বয়স বাড়লে অনেকেই হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন। হাঁটুর অস্থিসন্ধির ক্রমাগত ক্ষয়ের কারণেই এ সমস্যা হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় আঘাত বা অন্য কোনো রোগের কারণেও ব্যথা হতে পারে। কারণ যা-ই হোক, সিঁড়ি ভাঙতে, বসা থেকে উঠতে হাঁটুব্যথা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। এই ব্যথা এড়াতে আগে থেকেই সাবধান হতে পারেন। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
♣১. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। পায়ের মাংসপেশির দৃঢ়তা থাকলে হাঁটুব্যথার ঝুঁকি ও তীব্রতা কমে। সাইকেল চালাতে পারেন। বাড়িতে স্থির সাইকেল থাকলে ভালো। সাঁতারও খুব ভালো ব্যায়াম।
♣২. খেলাধুলা এবং দৌড়-ঝাঁপের সময় অবশ্যই সঠিক জুতা পায়ে দিতে হবে। খেলতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা থাকলে হাঁটুর সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করুন।
♣৩. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
♣৪. ব্যায়াম করার সময় হাঁটুব্যথা শুরু হলে ব্যায়াম থামিয়ে দিন। হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, এমন ব্যায়াম করবেন না।
♣৫. হাঁটুতে আঘাত লাগতে পারে, এমন কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো। তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠতে গিয়ে বা বাস থেকে নামতে গিয়ে অনেকেই হাঁটুতে ব্যথা পান।
♣৬. বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের হাঁটার সময় লাঠি বা ওয়াকার প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে এগুলোর সহায়তা ছাড়া হাঁটতে যাওয়া উচিত নয়; এতে পড়ে গিয়ে হাঁটুসহ শরীরের অন্যান্য স্থানে মারাত্মক আঘাত লাগতে পারে।
যাঁদের ইতিমধ্যেই হাঁটুর সমস্যা হয়ে গেছে, তাঁরাও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। যেমন:
♣১. হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে, এমন ব্যায়াম বা দেহভঙ্গি পরিহার করুন; লাফিয়ে ব্যায়াম করবেন না।
♣২. হাঁটাহাঁটি ও হালকা ব্যায়াম করুন। সাইকেল চালনা বা সাঁতার কাটাও নিরাপদ। যেসব ব্যায়াম বসা অবস্থায় করা যায়, সেগুলো করুন।
♣৩. হাঁটার সময় হাঁটুতে নি-ক্যাপ পরে নিতে পারেন।
♣৪. দীর্ঘ সময় হাঁটু ভাঁজ করে বসবেন না। রান্নাঘরের কাজগুলো দাঁড়িয়েই করার ব্যবস্থা করে নিন। বাগান করার শখ থাকলে টুলে বসে কাজ করুন। বাথরুমে উঁচু কমোডের ব্যবস্থা করে নেওয়া ভালো।
নিকটস্থ কোনো ভালো হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসা নিন
* রোগ মুক্তি পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ, তার পরও যদি সমাধান না পান তা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল- dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com