কাগজের মুদ্রার ব্যবহার ইসলামী শরীয়াতে হারাম

মাওলানা ইমরান নযর হোসেন আবু বকর ইবন আবি মরিয়ম হতে বর্ণিত যে তিনি আল্লাহর নবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, “মানবজাতির উপর এমন সময় অবশ্যই আসছে যখন দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) ও দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) ছাড়া ব্যবহার করার মত বা উপকারী আর কিছুই থাকবে না।”[বর্তমান যুগে সারা পৃথিবীজুড়ে যে প্রতারণামূলক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, এই হাদিসে স্পষ্টভাবে তারই পতনের ভবিষ্যদ্‌বাণী রয়েছে।] …

দাজ্জাল The Anti-christ এর বের হবার আলামত মুলত ৫ টি যা ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়ে গেছেঃ

১- বিশ্ব রাজনীতিতে জেরুজালেম (ইস্রাইল) এর উত্থান এবং পাশাপাশি ইয়াস রিব মদীনা শরীফের বিশ্ব রাজনীতিতে সম্পুর্ন ভুমিকাহীনতা।হাদিস আবু দাউদ ৪২৯৪,৪২৪৪ ইবনু মাজা ৪২৯৫,৪২৯৬ মুসলিম ৭০৬৯ ২ -পারমানবিক যুদ্ধ আর এই পারমানবিক যুদ্ধটি হবে রাশিয়া-চায়না জোট Vs আমেরিকা-নাটো ইউরোপ জোট এর মধ্যহাদিস মুসলিম ৭০৬৯ ইবনু মাজা ৪২৯৬ ৩ সিরিয়া-ইরাকের ফৌরাত Euphrates river শুকিয়ে যাবে(You tube এ …

যে-কোন দিন শুরু ৩য় বিশ্বযুদ্ধ / মালহামা/ আরমাগেডন

ইতিপূর্বে  আমি  মনে  করিতাম  মহানবী (সাঃ)-এর  ঘোষিত  মালহামা (মহাযুদ্ধ / আরমাগেডন / তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধ)  সংঘঠিত  হইতে  এখনও  পাঁচ / দশ  বছর  বাকী  আছে ।  কিন্তু  সম্প্রতি  ইরান  সফরের  সময়  আমি  দুইটি  স্বপ্ন  দেখিয়াছি (সেপ্টেম্বর / ২০১৪),  একটার  পর  আরেকটা,  যাহাতে  আমি  দেখিয়াছি  পারমাণবিক  যুদ্ধ  শুরু  হইয়া  গিয়াছে  এবং  আকাশের  দিকে  পারমানবিক  ক্ষেপনাস্ত্র  নিক্ষেপ  করা  হইয়াছে ।  একই  ঘটনা  ঘটিয়াছিল  নাইন  ইলাভেনের  পূর্বে  যখন  আমি  নিউ  ইয়র্কের  লঙ  আইল্যান্ডে  বসবাস  করিতাম ।  আমি  স্বপ্নে  দেখিয়াছিলাম  নাইন  ইলেভেন  সংঘঠিত  হইয়াছে,  ম্যানহাটনের  উচুঁ  বিল্ডিংয়ে  আগুন  দেওয়া  হইয়াছে  এবং  সেখান  থেকে একটার  পর  একটা  বিল্ডিংয়ে  আগুন  ছড়াইতে  ছড়াইতে  সারা  পৃথিবীতে  আগুনের  শিখা  ছড়াইয়া  পড়িয়াছে ।  লং  আইল্যান্ডের  দার  আল  কোরআন  মসজিদের  জু’মুআর  খোতবায়  আমি  আমার  স্বপ্নের  বিষয়টি  উল্লেখ  করিয়াছিলাম ।  আমার  এই  স্বপ্ন  দেখিবার  দুই  বছর  পরে  নাইন  ইলাভেন  সংঘঠিত  হয় ।  মহানবী (সাঃ)  বলিয়াছেন  যে,  আখেরী  জমানায়  ঈমানদারদের  স্বপ্ন  কদাচিৎ  মিথ্যা  প্রমাণিত  হইবে ।  আমার  স্বপ্নের  ব্যাখ্যা  সম্ভবত  এই  যে,  আমাদের  হাতে  মাত্র  অল্প  সময়  বাকী  আছে,  সম্ভবত  এক  হইতে  দুই  বছর,  যখন  মহাযুদ্ধ  শুরু  হইবে,  যাহাতে  বড়  বড়  শহরগুলির  অধিকাংশ  মানুষ  নিহত  হইবে (বিশেষত  উত্তর  আমেরিকা  এবং  ইউরোপ  মহাদেশের) ।  পক্ষান্তরে  যেসব  শহরের  মানুষ  এটম  বোমার  আঘাত  হইতে  বাঁচিয়া  যাইবে,  তাহারাও  অরাজকতা,  গৃহযুদ্ধ,  মহামারী  এবং  অনাহারে  কুকুর-বিড়ালের  মতো  ঝাঁকে  ঝাঁকে  মৃত্যুবরণ  করিবে ।  মালহামার  পরে  বড় বড়  শহরগুলিতে  জাহান্নামের  সকল  দরজা  খুলিয়া  দেওয়া  হইবে ।  কেননা  এসব  মেগাসিটিতে  কোটি  কোটি  মানুষ  বসবাস  করে  অথচ  এদের  খাবার-পানি  আসে  গ্রাম  থেকে ।  যুদ্ধের  পরে  যেহেতু  খাবার-পানি  সরবরাহ  ব্যবস্থা  অচল  হইয়া  পড়িবে,  তখন  শহরবাসীগণ  জীবন  বাঁচাতে  ছিনতাই-ডাকাতি-লুটতরাজ  শুরু  করিবে ।  তাহারা  সভ্যতা-ভদ্রতা  কিংবা  জাহান্নামের  শাস্তির  কথা  বেমালুম  ভুলিয়া  যাইবে ।  কুকুর  কুকুরকে  খায়  বলিয়া  একটি  কথা  প্রচলিত  আছে,  তখনকার  মেগাসিটিতে  বসবাসকারীদের  অবস্থা  হইবে  অনেকটা  এই  রকম ।  শহরবাসীদের  কেউ  যদি  জানিতে  পারে  যে,  আপনার  গৃহে  একটু  খাবার  বা  পানি  আছে,  তবে  হাজার  হাজার  লোক  ঝাপাইয়া  পড়িবে  এবং  দরজা  ভাঙিয়া  তাহা  ছিনাইয়া  নিবে ।  এই  ব্যাপারে  আপনারা  পবিত্র  কোরআনের  সুরা  ইসরার  এই  আয়াতটি  পাঠ  করিয়া  দেখিতে  পারেন,  “এমন  কোন  শহর  নগর  নাই,  যাহাকে  আমরা  (অবাধ্যতার  কারণে)  কেয়ামত  দিবসের  পূর্বে  ধ্বংস  করিব  না  অথবা  যাহাকে  কঠোর  শাস্তি  দিব  না।  ইহা  তো  কিতাবে  লিপিবদ্ধ  হইয়া  গিয়াছে (১৭:৫৮)” ।  খ্রীষ্টান  ধর্মজাযকগণ  বলেন  (আকাশে  ছড়ানো  ব্যাঙের  ছাতার  মতো  এটম  বোমার  ধোয়ার  কারণে  পৃথিবীতে  সূর্যের  আলো  আসিতে  না  পারিবার  কারণে)  পৃথিবী  অন্ধকারাচ্ছন্ন  থাকিবে  তিন  দিন ।  পক্ষান্তরে  মহানবী (সাঃ)  বলিয়াছেন,  চল্লিশ  দিন  (মানে  অনেক  দিন)  পৃথিবী  অন্ধকারাচ্ছন্ন  থাকিবে ।  এই  সময়  পৃথিবীর  তাপমাত্রা  নামিয়া  যাইবে  হিমাঙ্কের  নীচে  এবং  শীতে  মারা  যাইবে  কোটি  কোটি  মানুষ ।  ।  বিশ্বনবী (সাঃ) বলিয়াছেন, “এক বছর বৃষ্টিপাত এক-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য এক-তৃতীয়াংশ কম উৎপাদিত হইবে । দ্বিতীয় বছর বৃষ্টিপাত …

মুসলিম গ্রাম

শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন মুসলিম  গ্রাম(আফগানিস্তান-আলজেরিয়া-মিশরে)  অনেকেই  বৃহত্তর  রাষ্ট্রীয়  পর্যায়ে  ইসলাম  প্রতিষ্টার  চেষ্টা  করিয়াছেন  কিন্তু  সফল  হইতে  পারেন  নাই ।  কেননা  এখনকার  দুনিয়া  যাহারা  নিয়ন্ত্রন  করেন (অর্থাৎ  ইয়াজুজ  মাজুজ  অর্থাৎ  ইউরোপ-আমেরিকা),  তাহারা  ইহা  হইতে  দিবে  না ।  আল্লাহ  বলিয়াছেন,  ইহারা (ইয়াজুজ-মাজুজ)  আমার  এমন  বান্দা  যাহাদের  মোকাবেলা  করিবার  শক্তি  কাহারো  নাই  এবং  আমি  ছাড়া  ইহাদের  কেউ  ধ্বংস  করিতে  পারিবে  না ।  কাজেই  যতদিন  চীন  এবং  রাশিয়ার  সাথে  যুদ্ধ  বাধাইয়া  ইয়াজুজ-মাজুজকে  আল্লাহ  ধ্বংস  না  করিবেন  এবং  ইমাম  মাহদী (আঃ)  আত্মপ্রকাশ  না  করিবেন,  ততদিন  রাস্ট্রীয়  পর্যায়ে  কেউ  খিলাফাহ  কায়েম  করিতে  পারিবে  না ।  আমার  কথায়  একমত  না  হইলে  যান  আপনিও  চেষ্টা  করিয়া  দেখেন । কিন্তু  বৃহত্তর  পরিসরে  অর্থাৎ  রাষ্ট্রীয়  পর্যায়ে  খিলাফাহ  প্রতিষ্টায়  সফলতা  পাওয়া  যায়  না  বিধায়  আমরা  ক্ষুদ্রতর  গ্রাম  পর্যায়েও  যদি  কোরআন-সুন্নাহ  সম্মত  উপায়ে  জীবনযাপনের  চেষ্টা  না  করি  তবে  আল্লাহর  নিকট  আমরা  কি  অজুহাত  দেখাইব ?  ইহাই  হইল  মুসলিম  গ্রাম  প্রতিষ্টার  দর্শন ।  এবার  আপনাদেরকে  একটি  হাদীস  শোনাই ।  রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  বলিয়াছেন,  “কেউ  যদি  এমন  অবস্থায়  মৃত্যুবরণ  করে  যে  তাহার  ঘাড়ে  বাইয়াতের  রশি  ছিল  না,  তবে  তাহার  মৃত্যু  হইবে  জাহিলিয়াতের  ওপর (অন্ধকার  যুগে)” ।  ব্যাপারটা  এখন  আমাদের  বুঝে  আসিবে  না,  কিন্তু  আপনি  যখন  মৃত্যুবরণ  করিবেন  তখন  দেখিতে  পাইবেন  যে  আপনার  মৃত্যু  ইসলামের  ওপর  হয়  নাই ।  মুসলিম  গ্রামে  সকলে  সম্মিলীতভাবে  একজন  আমির  (নেতা)  নিযুক্ত  করিবেন  এবং  কোরআন-সুন্নাহ  সম্মত  তাহার  সকল  আদেশ-নির্দেশ  গ্রামের  সকলকে  মানিয়া  চলিতে  হইবে ।  গ্রামের  সকলকে  আমিরের  হাতে  আনুগত্যের  বাইয়াত (শপথ)  করিতে  হইবে ।  আল্লাহর  বিধান  হইল  মুসলমানগণ  আমিরের  হাতে  বাইয়াত  করিবে । আর  দাজ্জাল  এখন  তাহা  উল্টাইয়া  দিয়াছে ।  এখন  জনগণের  বদলে  বরং  মন্ত্রী,  এমপি  আর  বিচাপতিরা  নিজেরাই  জনগণের  কাছে  বাইয়াত  করেন ।  মুসলিম  গ্রাম  প্রতিষ্টার  প্রথম  পর্যায়ে  আমাদেরকে  ব্যাপক  প্রচারনা  চালাইতে  হইবে  সবাইকে  জানাইতে  হইবে  ইহার  উদ্দেশ্য,  কেননা  অনেকেই  ইহার  বিরুদ্ধে  অপপ্রচার  চালাইয়া  দানবীয়  রূপ  দেওয়ার  চেষ্টা  করিবে ।  আমরা  দাজ্জালের  তৈরী  বড়  বড়  শহরগুলি  হইতে  অনেক  দূরে  অবস্থিত  গ্রামগুলোতে  পরিপূর্ণভাবে  কোরআন-সুন্নাহ  বাস্তবায়নের  মাধ্যমে  ইসলামী  পরিবেশে  জীবনযাপন  করিতে  পারি ।  এজন্য  আমাদের  বিরুদ্ধে  কি  পুলিশ  আর  সেনাবাহিনী  দিয়া  অভিযান  চালাইবেন ?  ইহাই  কি  আপনাদের  গণতন্ত্র  ?  তেমন  পরিস্থিতিতে  আমরা  রাসুলুল্লাহর (সাঃ)  নির্দেশ  মতো  পাহাড়ে  আশ্রয়  নিব,  তবু  দাজ্জালের  তৈরী  এই  নাস্তিক  সমাজের  সাথে  আমরা  কোন  সম্পর্ক  রাখিব  না ।  তবে  পাহাড়ে  আমাদেরকে  বেশী  দিন  থাকিতে  হইবে  না,  কেননা  আল্লাহ  ওয়াদা  করিয়াছেন,  শীঘ্রই  তিনি  প্রত্যেকটি  শহর  নগরকে  ধ্বংস  করিবেন ।  ইনশায়াল্লাহ  তখন  আমরা  আবার  পাহাড়  থেকে  ফিরিয়া  আসিব ।    মহানবী (সাঃ) বলিয়াছেন,  “(আখেরী  জামানায়)  মানুষ  প্রকাশ্য  দিবালোকে  গাধার  ন্যায়  যৌনমিলনে  লিপ্ত  হইবে” । আমরা  তো  লক্ষণ  দেখিয়া  বুঝিতে  পারিতেছি  সেই  দিন  খুব  শীঘ্রই  আসিতেছে । আমরা  কি  সেই  দিনের  জন্য  বসিয়া  থাকিব  নাকি  এখনই  আমাদের  পরিবার  নিয়া  সেই  সমাজ  ত্যাগ  করিব ?  এখন  যদি  আপনি  একটি  সুপারমলে  যান  দেখিবেন  (নারীদের)  মাংস  মাংস  আর  মাংস  (প্রদর্শনী) ।  আর  কিছুদিন  পরে  যখন  একটি  সুপারমলে  যাইবেন  তখন  দেখিবেন  তাহারা  জাঙ্গিয়া  পরিয়া  হাঁটিতেছে ।  তাহারও  কিছুদিন  পরে  যখন  একটি  সুপারমলে  যাইবেন  তখন  দেখিবেন  তাহারা  সম্পূর্ণ  উলঙ্গ  হইয়া  হাঁটিতেছে ।  এই  পরিবেশে  আপনি  আপনার  সন্তানদেরকে  লালনপালন  করিতে  চান ?  আপনি  কি  আপনার  সন্তানদের  ভালোবাসেন  না ?আমাদের  মুসলিম  গ্রাম  কখনও  সুন্নী  গ্রাম  হইবে  না,  শিয়া  গ্রাম  হইবে  না,  দেওবন্দী  গ্রাম  হইবে  না,  বেরেলভি  গ্রাম  হইবে  না,  সালাফী  গ্রাম  হইবে  না ।  ইহা  হইল  কেবলই  মুসলিম  গ্রাম  এবং  গ্রামের  আমিরও  সুফি-সালাফি-দেওবন্দী-বেরেলভী  ইত্যাদি  কোন  গ্রুপের  সাথে  সংশ্লিষ্ট  হইবেন  না । সে  যাক,  প্রথমে  সাপ্তাহিক  ছুটির  দিনগুলিতে  আমরা  পরিবারের  সবাইকে  নিয়া  গ্রামে  বসবাস  করিয়া  তাহাদেরকে  মুসলিম  গ্রামে  বসবাসের  প্রতি  আকৃষ্ট  করিতে  হইবে । তারপর  সকলে  সম্মত  হইলে  স্থায়ীভাবে  শহর  ত্যাগ  করিয়া  মুসলিম  গ্রামে  চলিয়া  যাইতে  হইবে ।  মুসলিম  গ্রাম  আমরা  দুইভাবে  তৈরী  করিতে  পারি । আমাদের  আদর্শ  মুসলিম  ভিলেজে  লেনদেন  হইবে  মহানবী (সাঃ)  এবং  পূর্ববতী  সকল  নবীদের  সুন্নাহসম্মত  দিনার  ও  দিরহাম  অর্থাৎ  স্বর্নমুদ্রা  এবং  রৌপ্যমুদ্রার  বিনিময়ে ।  এখানে  প্রতারনামূলক  বিদয়াত  হারাম  শিরকযুক্ত  কাগজের  মুদ্রা  প্লাস্টিকের  মুদ্রা  ইলেকট্রনিক  মুদ্রা  ব্যবহৃত  হইবে  না …

ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে ইসলামের ভবিষ্যত

ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে ইসলামের ভবিষ্যত ইহা প্রকৃতপক্ষেই একটি বিস্ময়কর ব্যাপার যাহা আজকে আমরা আলোচনা করিতে বসিয়াছি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, কাশ্মিরে ইসলামের ভবিষ্যত । মুসলমানদের ভবিষ্যত নয়, পাকিস্তানীদের ভবিষ্যত নয়, বাংলাদেশীদের ভবিষ্যত নয় বরং এই অঞ্চলে ইসলামের ভবিষ্যত । এমন একটি সময়ে যখন পৃথিবীতে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা সংঘটিত হইতেছে । বর্তমানে খুবই অশুভ, দুর্ভাগ্যজনক, বিপদজনক …

‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’র ফজিলত

‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’-  অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি) এটি একটি দোয়া যা আমল করলে অসংখ্য সওয়াবের  কথা হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। এটি নিয়মিত পাঠ করলে জান্নাতের ধন ভাণ্ডার অর্জিত হয় বলে জানা যায়। আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম …

শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মুফতি ইবরাহিম সুলতান শবেবরাত শব্দ দুটি হাদিসে নেই। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবেবরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য …

যেসব পাপ নীরবে আমল নষ্ট করে

নেক আমল পরকালীন জীবনের মূলধন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের বড় মাধ্যম। তাই আখিরাতে শান্তি ও সফলতা লাভে বান্দার কবুলযোগ্য আমলের বিকল্প নেই। কিন্তু জীবন চলার পথে নিজের ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় এমন কিছু বদ আমল সংঘটিত হয়, যা খাঁটি ও কবুল হওয়া আমলগুলো নষ্ট করে দেয়। এখানে আমল বিনষ্টকারী সেই বদ আমলগুলো তুলে ধরা হলো— রিয়া বা …

বিস্ময়কর আজওয়া খেজুরের ইতিহাস

হযরত সালমান ফার্সীর(রা:) মালিক ছিল একজন ইয়াহুদী। হযরত সালমান ফার্সী যখন মুক্তি চাইল তখন ইয়াহুদী এই শর্তে তাকে মুক্তি দিতে চাইল যে, যদি তিনি নির্দিষ্ট কয়েক দিনের মধ্যে নগদ ৬০০ দিনার দেন এবং ত্রিশটি খেজুর গাছ রোপন করে আর খেজুর গাছে খেজুর ধরলে তবেই সে মুক্ত। আসলে ইহুদির মুক্তি দেবার ইচ্ছা ছিল না। কেননা সালমান …

করোনাভাইরাসের সময় নিরাপদে রোজা রাখবেন যেভাবে

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘লকডাউন’ চলার মধ্যেই মুসলিমদের জন্য ‘পবিত্র রমজান মাস’ শুরু হচ্ছে। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে জুড়ে কোটি কোটি মুসলিম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে রোজা পালন করে। কিন্তু যখন কোন মহামারি চলে তখন রোজা রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স-এর রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক একজন গবেষক …