DHMS (Homoeo), BHMS (Homoeo) কোর্স বাংলাদেশ ও ভারত এবং পাকিস্তান।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশঃ ১৯৭২খ্রি. বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র অনুমোদনে কোর্স চালু হয়। ১৯৭২খ্রি. হতে স্নাতক (পাস) সমমান দাবি করলেও এখনও কোর্সের সমমান নির্ধারণ হয়নি। কোর্সের মান দিলে স্নাতক (পাস) সমমান। উচ্চমাধ্যমিক মান করলে বর্তমান ডিএইচএমএস পাস সকলে আর “ডা.” পদবি লিখতে পারবেনা অমর্যাদাকর হবে ও সকল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক পদচ্যুত-বেকার, অমর্যাদা, অবমূল্যায়ন, শিক্ষার্থী ভর্তি হবেনা। কলেজ বন্ধ হয়ে যাবে।

সমাধান ২টিঃ 
(১) বাংলাদেশে পাকিস্তানের মত ডিএইচএমএস কোর্সকে স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান নির্ধারণ করা ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট প্রদান। অথবাঃ

(২) ভারতের মত বাংলাদেশে ডিএইচএমএস কোর্সকৃত সকলকে সর্ট কোর্সের মাধ্যমে সম্মানজনক বিএইচএমএস ডিগ্রি (স্নাতক সমমান) সার্টিফিকেট প্রদান।

ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স বর্হিবিশ্বে সমাধানঃ

১। গণতান্ত্রিক ভারতঃ সরকার জনস্বার্থ গত শতাব্দী ৮০ দশকে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃত সকল চিকিৎসক, শিক্ষক’কে সর্ট পরীক্ষার মাধ্যমে বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) সার্টিফিকেট প্রদান করে ও সকল হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে ডিএইচএমএস (কোর্স) বিলুপ্ত করে সেগুলো কলেজে বিএইচএমএস (কোর্স) চালু হয়। ফলে ভবিষ্যৎ মুখি গণতান্ত্রিক ভারত সরকার ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস নিয়ে দ্বন্দ্ব ও অভিযোগ এবং আন্দোলন বা আদালতে মামলা করার সুযোগ চির অবসান করে।

২। পাকিস্তানঃ সরকার ২০১৪খ্রি. ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের নাম ডিএইচএমএস রেখে শুধু কোর্সের মান স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান প্রদান ও কোর্সকৃতদের বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান সার্টিফিকেট প্রদান। বর্তমানে শুধুমাত্র ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃতরা সরাসরি বিএইচএমএস কোর্সে ৩য় বর্ষে ভর্তি ও কোর্সে পাস করে এমডি করতে পারে।

BHMS (Homoeo) কোর্স পাকিস্তান ও ভারত এবং বাংলাদেশ।

পাকিস্তানে DHMS (Homoeo) কোর্স ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ করার পর FSc (Homoeo) অর্থাৎ HSC (Homoeo) / HSC (Science) সমমান পায়।
তারাই ৫ বছর মেয়াদি BHMS (Homoeo) কোর্সের ভর্তি হতে পারে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থী/ডিএইচএমএস ছাড়া বা ব্যতিত BHMS ভর্তি ও কোর্স করার কোন সুযোগ নেই। আর DHMS (Homoeo) ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদি সম্পূর্ণ কৃতরা যা কোর্সের স্নাতক (পাস) সমমান। DHMS (Homoeo) পাসকৃতরা সরাসরি BHMS (Homoeo) ৩য় বর্ষে ভর্তি ও কোর্স করতে পারবে।
অর্থাৎ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী/ডিএইচএমএস কৃতরা ছাড়া বিএইচএমএস কোর্স কেহ করতে পারেনা।

আর বাংলাদেশে DHMS (Homoeo) কোন সমমান নেই। চারদশক যাবত স্নাতক সমমানের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। গত শতাব্দীতে ৮০ দশকে বাংলাদেশে স্নাতক বাস্তবায়ন কমিটি ভারত হতে তথ্য ও ডকুমেন্ট নিয়ে এলেও সে সময় বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস নেতারা চায় নি ডিএইচএমএস কৃতরা ভারতের মত ডিএইচএমএস কৃতদের সর্ট/ব্রীজ কোর্সের মাধ্যমে বিএইচএমএস ডিগ্রি ও স্নাতক মান হোক। তাতে নাকি বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিতে মেধাবীরা আসবেনা। হোমিওপ্যাথি ভবিষ্যৎ উন্নতি হবেনা। তার মানে বাংলাদেশের তৎকালিন ডিএইচএমএস নেতারা ডিএইচএমএস কৃতদের সমমান প্রদানে প্রধান বাঁধা সৃষ্টি করে। তার ফল আজ ডিএইচএমএম দের কোন সমমান নেই ও উচ্চশিক্ষা প্রতিবন্ধকতা। সামাজিক, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় কোন সম্মান ও মর্যাদা নেই।

সেসময় ডিএইচএমএস নেতাদের মেধা ও বয়স নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বয়স না থাকলেও বেশি বয়সে সর্ট বিএইচএমএস কোর্স করে মাত্র কিছু সংখ্যক বাংলাদেশের ডিএইচএমএস নেতা ঠিকই স্নাতক মান নিয়ে নিয়েছে। বৃহৎ অংশ সর্ট কোর্স করার সুযোগ পায়নি ও স্নাতক মানও ভাগ্যে জুটেনি। আর সে সময়কার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অর্থাৎ বর্তমান ডিএইচএমএস কৃতরা ডিএইচএমএস কোর্সকে পাকিস্তানের অনুরুপ স্নাতক সমমান বা ভারতের অনুরুপ সর্ট/ব্রীজ কোর্সের মাধ্যমে বিএইচএমএস ডিগ্রি করে স্নাতক মান দিতে নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে সরকারকে স্মারকপত্র প্রদান এবং আন্দোলন-সংগ্রাম করছে।

আর বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতে ৫ বৎসর মেয়াদি BHMS (Homoeo) কোর্স সাধারণ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি (বিজ্ঞান) পাসকৃতরা সরাসরি ১ম বর্ষে ভর্তি ও কোর্স করতে পারে।
ফলে পাকিস্তানে হোমিওপ্যাথি শিক্ষার ভিত্তি শক্তিশালী। কারণ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী/ডিএইচএমএস কৃতরা ছাড়া অন্য কেহ হোমিওপ্যাথি BHMS (Homoeo) কোর্স বা অন্যান্য কোর্স করতে পারেনা।

জাতির জিজ্ঞাসা বাংলাদেশের গত শতাব্দীর ৮০ দশকের বা ৯০ দশকের ডিএইচএমএস নেতা ও রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রপথিক এবং সে সময় তাদের রাজপথে রক্ত ঝড়েছে পরিচয় দেবার পূর্বে একবার হলেও তারা নিজে নিজেকে প্রশ্ন করুন ভবিষ্যৎ ডিএইচএমএস কৃতদের জন্য কি রেখে গেছেন? সত্যিই কি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ডিএইচএমএস কৃতদের জন্য গর্বের বা আত্নপরিচয় দেবার মত কিছু কি রেখে গেছেন? যার কারণে বর্তমান প্রজন্ম কে স্বাধীনতার চারদশকের শোষণ ও বঞ্চনার শিকার ডিএইচএমএস কোর্সের স্নাতক সমমান করতে বা ভারতের অনুরুপ ব্রীজ কোর্সের মাধ্যমে স্নাতক সমমান করার জন্য স্মারকপত্র/স্মারকলিপি প্রদান ও আন্দোলন-সংগ্রাম এবং লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার শেষ কোথায়?

“বাঙ্গালি করে পাঠিয়েছো মোদের মানুষ করো নাই”।
“ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্নাতক মান ডিএইচএমএস’দের অধিকার”।
এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ও এগিয়ে যাক হোমিওপ্যাথি।
(তথ্যসূত্র)
(মতামত)

লেখক পরিচিতি :

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
(চিকিসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, হোমিওপ্যাথি নেতা ও প্রাক্তন সাংবাদিক)
বাংলাদেশ।