জরায়ুর টিউমার ও চিকিৎসা

88999iii

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা সায়োমা। সাধারণত প্রজননক্ষম বয়সে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি এ ধরনের টিউমার দেখা দেয়। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যান্সার নয়।

লক্ষণ :
১. ২৫ শতাংশ ফাইব্রয়েড টিউমার ছোট থাকে এবং কোনো লক্ষণ প্রকাশ করে না।
২. প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অনিয়মিত মাসিক বা তলপেটে ভারী বোধ হওয়া।
৩. তলপেটে চাকা (টিউমার) পরিলক্ষিত হয়, ২৭ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েড বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে।dep_10071343-Ovary-and-ovulation-process1

কারণ : ১. ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়।
২. জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না।
৩. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন কোনো জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়।

চিকিৎসা :
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এ রোগ ভালো হয় যায়।কিন্তু এ্যালপেথি চিকিৎসায় অপারেশান ছাড়া কোনো উপায় নাই,অপারেশান করলেও আবার দেখা দেয়,আর যদি দেখা নাও দেয় রোগী শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।তাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাই ভালো এ রোগের জন্য।8

মূলত অস্ত্রোপচারই ফাইব্রয়েড টিউমারের প্রধানতম চিকিৎসা। ওষুধের মাধ্যমে এর স্থায়ী চিকিৎসা হয় না। অস্ত্রোপচার প্রধানত দুই ধরনের। ১. বয়স ৪৫-এর বেশি ও Family Complete অর্থাৎ আর বাচ্চা নেওয়ার ইচ্ছা না থাকলে জরায়ু ফেলে দেওয়া। ২. প্রজননক্ষম বয়স এবং যাদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মায়োমেটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফাইব্রয়েডকে জরায়ুর দেয়াল থেকে তুলে এনে আবার তা সেলাই করে দেওয়া হয়। এতে জরায়ু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই অস্ত্রোপচার পেট কেটে বা ছিদ্র করে উভয় পদ্ধতিতেই করা হয়।
যা জেনে রাখা জরুরি : ১. এই অস্ত্রোপচারের সময় বেশ রক্তপাত হতে পারে। ২০-২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময় জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। ২. অস্ত্রোপচারের পর আবার ফাইব্রয়েড হওয়ার আশঙ্কা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। ৩. অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। ফাইব্রয়েড অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণ করলে অবশ্যই ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকে, এমন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে হবে।
=========================================================================

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমু 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *