সন্তানের পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

বর্তমান সময়ে বড়-ছোট নির্বিশেষে সবার কাছেই ইন্টারনেট সহজলভ্য। নেট দুনিয়ায় পাওয়া যায় সবকিছুই। আর এই সব পাওয়ার মাঝেই আছে নেতিবাচক অনেক বিষয় যেগুলো অনেক বিপজ্জনক।ইন্টারনেটের নেতিবাচক এসব কনটেন্ট অনেক শিশুর প্রাণবন্ত শৈশব নষ্ট করে দিচ্ছে। ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ হলেও মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে এসবে প্রবেশ করছে তারা। ফলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ হুমকিতে পড়ছে।আপনার সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিনা তা বুঝতে পারছেন না? তাহলে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন। এগুলো আপনার সন্তানের মধ্যে দেখলে বুঝতে হবে তার মধ্যে এই আসক্তি আছে। তখন আপনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

  • হই-হুল্লোড় করে বেড়ানো, প্রাণবন্ত সন্তান হঠাৎ একটু চুপচাপ হয়ে গেছে? কিংবা হঠাৎ করে কিছু একটা আড়াল করার আভাস কি তার চোখে-মুখে দেখতে পান? আপনার সন্তানের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন এলে সচেতন হোন। কিশোর বয়সে নিষিদ্ধ কিছুর নেশায় জড়ালে পরিচিত মানুষদের সামনে কিছু ভাবভঙ্গির পরিবর্তন আসে।
  • আপনার সন্তান সবসময় ফোন বা কম্পিউটারে থাকে? তার ব্যবহৃত ফোন সব সময়ই পাসওয়ার্ড দেয়া থাকে কিংবা আপনাকে ধরতে দিতে চায় না? অন্যান্য গোপনীয় বিষয়ের জন্যও তার এমন আচরণ হতে পারে। কিন্তু তার সঙ্গে পর্ন ছবি দেখা বা পর্ন সাইট ব্যবহারের দিকটিও উড়িয়ে দেয়া যাবে না।
  • অনেক রাত পর্যন্ত সন্তান ফোন ব্যবহার করলে তা পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনও কারণে কিনা তা খতিয়ে দেখুন।
  • অন্য কাউকে ঘরে ঢুকতে দেখলেই কি সন্তান ল্যাপটপ বন্ধ করে দেয় বা কম্পিউটারে দ্রুত অন্য কোনও পেজ খোলে? তার ভাবভঙ্গি দেখে তা বোঝার চেষ্টা করুন।
  • হঠাৎ চুপচাপ হয়ে গেলে বা বন্ধুদের সঙ্গে অনুচ্চ স্বরে আলোচনা হলে সজাগ হোন। কী বিষয়ে আলোচনা বা হঠাৎ চুপচাপ থাকার কারণ জানার চেষ্টা করুন।
  • শুধু গোপন করার ভাবভঙ্গিই নয়, সন্তান হঠাৎ হঠাৎ মেজাজ হারালেও সচেতন হোন। অনেক সময় অস্থিরতা থেকে তার মন-মেজাজে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বয়ঃসন্ধির সময় এক রকম অপ্রতিরোধ্য মনোভাব তৈরি হওয়াও এর জন্য দায়ী।
  • ফোন বা কম্পিউটারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি থাকলে প্রয়োজনে সন্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন।