মানুষ তোতলায় কেন? এর চিকিৎসা কী?

Photo-Post-Design_Blog4

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

‘তোতলামি করাটা এক ধরনের রোগ। এই রোগের পিছনে অনেকগুলো কারণ চিন্তা করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের বেশ কয়েকটি অংশ দিয়ে। বিভিন্ন অংশে সমস্যা হলে বিভিন্ন ধরনের কথা বলা সংক্রান্ত রোগ হয়। তোতলামি বা স্টাটারিং-এর পিছনে ব্রেইনের কোন অংশ কাজ করছে সেটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। কেউ বলছেন যারা তোতলায় তাদের ব্রেইনের সামনের নিচের দিকের অংশ, যেটাকে ব্র্রোকাস এরিয়া বলে এবং যেটা মানুষের কথা বলতে পারাকে প্রোগ্রাম করে, সেটাতে ফাংশন কম হয়। আবার কেউ বলছেন ‘রাইট ফ্রণ্টাল অপারকুলাম’নামক একটা জায়গায় এবনরমাল একটিভিটি হয়। তবে মূলত দেখা গেছে কথা বলার সময় ব্রেইনের বিভিন্ন অংশগুলো যেই ক্রমে কাজ করে, তোতলামোর রোগীদের সেই ক্রমটা একটু ওলটপালট হয়ে যায়।
কথা যখন আটকে যায় – তোতলানো এক বড় সমস্যা,কথা বলতে গেলে প্রথম শব্দেই আটকে যান৷ অনেক টেনেটুনে বাক্যটা শেষ করতে পারেন৷ টেলিফোন করতে ভয় পান৷ রাস্তা খুঁজে না পেলে, কাউকে জিজ্ঞেস করতেও সংকোচ বোধ করেন তাঁরা৷ আর এই তোতলাদের ৮০ শতাংশই পুরুষ৷জার্মানিতে আট লক্ষ মানুষ তোতলা৷ সাধারণত সমস্যাটা তিন থেকে ছয় বছরের মধ্যে শুরু হয়৷ ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বাচ্চার ক্ষেত্রে তোতলামি ভালো হয়ে যায় বড় হতে হতে৷ অন্যরা এই সমস্যা নিয়েই জীবন কাটান৷ পুরোপুরি ভালো হয় না তাঁদের এই প্রতিবন্ধকতা৷কথা বের হয় না কিছুতেই তোতলারা যা বলতে চান, তা তাঁরা ঠিকই জানেন৷ কিন্তু বলতে গেলে শব্দটা কিছুতেই বের হতে চায় না৷ একটা শব্দ বা কথা বারবার বেরোতে থাকে৷ তাই তাঁরা মানুষজনের মধ্যে যেতে চান না৷ গুটিয়ে থাকেন৷ অনেক ভূক্তভোগী আবার কিছু কিছু শব্দ বা পরিস্থিতি এডড়িয়ে চলেন৷ কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চান না৷কেন মানুষ তোতলায়, শরীরের কোন মেকানিজম এজন্য দায়ী, তা নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে৷ কারণ বের করার জন্য ১৫ বছর ধরে একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ আর তা হলো ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই৷ এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্রিয়ার্কমের ছবি উঠে আসে৷
মানসিক চাপে বাড়ে
গবেষকরা মনে করেন, তোতলানোর পেছনে নিওরোলজিক্যাল ও মানসিক কারণ – এই দুটোই থাকতে পারে৷ দেখা গেছে, মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে তোতলামির মাত্রা বেড়ে যায়৷ জিনেরও একটি বেশ বড় ভূমিকা রয়েছে তোতলামিতে৷ চার ভাগের তিন ভাগ তোতলার ক্ষেত্রে এই কথা প্রোযোজ্য৷ কোনো কোনো পরিবারে অনেকেই তোতলা৷ যেমনটি রাইনার ননেনব্যার্গ-এর পরিবারে দেখা যায়৷ রাইনার বলেন, ‘‘আমার বাবা ও দাদা তোতলাতেন৷ আমার একটি ছেলে আছে, সেও তোতলায়৷”
শিশুরা যখন প্রথম কথা বলতে শেখে তখন তাদের মুখে থাকে আধো আধো বোল। একটু ধীরে, ধাক্কা খেয়ে খেয়ে, বেধে বেধে কথা বললেও সেটা স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ধাক্কা বা বেধে যাওয়া স্থায়ী রূপ নিতে শুরু করলে এটাকে আর অবহেলা করা উচিৎ নয়। এই ধাক্কা খাওয়া বা বেধে যাওয়াই হতে পারে আপনার শিশুর তোতলানো সমস্যার লক্ষণ।তোতলানো একটি কথা বলা বা শব্দ উচ্চারণের সমস্যা। তোতলানোর সমস্যা বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমনঃ কথা বলার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট কোনো শব্দের পুনরাবৃত্তি হওয়া, শব্দের প্রথম অক্ষর টেনে বা লম্বা করে বলা এবং কথা বলার সময় হঠাৎ করে কথা আটকে যাওয়া। কথা আটকে গেলে ব্যক্তি মুখ নাড়ানোর চেষ্টা করে, মুখ থেকে হালকা থুতু বের হয় কিন্তু কথা স্পষ্টভাবে বলতে পারে না।৯-১১ বছর বয়সী শিশুর মধ্যে এই ধরনের তোতলানো সমস্যা দেখা দেয়।
বংশগত সমস্যাঃ প্রায় ৬০% তোতলানো সমস্যা বংশগত কারণে হয়ে থাকে। কোন কোন বিষয় গুলো এই সমস্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ? বিভিন্ন কারণে তোতলানো সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমনঃ একই পরিবারের কোনো সদস্যের এই সমস্যা থাকলে শিশুর মধ্যে তোতলানো প্রবণতা দেখা যায়। শৈশবে মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্তÍ হলে বা অন্যকোনো কথা বলার সমস্যা থাকলে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
চিকিৎসাঃ
হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক তোতলানো রোগীর সমস্যা কি ধরনের তা বুঝে,সঠিক মেডিসিন প্রয়োগ করলে ইনশাআল্লাহ রোগ মুক্তি হবে।এ্যালপ্যাথিতে এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই,একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি।

রোগরি জন্য কিছু টিপসঃ
প্রথমত তোতলানো সমস্যার ধরন বা প্যাটার্ন চিহ্নিত করুন। অর্থাৎ আপনি কোনো নির্দিষ্ট অক্ষর বা শব্দাংশ পুনরাবৃত্তি করছে কিনা বা টেনে বলছেন কিনা অথবা কোন কোন অবস্থাতে এ সমস্যার অবনতি হচ্ছে তা চিহ্নিত করুন।
কথা বলার সময় তোতলানো প্রবণতা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কথা বলার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না এবং যেকোনো একটি বাক্য দুই থেকে তিনবার স্পষ্টভাবে বলার চেষ্টা করুন।
তোতলানো সমস্যার কারণে অনেকের মধ্যে বা জনসম্মুখে কথা বলতে ভয় কাজ করলে তা দূর করার চেষ্টা করুন।
দৈনন্দিন জীবনে আপনার আশেপাশের মানুষের কথা মনোযোগ সহকারে শোনার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে আপনি খেয়াল প্রায় প্রত্যেক মানুষই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলার সময় কখনো না কখনো দ্বিধা-দ্বন্ধে ভোগে এবং স্বাভাবিক কথা বলা ও তোতলানোর মধ্যে পরিষ্কার কোনো পার্থক্য নেই। এই অভিজ্ঞতা আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং তোতলানো সমস্যার সহজ সমাধান পাওয়া যাবে।
দ্রুত একজন ভালো হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিন

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *