ডাঃ এস.জামান পলাশ
ব্রেস্ট লাম্প বা ব্রেস্টে চাকা অনুভূত হওয়া মেয়েদের জন্য একটি বড় শঙ্কার বিষয়। তবে ব্রেস্ট লাম্প মানেই ক্যানসার নয়। ক্যানসার ছাড়াও ব্রেস্টে বিভিন্ন কারণে চাকা হতে পারে। ব্রেস্টে চাকা হওয়ার কিছু পরিচিত কারণ নিম্নে আলোচনা করা হলো।
ফাইব্রো এডিনসিস : এটি সাধারণত ২৫-৩৫ বছর বয়সে হয়ে থাকে। এ কারণে মাসিকের আগে বুকে চাকা ও ব্যথা অনুভব হয়। তা মাসিক হওয়ার পর কমে যায়। মাসিকের সময় যে হরমোন নিঃসরিত হয়, এর কারণে ব্রেস্টের টিস্যুতে কিছু পরিবর্তন হয়। ফলে এ ধরনের অনুভূতি হয়।
ফাইব্রো এডিনোমা : এটি একটি বিনাইন লাম্প এবং ১৫-২৫ বছর বয়সে বেশি হয়। সাধারণত হঠাৎ করে বুকে এই চাকা ধরা পড়ে। তা সহজেই নড়াচড়া করে ও ব্যথাহীন হয়ে থাকে। এ জন্য এই ধরনের চাকাকে ব্রেস্ট মাউস বলা হয়।
ব্রেস্ট সিস্ট : সিস্ট হচ্ছে পানিভর্তি টিউমার। এগুলো যে কোনো বয়সে হতে পারে। তবে নারীদের মেনোপোজের আগে বেশি হয়। সিস্টগুলো মসৃণ ও গোলাকার হয়ে থাকে। এর চিকিৎসা হচ্ছে নিডলের মাধ্যমে পানি অপসারণ করা।
ব্রেস্ট অ্যাবসেস বা ইনফেকশন : এটি স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া আঘাতপ্রাপ্ত স্থান, বিশেষ করে ক্রাক নিপল দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুঁজ তৈরি করে। এটি খুব ব্যথাযুক্ত হয়।
ফ্যাট নেক্রসিস : কোনো কারণে ব্রেস্ট আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্রেস্টের ফ্যাটি টিস্যু নেক্রসিস হয়ে চাকা তৈরি করে। এগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে অপসারিত হয়।
লাইপোমা : এটি ফ্যাটি টিস্যুর টিউমার। তা ক্যানসার নয়।
ব্রেস্ট ক্যানসার : ব্রেস্টে চাকার একটি কারণ হচ্ছে ক্যানসার। অন্যান্য চাকার সঙ্গে এর পার্থক্য হলো, এটি সহজে নড়াচড়া করানো যায় না। তা উপরিভাগ অমসৃণ ও সাধারণত ব্যথাহীন হয়ে থাকে।
কীভাবে ব্রেস্টের চাকা বোঝা যাবে
সেলফ এক্সামিনেশনের মাধ্যমে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা যায়। প্রতি মাসে মাসিকের পর আপনি ঘরে বসেই এ পরীক্ষা করতে পারেন।
কী কী পরীক্ষার দরকার হতে পারে?
চাকার কারণ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হয়- আলট্রাসনোগ্রাম, এফএনএসি, বায়োপসি, ম্যামোগ্রাফি ইত্যাদি।
ক্যানসার প্রতিরোধের কিছু উপায়
যাদের ফ্যামিলিতে ব্রেস্ট ক্যানসারের হিস্ট্রি আছে, তাদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এছাড়া সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হরমনাল পিল ৩-৫ বছরের অধিক গ্রহণ না করা এবং শিশুকে সঠিকভাবে বুকের দুধপান করালে ব্রেস্ট ক্যানসারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যে কোনো চাকা অনুভব হলে অবশ্যই ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে এর ধরন নির্ণয় করতে হবে- বিশেষ করে চাকাটি যদি মাসিক হওয়ার পরও মিলিয়ে না যায়, আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে অথবা ব্যথা থাকে।
ব্রেস্টের চামড়ায় কোনো পরিবর্তন দেখলে- কুঁচকানো ভাব, লোমকূপের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়া অথবা রঙের কোনো পরিবর্তন ইত্যাদি।
নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে গেলে অথবা এ থেকে কোনো অস্বাভাবিক ডিসচার্জ বা রস বের হলে।
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall