নিজের কারণেই হাড়ের ক্ষয়!

d98f228250386bcfd6fc2411960e40b4মানব দেহের কাঠামো তৈরি এবং সঠিকভাবে চলাচলে সহায়তা করে হাড়। হাড়ের কোনো সমস্যা হলে আমাদের চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকে জালা-যন্ত্রণা। অথচ দেহের এই মূল্যবান অংশকে আমরা অযত্ন আর অবহেলায় দিনের পর দিন ভঙ্গুর করে দিচ্ছি। আমাদেরই কিছু উদাসীনতার কারণে দেহের হাড় ক্ষয়ে পঙ্গুতে পরিণত হচ্ছি। হাড়ের রোগগুলোর মাঝে বর্তমানে অস্টিওপোরোসিস নামক রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই রোগটির কারণে হাড়ের মজবুত গঠন ক্ষয়ে যেতে থাকে। না বুঝে আমরা এমন কিছু খাবার খাই, যা এই রোগকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করে। যেমন…

লবণাক্ত খাবার
লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড দেহ থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিয়ে হাড়কে দুর্বল করে ফেলে। চিপস, বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, কাচা খাবারে বা সালাদে মেশানো লবণ, খাবারের সময় বাড়তি লবণ খাওয়া হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও অতিরিক্ত লবনযুক্ত খাবার অনেকেই খুব বেশি পছন্দ করেন। তারা সাধারণত এই ধরণের রোগে ভুগে থাকেন।

মাংস খাওয়া
মাংস হচ্ছে প্রাণীজ প্রোটিন। অতিরিক্ত মাংস মানে অতিরিক্ত প্রোটিন। এই প্রোটিন দেহে তৈরি করে অতিরিক্ত অ্যাসিড। যাকে নিষ্ক্রিয় করতে ক্যালসিয়াম কাজ করে থাকে। তাই হাড়ে ক্যালসিয়াম কম পৌঁছতে পারে। এতে ক্ষতি হয় হাড়ের।

কোমল পানীয়
ছেলে-বুড়োর এক উল্লেখযোগ্য অংশের পছন্দ কোমল পানীয়। এসব পানীয়তে রয়েছে ফসফরিক অ্যাসিড। দেহে ফসফরিক অ্যাসিডের প্রবেশ ঘটলে প্রশ্রাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে থাকে দেহের কাঠামো।

ক্যাফেইন
চা ও কফির ক্যাফেইনও হাড়ের ক্ষয়ের জন্য দায়ি। চা বা কফি পান খুব ক্ষতিকর কিছু নয়, যদি নিয়ম মেনে পান করা যায়। তবে অতিরিক্ত চা বা কফির ভক্তদের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *