প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
এলোপ্যাথিক টিকা নেওয়ার পর কোন অসুখ হোক বা না হোক Thuja occidentalis (শক্তি ৩০) রোজ একবেলা করে দুই সপ্তাহ খেয়ে রাখুন। ঔষধটি বড়িতে কিনবেন এবং প্রতিবার ৪/৫ টি করে বড়ি খাবেন। এতে টিকা নেওয়ার ফলে যে-সব রোগ হয়েছে, সেগুলো চলে যাবে এবং ভবিষ্যতে যে-সব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলো আর হবে না। যখনই কোন টিকা নিবেন, পাশাপাশি থুজা নামক হোমিও ঔষধটিও সেবন করবেন। তাতে টিকার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বেচেঁ যাবেন।
♣* যক্ষা প্রতিরোধের জন্য বি.সি.জি. টিকার বদলে Bacillinum (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে তিন মাস খাওয়ান (জন্মের পর থেকে এক বছর বয়সের মধ্যে)।
♣* শিশুর ডিপথেরিয়া প্রতিরোধের জন্য ডি.পি.টি. টিকার বদলে Diphtherinum (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে তিন মাস খাওয়ান (জন্মের নয় থেকে বারো মাসের মধ্যে)।
♣* শিশুর ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধের জন্য এ.টি.এস. অথবা ডি.পি.টি. টিকার বদলে Hypericum perforatum (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে তিন মাস খাওয়ান (জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে)।
♣* শিশুর হুপিং কাশি প্রতিরোধের জন্য ডি.পি.টি. টিকার বদলে Pertussinum (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে তিন মাস খাওয়ান (জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে)।
♣* শিশুর পোলিওমায়েলাইটিস রোগ প্রতিরোধের জন্য পোলিও টিকা খাওয়ানোর বদলে Lathyrus sativus (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে তিন মাস খাওয়ান (জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে)।
♣* শিশুর হাম প্রতিরোধের জন্য মিজেলস ভ্যাকসিনের বদলে Morbillinum (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে তিন মাস খাওয়ান (জন্মের নয় থেকে বারো মাসের মধ্যে)।
♣* শিশুর বা বয়ষ্কদের কলেরা বা ডায়েরিয়া প্রতিরোধের জন্য এ.সি.ভি. টিকার বদলেVeratrum album (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে দুই মাস খাওয়ান (জন্মের দুই বছর পরে)।
♣* শিশুর বা বয়ষ্কদের টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্য টি.এ.বি. টিকার বদলে Typhoidinum (শক্তি ৩০ অথবা ২০০) নামক হোমিও ঔষধটি মাসে একমাত্রা করে দুই মাস খাওয়ান (জন্মের দুই বছর পরে)।
♣* শিশুর জন্মের ২/১ সপ্তাহের মধ্যে তাকে Sulphur (শক্তি ২০০) একমাত্রা এবং ৪/৫ সপ্তাহের মধ্যে সালফার (শক্তি ২০০) আরেক মাত্রা খাওয়ান। তৃতীয় মাসের পরে Calcarea Carb (শক্তি ২০০) প্রতিমাসে একমাত্রা করে অন্তত তিনমাত্রা খাওয়ান যাতে তার দাঁত ওঠতে কোনো ঝামেলা না হয়।
পিতা-মাতার দোষ যাতে সন্তানের মধ্যে সংক্রমিত না হয় সেজন্যে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে নিম্নোক্তভাবে ঔষধ খাওয়ান ঃ-
♣* পিতা-মাতা বামন (অর্থাৎ একেবারে খুবই বেটে-খাটো) হলে গর্ভাবস্থায় Calcarea carb (শক্তি ২০০) মাসে অন্তত একমাত্রা করে খাওয়ান।
♣* পিতা-মাতার হাঁপানী থাকলে গর্ভাবস্থায় Natrum Sulph (শক্তি ২০০) মাসে অন্তত একমাত্রা করে খাওয়ান।
♣* পিতা-মাতার বাতরোগ থাকলে গর্ভাবস্থায় Medorrhinum (শক্তি ২০০) মাসে অন্তত একমাত্রা করে তিনমাস খাওয়ান।
♣* পিতা-মাতার ক্যান্সার থাকলে গর্ভাবস্থায় Carcinosin (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে খাওয়ান তিনমাস।
♣* পিতা-মাতার ঘনঘন ঠান্ডা লাগার দোষ থাকলে গর্ভাবস্থায় Tuberculinum (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে অন্তত তিনমাস খাওয়ান।
♣* পিতা-মাতার সিফিলিস হয়ে থাকলে গর্ভাবস্থায় Syphilinum (শক্তি ২০০) প্রতিমাসে একমাত্রা করে খাওয়ান চারমাস।
♣* পিতা-মাতার গনোরিয়া থাকলে গর্ভাবস্থায় Medorrhinum (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে খাওয়ান তিনমাস।
♣* পিতা-মাতার চর্মরোগ থেকে থাকলে গর্ভাবস্থায় Sulphur (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে খাওয়ান তিনমাস।
♣* পিতা-মাতার দুর্গন্ধযুক্ত চর্মরোগ থাকলে গর্ভাবস্থায় Psorinum (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে খাওয়ান তিনমাস।
♣* পিতা-মাতার হাড় বিকৃতির রোগ থাকলে গর্ভাবস্থায় Silicea (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে খাওয়ান।
♣* পিতা-মাতার যক্ষারোগ হয়ে থাকলে গর্ভাবস্থায় Bacillinum (শক্তি ২০০) মাসে একমাত্রা করে খাওয়ান তিনমাস।
♣* যে মহিলার একবার রিকেটগ্রস্ত পঙ্গু সন্তান বা ঠোটকাটা-তালুকাটা সন্তান হয়েছে তাকে গর্ভাবস্থায় Calcarea phosphoricum (শক্তি ৩০) সপ্তাহে একমাত্রা করে দুই মাস খাওয়ান। যে-মায়ের কখনও পঙ্গু বা ঠোট-কাটা, তালু-কাটা সন্তান হয়নি, তারও গর্ভাবস্থায় ক্যালকেরিয়া ফস ঔষধটি অন্তত সপ্তায় একমাত্রা করে খাওয়া উচিত। কেননা এটি আপনার শিশুকে সুন্দর চর্ম, সুন্দর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সুগঠিত হাড়, প্রখর ব্রেন বা উৎকৃষ্ট মেধা নিয়ে জন্ম নিতে সাহায্য করবে।
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com