পর্নোগ্রাফি দেখলে নারীদের যে সমস্যাগুলো হয়

indexরতি চারজন ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভোগা রোগীর মধ্যে একজন কম বয়সী। গবেষণা বলে এ কথা। সম্প্রতি চালানো গবেষণাটি প্রকাশিত হয় জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিনে।

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হল পুরুষাঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা। প্রচলিত ভাষায় ধ্বজভঙ্গ নামে পরিচিত। সাধারণত চল্লিশোর্ধ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ বেশী দেখা যায়।

২০০২ সালের ডাচদের উপর করা গবেষণায় দেখা যায়, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে চল্লিশের নিচে বয়সী রোগীর সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ। যদিও দুটি গবেষণাই বিদেশি কিন্তু বাংলাদেশের চিত্রও এরকম হবে বলে ধারণা বাংলাদেশের যৌন বিশেষজ্ঞদের।

দেশীয় যৌনবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তরুণদের মধ্যে এই রোগ বেড়ে যাওয়ার কারণ পর্নোসাক্ত হওয়া। তারা বলেন, অনলাইন পনোগ্রাফি এক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। কারণ যৌন উত্তেজক ছবি দেখার ফলে তরুণদের মধ্যে হস্তমৈথুনের হার বেড়ে যায়, যা তাদের যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ যৌনমিলনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল হিসাবে মিলনের পূর্বে হস্তমৈথুন করে। এতে তাদের যৌন উত্তেজনা থিতিয়ে যায়।

imagesদীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকার কারণেও এই রোগ দেখা যায়। মানসিক চাপের সাথে পর্নোগ্রাফির সম্পর্ক হল পর্নোগ্রাফি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ফলে দেখা যায়, যারা দীর্ঘদিন মানসিক চাপে ভোগে তাদের মধ্যে এ ধরনের ছবি দেখার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি।

পর্নোগ্রাফির প্রতিক্রিয়ায় হস্থমৈথুন করার ফলে ব্রেইন এবং শরীর দুটোই ঐ ধরনের উত্তেজনায় অভ্যস্থ হয়ে পরে। স্পর্শে উত্তেজিত হওয়ার প্রবনতা কমে যায় যা স্বাভাবিক যৌনতাকে ব্যহত করে।

আমাদের দেশে এই পুরো বিষয়টাকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে দেখা যায়। বিশেষ করে ফুটপাতে যৌনউত্তেজক ঔষধ বিক্রেতাদের মধ্যে। তাদের কথায় ‘যৌবনে নিজের উপর অনেক অত্যাচার করেছেন তাই যৌন শক্তি কমে গেছে।’

প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা তা নয়। বরং পর্নোগ্রাফি দেখা ও তার প্রতিক্রিয়ায় হস্থমৈথুন করার ফলে যৌন ইচ্ছা অনেকটা অবদমিত হয়। এ কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *