মেয়েদের মুখে অতিরিক্ত লোম কেন হয়? চিকিৎসা

50844_139দাড়ি-গোঁফ পুরুষত্বের প্রতীক- পুরুষদের আশীর্বাদ বৈকি? আর তা যদি হয় একজন নারীর। তাহলে যেন বিষণ্নতার শেষ নেই। এ যেন বেদনাহতের অন্যতম একটি কারণ। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ রোগের নাম ‘হারসুটিজম’। হয়তো মনে প্রশ্ন জাগবে- এটি কি কোনো জটিল অসুখ?
এক কথায় বলা যায়- বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ অসুখ সাধারণ একটি সমস্যা যার চিকিৎসার জন্য ওষুধের চেয়ে অধিক জরুরি হলো কিছু নিয়মাবলি অনুসরণ।
হারসুটিজমের কিছু কারণ :
বেশির ভাগ সময় কারণ জানা যায় না অর্থাৎ ইডিওপেথিক।
বংশগত বা জাতিগত।
মাসিক বন্ধ হওয়ার পরবর্তী সময়।
কিছু ওষুধ খেলে যেমন- স্টেরয়েড, ফেনিটয়েন, সাইক্লোস্পোরিন, এন্ডোজেন, ডায়াজোক্সাইড, মিনোক্সিডিল, প্রোজেমটেরন।
পিসিওএস বিশেষ করে যুবতীদের।
এক্সোমিগেলি, পরফাইরিয়া কিউটেনিয়া টারডা, সিএএইচ ইত্যাদি।
হারসুটিজমে কী করবেন
 ব্যায়াম যা অবশ্যই করতে হবে। সকাল বা বিকেল ৩০-৪০ মিনিট করে একটু জোরে জোরে হাঁটা অথবা ৫-১০ মিনিট জগিং বা দড়ি দিয়ে লাফানোর অভ্যাস খুব সহজেই করা সম্ভব।
ডাক্তারের ওষুধের ওপর নির্ভর করতে চাইলে ধরে নিতে হবে এতে সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া কঠিন।
লেবু, আমড়া, জাম্বুরা, আমলকী জাতীয় টক খাবার বেশি খেতে হবে।
শরীর মুটিয়ে গেলে প্রথম চিন্তা থাকতে হবে কিভাবে ওজন হ্রাস করা যায়। এ জন্য একজন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অধিকতর ফলদায়ক।
ক্ষেত্র বিশেষ ব্লিচিং, এপিলেশন বা লেজার থেরাপি।
হারসুটিজমে কি করবেন না
ব্লেড দিয়ে লোম কর্তন
টেনশন
ফাস্টফুড খাওয়া
মনে রাখতে হবে, মুখে যদি একবার লোম বৃদ্ধি পেয়েই যায় তাহলে কোনো ওষুধ নিয়ে তা তুলে ফেলা বা কমিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। বরং এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হচ্ছে- ‘মুখে নতুন করে যাতে লোম না গজায় সে জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ ও নিয়মকানুন রোগীকে বুঝিয়ে দেয়া।’
আর মাসিক নিয়মিত থাকলে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, এ রোগে শরীরের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব খুবই কম এবং অত্যন্ত সাধারণ চিকিৎসায় এর নিরাময় সম্ভব।

চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন

https://zamanhomeo.com/?p=2154

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *