মারাত্মক যৌন সংক্রামক রোগ ** শ্যানক্রয়েড

uuuuশ্যানক্রয়েড রোগ একটি মারাত্মক যৌন সংক্রামক রোগ। যে জীবাণু দিয়ে এ রোগ হয় তার নাম ‘হেমোফাইলাস ডুকরি’। এই জীবাণু প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৮৮৯ সালে। যে বিজ্ঞানী এই জীবাণু আবিষ্কার করেন তার নাম ডুকরি। তার নামেই এই রোগের জীবাণুর নামকরণ করা হয় হেমোফাইলাস ডুকরি। এটিকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন : মৃদু ঘা (Soft Sore) বা মৃদু শ্যাংকার বা আলএসার মলি ইত্যাদি।
সিফিলিস বা গনোরিয়ায় যেমন মূত্রনালী আক্রান্ত হয় এ রোগের ক্ষেত্রে কিন্তু মূত্রনালী আক্রান্ত হয় না। এ ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ছোট ছোট ফুসকুড়ি হয় এবং পরে তা গলে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে ঘা বা ক্ষতগুলো একটি নয়, হবে অনেক এবং ব্যথাযুক্ত নোংরা ও বিনষ্ট ক্ষত যার থেকে স্থানীয় (Inguinal) লসিকাগ্রন্থিগুলো পুঁজযুক্ত প্রদাহজনিত হবে, আবার নাও হতে পারে। ক্ষত বা ঘায়ের চার ধারে সরু লালচে রঙের রেখা দেখা যায় এবং সেই সাথে কিছুটা ফোলাও থাকতে পারে। ক্ষতের গায়ে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব হয় এবং রক্তও ঝরতে পারে।শ্যানক্রয়েড

উল্লেখ্য, সিফিলিসের ক্ষত বা ঘা সাধারণত একাধিক হয় না কিন্তু এ ক্ষেত্রে সাধারণত একাধিক ক্ষত হয় এবং সিফিলিসের ক্ষতে ব্যথা থাকে না কিন্তু এ ক্ষতে ব্যথা থাকে। এ রোগের ক্ষতগুলো থেকে পুঁজ ও কষ ঝরতে দেখা যায়। আবার কখনো কখনো কুঁচকির লসিকাগ্রন্থিগুলো ফুলে গোটার আকার ধারণ করে। এ রকম ক্ষেত্রে প্রস্রাব বের হওয়ার সময় ব্যথা অনুভব করতে পারে। সেই সাথে জ্বর জ্বরভাব ও গা ম্যাজ ম্যাজ করতে পারে। এ রোগকে ফিসিলিস মনে করে অনেক ডাক্তারই ভুল করে পেনিসিলিন ইনজেকশন দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে এই রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি।

শ্যানক্রয়েড রোগ আক্রান্ত স্থানগুলো

মহিলা-শ্যানক্রয়েডমূলত এটি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গেই আক্রমণ ঘটায়। তবে এর বাইরেও এর আক্রমণ হতে পারে। যেমন: পায়ুপথের পাশের এলাকা, হাত, মুখ ও স্তন।

শ্যানক্রয়েড রোগ নির্ণয়

রোগীর থেকে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে, তার ব্যভিচারের ইতিহাস রয়েছে কি না, থাকলে তা কত দিনের মধ্যে ঘটেছিল তা জানতে হবে।

ক্ষত বা ঘায়ের সংখ্যা ক’টি এবং তাতে ব্যথা আছে কি নেই জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য, সিফিলিসে সাধারণত একটি ঘা বা ক্ষত থাকে এবং তাতে ব্যথা-বেদনা থাকে না কিন্তু এ ক্ষেত্রে ক্ষত হবে একাধিক এবং তাতে ব্যথা-বেদনা উপস্থিত থাকবে। এ ছাড়া ল্যাবরেটরিতে অনুলেপ নিয়ে গ্রাম স্ট্রেইন পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। কালচারের মাধ্যমে নিশ্চিত রোগ নির্ণয় করা যায়। এর বাইরেও বায়োপসির মাধ্যমে নেয়া ক্ষতের পরীক্ষা করে Zone পাওয়া যায়, যা রোগ নির্ণয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে তিনটি Zone পাওয়া যায়।

শ্যানক্রয়েড রোগ চিকিৎসা

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ রোগের চিকিৎসা নিজে নিজে করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ তাতে ভুল চিকিৎসার পরিণতিতে আপনাকে অনেক কষ্ট বইতে হতে পারে। তবে এ রোগের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উত্তম।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

 ★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *