পোষা বিড়াল হতে পারে ক্যান্সারের কারণ!

বিড়াল আমাদের আদুরে পোষা প্রাণী। পরিবারের একজন নিকটতম সদস্যের মতোই এটি আমাদের গৃহস্থালীতেই থাকে। কখনো খাবার টেবিলে, বিছানায় উঠে যায়। এর লোমশ দেহে হাত বুলাতে অনেকেই পছন্দ করে। শীতের দিন বিড়াল বুকের কাছে এসে ঘুমিয়ে থাকে লেপ-কম্বলের তলে। তার উষ্ণতায় আমরা উষ্ণ হই। 

কিন্তু, নিরীহ এ প্রাণীটি এতো নিরীহ নয়। এর ছোঁয়ায় আমাদের হতে পারে আলঝেইমার, ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে এমনই এক ভয়ঙ্কর তথ্য।

এতোদিন বিড়াল শুধুমাত্র গর্ভবতী নারীদের কাছে ভিড়তে দেয়া হতো না। কারণ, বিড়ালের দেহের পরজীবী গর্ভবতী নারীর শিশুকেও আক্রান্ত করতে পারে এবং এর ফলে অকাল গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে।

কিন্তু, আলেকজান্দ্রা থমসন স্বাস্থ্য প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, বিড়ালের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই সাবধান থাকা উচিত। এর মুখের লালা গ্রন্থি এবং পায়খানার সাথে বাহিত জীবাণু মানবদেহের প্রায় এক হাজার ক্যান্সার জিনকে বাড়তে সহযোগিতা করে।

মানুষ একবার এর জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে তার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং মস্তিষ্কের কোষকেও তা আক্রান্ত করে। ফলে আলজেইমার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। আলজেইমার এমন একটি রোগ যা হলে মানুষের স্মৃতিভ্রষ্ট হয় এবং মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

১৯৮১ সাল থেকে এ নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে। গবেষকরা দেখেছেন ১৯৮১ সাল থেকে বিড়ালের টক্সিপ্লাজমা গ্রন্ডি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২০০ জন। ডাঃ স্টিথলার এটাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা বলে উল্লেখ করেছেন। এ সংক্রান্ত কেনো চিকিৎসা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধ ব্যবস্থার আগ পর্যন্ত বিড়ালের হাত থেকে যতোটা পারা যায় দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ডাঃ স্টিথলার আরো বলেছেন, বিড়ালের দেহে ছড়ানো পরজীবী দ্বারা শুধুমাত্র এসব বড় রোগ নয়, অনেক ছোটখাট ক্ষতিকর চর্মরোগও হতে পারে। ক্যান্সার, আলঝেইমার ছাড়ার যে দুটো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা সবচেয়ে বেশি তা হচ্ছে মৃগী রোগ এবং পারকিনসন রোগ হয়।

পারকিসন রোগও মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে, যার ফলে নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে টিউমার, ক্ষত, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এ প্রতিবেদনটি অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।