১৯৯১-৯২খ্রি. ডিএইচএমএস(হোমিওপ্যাথি)কোর্সকে “স্নাতক”সমমান সরকারী পদক্ষেপ ও বর্তমান করণীয়?

১৯৯১-৯২খ্রি. ডিএইচএমএস(হোমিওপ্যাথি)কোর্সকে “স্নাতক”সমমান সরকারী পদক্ষেপ ও বর্তমান করণীয়?

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ১৯৭২খ্রি. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাত দিয়ে সরকারী আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় ও চালু হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্নাতক (পাস) সমমানের ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স। সে সময় বাংলাদেশের অন্যান্য ডিপ্লোমা ২/৩ বৎসর মেয়াদী হলেও ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স ১৯৭২খ্রি. হতে ৪ বৎসর ৬ মাস মেয়াদী হিসাবে চলে আসছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০খ্রি. এর আলোকে (শিক্ষার স্তরঃ ১১তম স্তর-১৫তম স্তর) বর্তমানে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সটি ৫ বৎসর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও ১ বৎসর ইন্টার্ণীশীপ করার দাবি উঠেছে।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সটির সমমান স্নাতক (পাস) ডিগ্রি করার জন্য ১৯৭২খ্রি. হতে কোর্সকৃতরা দাবি জানিয়ে আসছে। ডিএইচএমএস’রা ঐক্যবদ্ধ না হবার কারণে ও অতিবিশ্বাসের কারণে প্রতিবার বিভিন্ন মহলের প্রতিহিংসার শিকার ডিএইচএমএস’রা হয়েছে এবং এখনও হয়ে অাসছে। সচেতন মানুষ একবার একরকম বোকামি বা ভুল করতে পারে, কিন্তু একই রকম ভুল বা বোকামি বার বার করা ঠিক না। যা ডিএইচএমএসদের বেলায় হয়ে আসছে। ফলে রাষ্ট্র কোন সমমান নির্ধারণ করতে পারেনি।

১৯৯১-৯২খ্রি. স্নাতক মান ও সরকারী পদক্ষেপঃ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ডিএইচএমএস কোর্সের সমমান প্রদান করার জন্য বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড সভায় ১৮/০৯/১৯৯১খ্রি. অনুষ্ঠিত সভায় ১২(১) নং (সভা) ৫নং সিদ্ধান্তে অালোচ্য সূচীতে ডিএইচএমএস কোর্সের মান “স্নাতক” সমমান করার লিখিত সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সচিব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত পত্র ও বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের রেজুলেশন কপি সহ ডকুমেন্ট ১২/০৩/১৯৯২খ্রি. প্রেরণ করে।

[ ডকুমেন্ট/নথিঃ
পত্র প্রেরকঃ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। (লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র ও বোর্ড মিটিংয়ে ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান বিষয়ক লিখিত আলোচ্য সূচী এবং সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি সংযুক্তি কপি প্রেরন করে)। তা গ্রহণ করে।
প্রাপকঃ সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
যার স্বারক নং প্রঃ / বোর্ড মিটিং ০১/৯১/৪১৫, তারিখঃ ১২/০৩/১৯৯২খ্রি.।

পত্রের বিষয়ঃ ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সের মান স্নাতক সমমান হিসাবে অনুমোদন করা প্রসঙ্গে ]।

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যানের লিখিত পত্র ও ডকুমেন্ট সচিব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী গ্রহণ করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সচিবের সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান প্রদান করার বিষয়ে সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও রেজিষ্ট্রার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পত্র প্রেরণ করে।

[ ডকুমেন্ট/নথিঃ
পত্র প্রেরকঃ সিনিয়র সহকারী সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র)।
প্রাপকঃ (১) সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, (২) রেজিষ্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
যার স্বারক নং- জনস্বাস্থ্য -১/হোমিও-৩/৯২/১৬০, তারিখঃ ২৭/০৮/১৯৯২খ্রি.)।

পত্রের বিষয়ঃ ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সের মান স্নাতক সমসান হিসাবে অনুমোদন করা প্রসঙ্গে ]।

ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান বিষয়ক সিনিয়র সহকারী সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর পত্র রেজিষ্ট্রার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাবার পর উপ-রেজিষ্ট্রার (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান করার বিষয়টি সমন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পত্র পাওয়া অবগত করে ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান কে ডিএইচএমএস কোর্সের সিলেবাস প্রেরণ করতে বলেন।

[ ডকুমেন্ট/নথিঃ
পত্র প্রেরকঃ উপ-রেজিষ্ট্রার (শিক্ষা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র)
প্রাপকঃ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, ঢাকা। যার পত্র নং ২৮৮৭৮। তারিখঃ ২১/০৯/১৯৯২খ্রি.।

পত্রের বিষয়ঃ ডিপ্লোমা-ইন-হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সের মান স্নাতক সমমান হিসাবে অনুমোদন করা প্রসঙ্গে ]।

তারপর ডিএইচএমএস কোর্সের সমমান পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয় থেমে যায়।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস কোর্সের মান ১৯৯২খ্রি. স্নাতক সমমান না হবার কারণঃ

১৯৯২খ্রি. সরকারী দপ্তরের পত্র চালাচালি হয়। তারপর ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান প্রদানের পদক্ষেপের বিষয় গুলো নিয়ে বিএইচএমএস কোর্সের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা তাদের স্বার্থে ও সুযোগসুবিধা কমে যেতে পারে এ অাশংকায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লবিং করে। ফলে ডিএইচএসএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান বিষয়ক পত্র চালাচালি বন্ধ হয়ে যায় ও ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক সমমান প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট পাওয়ার কয়েক দশকের ডিএইচএমএসদের স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ডিএইচএমএস কোর্সের স্নাতক সমমান চারদশকে আর হয়নি। ডিএইচএমএস’রা স্নাতক সমমান ছাড়া অন্য কোন মান নিবেনা।

বিশ্বে তথা এশিয়া মহাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ একমাত্র রাষ্ট্র ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের সমমান চারদশকে রাষ্ট্র দিতে পারেনি। এজন্য জাতি লজ্জিত ও বিব্রত।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস’দের আন্দোলনের ফসল বিএইচএমএস কোর্সঃ

বাংলাদেশে ১৯৭২খ্রি. বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড প্রতিষ্ঠা হয় ও ৪ বৎসর ৬ মাস মেয়াদী অান্তর্জাতিক পর্যায়ের ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স চালু হয়। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস ডাক্তার, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের পাশাপাশি বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) স্নাতক (সন্মান/অর্নাস) পর্যায়ের কোর্স বেসরকারী ও সরকারী ভাবে চালুর জন্য আশির দশকে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বেসরকারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অন্তভুক্ত করে বিএইচএমএস চালু হয়। তারপর ১৯৮৯খ্রি. সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ, মিরপুর-১৪, ঢাকায় বিএইচএমএস কোর্স চালু হয়। প্রথম দিকে দেশে বিএইচএমএস কোর্সের শিক্ষক ও পাঠদান করাতেন প্রায়জন ছিলেন ডিএইচএমএস পাসধারী শিক্ষক। এখনও হোমিওপ্যাথি বিএইচএমএস কোর্সের অনেক বিষয়ের ক্লাশ নেন সন্মানীত ডিএইচএমএস পাশধারী শিক্ষক। সেসব ডিএইচএমএস’দেরকে আবারও শ্রদ্ধা ও হৃদয়ের অন্তস্থল হতে সন্মান জানাচ্ছি।

২০১৬খ্রি. প্রধানমন্ত্রী ও ২০১৭খ্রি. রাষ্ট্রপতি কে অবগত করাঃ

১৯৭২খ্রি. হতে চালুকৃত ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) সমমান নির্ধারণ করা, কোর্সকৃতদের সরকারী উপজেলা-জেলা হাসপাতালে কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ০৪/০২/২০১৬খ্রি. বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ০২/০১/২০১৭খ্রি. ও বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কে অবগত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি ইতিহাসে প্রথম ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) কর্তৃক লিখিত তিন দফা দাবী বিষয়ক আবেদন পত্র প্রেরণ।

২০১৮খ্রি. স্নাতক মান গণদাবী ও হোমিওপ্যাথি আন্দোলনঃ

বাংলাদেশ সরকার হোমিওপ্যাথি অধ্যাদেশ রহিত/বাতিল করে নতুন আইন পাস করার জন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন, ২০১৮ (প্রস্তাবিত) খসড়া আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ১৪/০৫/২০১৮খ্রি. চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিল। জনমত যাচাই-বাছাই না করে ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের ওয়েবসাইডে প্রদর্শন/মতামতের জন্য না দিয়ে এবং দেশের হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক- হোমিওপ্যাথি পেশাজীবী সংগঠনের মতামত না নিয়ে ডিএইচএমএসদের স্বার্থ বিরোধি কুচক্রী মহল বিশেষের কৌশলে কাহাকে না জানিয়ে অতি গোপনে প্রস্তাবিত হোমিওপ্যাথি খসড়া আইনের ১৫পাতা এর কোর্সের স্থায়ীত্ব প্যাড়ায় ২০নং ধারা এর “খ” উপ-ধারায় ডিএইচএমএসদের স্বার্থ বিরোধি ও অমর্যাদাকর, অসন্মানজনক ডিএইচএমএস কোর্সের সমমান সাধারণ শিক্ষা “উচ্চমাধ্যমিক” সমমান শব্দ লিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিল। পরবর্তীতে ২০/০৫/২০১৮খ্রি. হতে ৩০/০৫/২০১৮খ্রি. সময়ের প্রয়োজনে চারদশকের বঞ্চনার শিকার ডিএইচএমএস’দের দ্বারা গঠিত হওয়া অরাজনৈতিক “বাংলাদেশ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ” এর প্রধান সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) নেতৃত্বে দেশের তৃর্ণমূলের সকল সম্মানিত ডিএইচএমএস সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসক ও সম্মানিত চিকিৎসক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী’রা বাংলাদেশ ব্যাপি তৃর্ণমুল পর্যায় হতে গণদাবী ও আন্দোলন এর ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড কর্তৃপক্ষ ৩১/০৫/২০১৮খ্রি. জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক সহ একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে ডিএইচএমএসদের স্বার্থবিরোধি প্রস্তাবিত আইনের ২০নং ধারা এর “খ” উপ-ধারা সংশোধন করে ডিএইচএমএস কোর্সকে “স্নাতক (পাস)” ডিগ্রি শব্দ সংযোজন করে। কারণ বাংলাদেশের ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) গণ স্নাতক (পাস) ছাড়া বা ব্যতিত অন্য কোন সমমান নিবেনা। তা না হলে বাংলাদেশের ডিএইচএমএস চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা আরোও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতো। এটা ১৯৯২খ্রি. নয় ২০১৮খ্রি. ছিল।

২০১৮খ্রি. বাংলাদেশে ডিএইচএমএসদের ক্রান্তিকাল চলে ছিল। ১৯৭২খ্রি. হতে অদ্যাবধি যে অমর্যাদা হয়নি তা ২০১৮খ্রি. কিছু কুচক্রী মহলের কারণে ডিএইচএমএস’রা অসন্মান ও অমর্যাদা হতে যাচ্ছিল। আইন সংশোধরের জন্য ডিএইচএমএস’রা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে। জেলার জেলায় “বাংলাদেশ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ” নামে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ইতিহাসে সর্ব বৃহৎ জনমত গড়ে উঠে ও বাংলাদেশ এবং অান্তর্জাতিক পর্যায়ে সোচ্চার হয়। পরবর্তীতে জেলায়-জেলায় প্রেস ক্লাব গুলোর সামনে ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে ব্যানার নিয়ে সকলে মানববন্ধন করা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডে ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বারকলিপি দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড কর্তৃপক্ষের আহবানে গণ আন্দোলন স্থগিত করে ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) প্রধান সমন্বয়ক, “বাংলাদেশ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ” বাংলাদেশ কর্তৃক ০৩/০৬/২০১৮খ্রি. সচিব স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান ও রেজিষ্ট্রার এবং আহবায়ক আইন প্রনয়ন কমিটি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড সহ অন্যান্যদেরকে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) সমমান দাবি সম্বলিত লিখিত আবেদন পত্র ও বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্নাতক (পাস) সমমান বিষয়ক অনেক গুলো রাষ্ট্রীয় নথি/ডকুমেন্ট প্রদান করে।

ডিএইচএমএস’রা জেগে উঠে ও সময় এসেছিল, চারদশকে (১৯৭২খ্রিঃ হতে অদ্যবধি) অধিকার বঞ্চিত, ডিএইচএমএসদের স্বার্থ বিরোধি, অমর্যাদাকারী, অসন্মানকারী চিরশত্রুদের চেনার ও জানার এবং প্রতিরোধ করার। জাতির জনকের সুখি, সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশে লড়াইকারী জাতি দাবি আদায় করে সন্মানজনক জীবনধারণ করতে এবং বিশাল হৃদয়ের-জাতির জনকের আর্দশ ধারণকারী বাংলাদেশের ডিএইচএমএস’রা চিরশত্রুদের ক্ষমা করতে জানে। ক্ষমা করা মহৎ গুন। ইতিহাস ভুলে গেলে চলবেনা যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স জাতির জনকের হাত দিয়ে গড়ে উঠে। আজ তিনি থাকলে ডিএইচএমএস’দের স্বাধীনতার চারদশকে শোষণ বঞ্চনার শিকার হতে হতোনা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত করে স্নাতক (পাস) সমমান করা ও বোর্ডকে কাউন্সিল করে পদায়নঃ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড তাদের অধিনে ডিএইচএমএস কোর্স ছাড়ছেনা বা বোর্ডকে সরকারী হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হোক তা করছেনা বা বোর্ডকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কাউন্সিল করছেনা বা ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) সমমান প্রদান ও বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিনে অন্তভুক্ত হোক তা করছেনা। বোর্ডের প্রধান মাথাব্যথা কোর্সটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সের স্নাতক (পাস) সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করলে বোর্ডের কি হবে? বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীর কি হবে? যারা বোর্ডে পদ-পদবী আকড়ে আছে তাদের কি হবে? ফলে বোর্ডকে বিভিন্ন সময় ডিএইচএমএস’দের পক্ষ হতে স্নাতক (পাস) সমমান করা ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট প্রদান করা, বোর্ডকে কাউন্সিল করা, হোমিওপ্যাথি আইন পাস প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করার জন্য ও কাজের গতি বাড়ার জন্য বোর্ডকে এতএত অভিনন্দন, ধন্যবাদ, মানপত্র পাঠ, প্রশংসা সূচক বক্তব্য বা বাণী তাদের কোন কাজের গতি বেড়েছে কি? কোন কাজ হয়েছে কি?

এসব কারণে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের সমমান এখনও বাংলাদেশ সরকার নির্ধারণ করতে পারেনি। কোর্সের সমমান নির্ধারণ না হবার কারণে কর্মসংস্থান হচ্ছেনা। কোর্সের সমমান নির্ধারণ এর সঙ্গে কর্মসংস্থান ও সামাজিক মর্যাদা বিষয় জড়িত।

আসুন আর বিভক্তি বা অন্তরায় সৃষ্টি করা নয়। একযোগে সকলে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য সময়ের চাহিদায় ১৯৭২খ্রি. প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল এ উন্নীত করে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বোর্ডের সকলকে কাউন্সিলে পদায়ন করা ও সম্মানিত বোর্ড চেয়ারম্যান কে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান করা, বোর্ড রেজিষ্ট্রারকে কাউন্সিলের রেজিষ্ট্রার করা, বোর্ডের সহকারী রেজিষ্ট্রারকে কাউন্সিলের সহকারী রেজিষ্ট্রার করা, বোর্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কাউন্সিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা, বোর্ডের সেকশন অফিসারকে কাউন্সিলের সেকশন অফিসার করা প্রভৃতি। এছাড়া সকল সম্মানিত বোর্ড সদস্যদেরকে কাউন্সিলে সদস্য করে তাদেরকে সম্মানিত করে মর্যাদা বৃদ্ধি করে সে মোতাবেক আইনি কাঠামো যথাযথভাবে তৈরি করে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন পাস করে মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং চারদশকের ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান নির্ধারণ করে ও কোর্সটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে অন্তভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক (পাস) সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করে চিকিৎসকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা যাবে। ডিএইচএমএস কোর্সকে স্নাতক (পাস) সমমান নির্ধারণ করতে না পারলে, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতরা “ডা.” পদবী ব্যবহার বিষয়ে ও দেশে সরকার স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিএইচএমএস পাসকৃত বিশাল অংশের সম্মানিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ (পদবীঃ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, মেডিকেল অফিসার) পদের পদবী ও বেতন স্কেল এবং কলেজ নামটি ইন্সটিটিউট করার চক্রান্ত করতে পারে। যা কাম্য নয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে সজাগ করতে ইতিপূর্বে অবগত করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাধ্যমিক পাস (শিক্ষার ১০স্তর) কৃতদের বর্তমানে ৫ বৎসর মেয়াদি (জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০খ্রি. আলোকে শিক্ষার স্তরঃ ১১তম-১৫তম) বিএফএ (চারুকলা) কোর্স ও কোর্স শেষে বিশ্ববিদ্যালয় হতে কোর্সের স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করে।
সে মোতাবেক ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে বর্তমান ৫ বৎসর মেয়াদি (জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০খ্রি. আলোকে শিক্ষার স্তরঃ ১১তম-১৫তম) ও ইর্ন্টানীশীপ ১ বৎসর করে বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক (পাস) সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করা যাবে এবং ১৯৭২খ্রি. হতে ৪ বৎসর মেয়াদি (সাবেক শিক্ষার স্তরঃ ১১তম-১৪তম) ও ইন্টার্নীশীপ ৬ মাস মেয়াদি কোর্সকৃত সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করার বিধান আইনে অবশ্যই সংযুক্ত করা এবং তাদেরকে শর্ট কোর্সের পরীক্ষার মাধ্যমে বিএইচএমএস করার সুযোগ সৃষ্টি সহ সকলকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল করে পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত) যথাযথ ভাবে প্রনয়ন করে দ্রুত জাতীয় সংসদে পাস করে কার্যকর করা।

ডিএইচএমএস সমমান “স্নাতক” ও আইন প্রনয়ন-পাস, পরিচালনায় বোর্ড”Steering Committee”গঠন করাঃ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড দীর্ঘ ১৪/০৩/২০১৩খ্রি. হতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত) খসড়া পাস করার জন্য কাজ করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চূড়ান্ত করতে পাড়ছেনা। ফলে মন্ত্রীপরিষদে ও জাতীয় সংসদে যাচ্ছেনা এবং পাস হচ্ছেনা।
এজন্য পূর্ণাঙ্গ হোমিওপ্যাথি আইন দ্রুত পাস করা ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের গতি বাড়ানো এবং প্রস্তাবিত হোমিওপ্যাথি আইনে ১৯৭২খ্রি. হতে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) সমমান হোমিওপ্যাথি আইনে যথাযথভাবে অন্তভুক্ত করা, কোর্সটি দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত করা, কোর্সের স্নাতক (পাস) সমমান সার্টিফিকেট দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রদান, বাংলাদেশ সময়ের চাহিদায় ও মর্যাদা বৃদ্ধি এবং হোমিওপ্যাথির মান উন্নয়নে জন্য হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল করা, বোর্ডের চেয়ারম্যান, রেজিষ্ট্রার, বোর্ড সদস্য, সহকারী রেজিষ্ট্রার, কর্মকর্তা-কমর্চারী সহ সকলকে কাউন্সিলে পদায়ন, তাদের সকলের নিয়োগ বিধি হোমিওপ্যাথি আইনে সঠিকভাবে উল্লেখ করে প্রনয়ন করার বিষয়ে আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখসহ বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মধ্যে সমন্বয় করে বহুল প্রতিক্ষিত পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত) পাসে যারা কাজ করবে। এজন্য দ্রুত হোমিওপ্যাথি আইন পাসের জন্য বোর্ড মিটিংয়ে লিখিত রেজুলেশন করে নিম্নলিখিত সম্মানিত সকলে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাস সাধারণ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চশিক্ষিত আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অন্তভুক্ত করা যায়।
(সংক্ষিপ্ত তালিকা)

(১). ডা. আ.ক.ম. রফিকুল ইসলাম।
(চিকিৎসক, কলাম লেখক)। (চট্রগ্রাম)।
(২). ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন।
(সাবেক বোর্ড সদস্য, সদস্য আইন প্রনয়ন কমিটি, চেয়ারম্যান হোমিওপ্যাথি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট)
(৩). ডা. শেখ মো. ইফতেখার উদ্দিন।
(বোর্ড সদস্য, আহবায়ক আইন প্রনয়ন কমিটি)
(৪). ডা. অমিত রায়।
(সহকারী রেজিষ্ট্রার, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড)
(Steering Committee এর সাচিবিক দায়িত্ব)
(৫). ডা. সঞ্জয় কুমার মন্ডল।
(চিকিৎসক, কলাম লেখক)। (মাদারীপুর)।
(৬). ডা. মো. কামরুল ইসলাম (মনা)।
(চিকিৎসক, কলাম লেখক, সাংবাদিক)। (কুষ্টিয়া)।
(৭). ডা. মো. আজাহার আলী।
(চিকিৎসক, কলামিস্ট)। (টাঙ্গাইল)।
(৮). ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (Ph.D)
(সাবেক অধ্যক্ষ, চিকিৎসক, হোমিওপ্যাথি গবেষক, পরিবেশবিদ)। (ঢাকা)।
(৯). প্রভাষক ডা. এস. জামান (পলাশ)।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক)। (চাঁদপুর)।
(১০). ডা. মো. আব্দুল খালেক।
(চিকিৎসক, কলাম লেখক)। (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।

পরিশেষঃ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড কে দ্রুত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কাউন্সিল করে মর্যাদা বৃদ্ধি করে বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাউন্সিলে পদায়ন করে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ গুলোর ও চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসকদের কাউন্সিলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রস্তাবিত হোমিওপ্যাথি আইনে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের পরিবর্তে দ্রুত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি) সহায়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে “ফ্যাকাল্টি অব হোমিওপ্যাথি” গঠন করে ডিএইচএমএস কোর্স ও হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ গুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় হতে কোর্সের স্নাতক (পাস) সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করা যাবে। ফলে চারদশকের বোর্ডের ও ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্নাতক (পাস) সমমান নির্ধারণ সমস্যার সম্মানজনক সমাধান করা যাবে।
[ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও হোমিওপ্যাথি শিক্ষা এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ উৎপাদন-বাজারজাতকরণ রাষ্ট্র পাকিস্থান ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে সরকারীভাবে বিএস-সি (পাস) যা স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান নির্ধারণ করেছে ও কোর্সটি বিশ্ববিদ্যালয় এর ফ্যাকাল্টি অব হোমিওপ্যাথি অধিভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের বিএস-সি (পাস) ডিগ্রি সমমান লেখা সার্টিফিকেট প্রদান করছে ]
এজন্য বাংলাদেশ সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এগিয়ে যাক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ও এগিয়ে যাক বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি।

(মতামত)
Language: Bangla.

লেখক পরিচিতিঃ

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)
এমএসএস (এশিয়ান ইউনিভির্সিটি)


প্রধান সমন্বয়ক,
বাংলাদেশ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ।
বাংলাদেশ।

(চিকিৎসক, শিক্ষক, হোমিওপ্যাথি গবেষক, কলামিস্ট ও প্রাক্তন সাংবাদিক)

অনুলিপি সমূহঃ

নথি/Documents..
বাংলাদেশ/BANGLADESH: DHMS (Course).
ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে “স্নাতক (পাস)” ডিগ্রি সমমান সরকারী অনুমোদন প্রথম পদক্ষেপ…।
সালঃ ১৯৯১-১৯৯২খ্রি.।
[ নথি/ডকুমেন্ট গুলো ১৯৯১খ্রি. হতে প্রায় ২৮বৎসর গোপন করে রেখেছিল কেহ জানায়নি বা প্রকাশিত করেনি। ডিএইচএমএস’দের স্নাতক সমমান ও আইন সংশোধন বিষয়ে গণদাবী ও আন্দোলনের সময় ২০১৮খ্রি. সূত্র মারফত সংগৃহীত হয় এবং জনস্বার্থে অনলাইনে প্রকাশিত হলে দেশবাসী প্রথম নথি বিষয়ে জানতে পারে ]

১। প্রেরকঃ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। (ক). বোর্ড চেয়ারম্যানের ১২/০৩/১৯৯২খ্রি. লিখিত-স্বাক্ষরিত পত্র ও (খ). ১৮/০৯/১৯৯১খ্রি. বোর্ড মিটিংয়ে ডিএইচএমএস কোর্সের মান “স্নাতক” সমমান প্রদান বিষয়ক লিখিত ৫নং আলোচ্য সূচীর সিদ্ধান্ত রেজুলেশন কপি সংযুক্তি।
প্রাপকঃ সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

(স্বারক নং প্রঃ / বোর্ড মিটিং ০১/৯১/৪১৫, তারিখঃ ১২/০৩/১৯৯২খ্রি.)।

বিষয়ঃ ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সের মান স্নাতক সমমান হিসাবে অনুমোদন করা প্রসঙ্গে।

২। প্রেরকঃ সিনিয়র সহকারী সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
(লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র)।
প্রাপকঃ (১) সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, (২) রেজিষ্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

(স্বারক নং- জনস্বাস্থ্য -১/হোমিও-৩/৯২/১৬০, তারিখঃ ২৭/০৮/১৯৯২খ্রি.)।

বিষয়ঃ ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সের মান স্নাতক সমসান হিসাবে অনুমোদন করা প্রসঙ্গে।

৩। প্রেরকঃ উপ-রেজিষ্ট্রার (শিক্ষা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র)
প্রাপকঃ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, ঢাকা।

(পত্র নং ২৮৮৭৮। তারিখঃ ২১/০৯/১৯৯২খ্রি.)।

বিষয়ঃ ডিপ্লোমা-ইন-হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সের মান স্নাতক সমমান হিসাবে অনুমোদন করা প্রসঙ্গে।