কানপাকা নিয়ে অবহেলা নয় ঳চিকিৎসা আছে

images (5)কানপাকা বলতে আমরা মধ্যকর্ণের দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণকে বুঝি। কানপাকা রোগের চিকিৎসা ধৈর্যসহকারে গ্রহণ করতে হয়। কানপাকা রোগ সারাতে চিকিৎসকের উপদেশ মেনে চলার বিকল্প নেই।

গোলাকার কানের পর্দার দুটি অংশ থাকে। ওপরের দিকের অংশটি একটু ঢিলেঢালা, আর নিচের অংশটি টানটান। টিউবোটিম্প্যানিক ধরনের কানপাকার প্রভাব পড়ে কানের পর্দার টানটান অংশে। অর্থাৎ কানের পর্দার টানটান অংশটি ফুটো হয়ে যায়। ফুটো হওয়ার কারণে কান দিয়ে পুঁজ পড়ে থাকে। এই ধরনের কানপাকা রোগই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কানপাকা রোগ হলে মাঝেমধ্যে কান দিয়ে পুঁজের মতো পানি ঝরে। পুঁজ-পানির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। অনেক সময় ঠাণ্ডা সর্দি হলেই এই পুঁজ পড়া আবার শুরু হয়। সঙ্গে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটলে কান চুলকায়। কানের পর্দা ছিদ্র হওয়ার কারণে কানে কম শোনা যায়।

সচরাচর যে কারণে হয় নিরাপদ পর্যায়ের এই কানপাকা রোগ হয় :

১. মধ্যকর্ণে পুঁজ সৃষ্টি হওয়ার পর সেই রোগ যদি পুরোপুরি সেরে না ওঠে তাহলে তা তীব্র হয়ে কানের পর্দা ফুটো করে ফেলতে পারে। এভাবেও দীর্ঘমেয়াদি ধরনের নিরাপদ পর্যায়ের কানপাকা রোগের উৎপত্তি হয়।

২. বারবার ঊর্ধ্বশ্বাসনালির প্রদাহ। বলা হয়ে থাকে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই কারণে কানপাকা রোগ হয়।

৩. নাকের পেছনের টনসিলের (এডিনয়েড) বৃদ্ধি, মধ্যকর্ণে তরল পদার্থ জমে থাকাজনিত সমস্যা কিংবা অন্য কোনো কারণে দীর্ঘদিন কান বন্ধ বা কানে তালা লেগে থাকলে ও ঘন ঘন টনসিলের সমস্যা থেকে কানপাকা রোগ হতে পারে।

এ ছাড়া কানের শ্রবণক্ষমতা পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজেই কানে কম শোনার মাত্রা বোঝা যায়।

চিকিৎসা : কান দিয়ে পুঁজ-পানি পড়া অবস্থায় প্রথমেই হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে কানের চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি কানের যত্নে কিছু উপদেশও মেনে চলতে হবে। কানপাকা রোগ সেরে যাওয়ার পর কান রোগমুক্ত হয়,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *