে গেলে বা জোড়া স্থানচ্যুতি হলে পরবর্তীতে জোড়া ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ৮৬.৬ ভাগ এবং ইহা প্রথম আঘাতের ২ বছরের মধ্যে শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জোড়া স্থানচ্যুতি হয় সামনের দিকে (৯৫%)। পেছনের দিকে ৪% ভাগ এবং নিচের দিকে ১% ভাগ স্থানচ্যুতি হয়। জন্মগতভাবে জোড়ার লিগামেন্ট ও ক্যাপসুল ঢিলা থাকলে জোড়া সব দিকে স্থানচ্যুতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একে বহু দিক অস্থিতিশীলতা বলে।
কখন জোড়া ছুটে যায়
ক্রিকেট, ভলিবল, বাস্কেটবল, জ্যাবলিন থ্রো খেলোয়াড়দের মাঝে হাত ছুটে যাওয়া বা কাঁধের জোড়া স্থানচ্যুতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মৃগী রোগী খিচুনির জন্য পরে গেলে এবং ইলেকট্রিক শকের কারণে জোড়া স্থানচ্যুতি হয় পিছনের দিকে। স্ট্রোক এবং পেশী দুর্বলতা রোগের জন্য বেশি দুর্বল হলে হাত ছুটে যায়। সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করার সময় এবং বাসে উঠার নামার সময় ঠিকমত হাতল না ধরলে জোড়া ছুটে যেতে পারে। জামা কাপড় পরিধান ও খোলার সময়, ঘুমের মধ্যে, সাঁতরানোর সময় এবং জোড়ে হাঁচি কাশির সময় কাঁধ থেকে হাত ছুটে যায়। জোড়ার আবরণ ও লিগামেন্ট ছিড়ার কারণে উপরোক্ত ক্ষেত্রে জোড়া ছুটে যায়।
জটিলতা
তীব্র ব্যথা হয়। তবে বার বার জোড়া স্থানচুত্যি হলে কাঁধ ও হাতে কম ব্যথা অনুভব হয়। বার বার হাত ছুটে গেলে হাড় ভাঙা ছাড়াও পেশি, জোড়ার আবরণ, লিগামেন্ট ও স্লায় ছিরে যেতে পারে। এর ফলে হাত দুর্বল হবে এবং হাত সামনে, পিছনে ও উপরে তুলতে অসুবিধা হবে। হাতে ব্যথাসহ অবশভাব হয়। দীর্ঘদিন ধরে হাড় ও তরুণাস্থির ক্ষয়ের ফলে জোড়ায় অসটিওআর্থাইটিস হয়ে জোড়া নষ্ট হবে এবং স্থায়ীভাবে জমে যাবে।
করণীয়
প্রথমবার হাত ছুটে গেলে রোগীকে দ্রুত হোমিওপ্যাখি চিকিৎসা করতে হবে।
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall