
প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কোন খাবার খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়। এর জন্য দৈনিক কি কি খাবার খাওয়া হচ্ছে তা লিখে রাখতে হবে। যেদিন পেটে অস্বস্তি অনুভব হবে সেদিন তালিকা দেখতে হবে কোন খাবার নতুন যোগ হয়েছে। এক সপ্তাহ সে খাবার বাদ দিয়ে এরপর আবার খেতে হবে। যদি সমস্যা হয় বুঝতে হবে এটিই ট্রিগার ফুড। এভাবে গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অন্য খাবার দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। ননিবিহীন দুধ, কমলার রস, সবুজ চা, চাল, চালের গুঁড়ার কেক, চর্বি ছাড়া মাংস (মুরগি) ও ছোট মাছ দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। এতে পুষ্টির ঘাটতি হবে না।
যাদের আঁশযুক্ত খাবারে গ্যাস হয় তারা সবজি সিদ্ধ করে খেতে পারেন। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে হবে, এতে খাদ্যনালী সচল হবে ও পাকস্থলী খাবার গ্রহণের উপযোগী হবে। খাওয়ার পর সামান্য হাঁটাহাঁটি করলে পেটের গ্যাস সিস্টেমের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। সকালে খালি পেটে ইসপগুলের সরবত পেটের গ্যাসের সমস্যার জন্য উপকারী।
তাছাড়া ধূমপান, এলকোহল ও চুইংগাম চিবানো বাদ দিতে হবে। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। নিয়মিত রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। যেসব খাবার পেট ঠাণ্ডা রাখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সে রকম খাবার রাখতে হবে। খাবার পরিবর্তনের পরও যদি পেটের সমস্যা সমাধান না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।