শীতে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার ১৫ উপায়

Allergic-Rhinitis

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

ঠাণ্ডা লাগলে গলায় খুসখুস ভাব, নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ভার হয়ে থাকা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেবেই। সাধারণ সর্দি-কাশিতে এক সপ্তাহ পুরো অস্বস্তিতে থাকতে হয়। ওষুধপত্রে তেমন একটা কাজ হয় না। কারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার মতো কার্যকর ওষুধ খুব একটা নেই। ঠাণ্ডা কিংবা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে তিন ফুট দূরে থাকুন::

কাশি কিংবা সর্দি থেকে জীবাণুগুলো বাতাসে ভর করে ছোটে। যদি তার একটি আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়ে তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি আক্রান্ত হবেন কাশি কিংবা সর্দিতে।

বারবার আপনার হাত দু’টি ধুয়ে নিন:

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শে। অর্থাত্ একজন অসুস্থ ব্যক্তির ঠাণ্ডার জীবাণু নাক থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়। সে যখন কোনো বস্তু স্পর্শ করে তখন হাত থেকে জীবাণু সেই বস্তুতে লেগে যায়। ঠাণ্ডার জীবাণু জড়বস্তুতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

বদ্ধ জায়গায় সতর্ক থাকুন:

অফিসের ঘরগুলোতে বায়ু সঞ্চালণ দুর্বল থাকে বলে সেখান থেকে ঠাণ্ডার ভাইরাস গুলো মিলিয়ে যেতে পারে না। অল্প আর্দ্রতায় শ্লেষ্মাঝিল্লি শুকিয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে সেখানে ভাইরাস এসে জুড়ে বসে। তাই অফিসঘরে কিংবা বদ্ধ স্থানে ঠাণ্ডার ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো লবণ-পানির নেসাল সেপ্র ব্যবহার করা।

বেশি করে তরল পান করুন:

আপনি যদি বেশি করে তরল পান করেন, তাহলে শরীর থেকে জীবাণু দূরীভূত হবে

এবং শরীরে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তাও পূরণ হবে। এ সময় দৈনিক কমপক্ষে আট গ্লাস পানি, ফলের রস কিংবা অন্যান্য ক্যাফিনমুক্ত তরল খাওয়া উচিত।

নাক ও চোখ বেশি বেশি ঘষবেন না:
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি এক ঘণ্টায় তার নাখ ও চোখ অন্তত তিনবার স্পর্শ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি আপনার এ রকম করতেই হয় তাহলে দয়া করে আঙুলের মাথা দিয়ে চোখ ও নাক ঘষবেন না।

বিছানা ছেড়ে ব্যায়াম করুন:Dust-allergy

সপ্তাহে তিনবার মুক্ত বাতাসে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম, যেমন- হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা নাচা আপনার শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে।

আপনার রান্না ঘরের সামগ্রী জীবাণুমুক্ত রাখুন:

রান্নাঘরের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো স্পঞ্জ ও ডিশব্যাগ। এগুলো উষ্ণ ও ভেজা থাকে বলে এখানে ঠাণ্ডার জীবাণু বংশ বৃদ্ধি করে। এই জীবাণুকে দূর করার উত্কৃষ্ট উপায় হলো সপ্তাহে দু’তিনবার ডিশওয়াশার দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করা।

ভিটামিন ই ও সি খান:

এখন বিশ্বাস করা হয় যে, ভিটামিন ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু চর্বি ও তেল জাতীয় খাবারে এটা বেশি থাকে বলে যারা স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত তারা খাবার থেকে ভিটামিন ই খুব একটা বেশি পান না। তাই প্রতিদিন ১০০-২০০ আইইউ সমৃদ্ধ ভিটামিন ই ট্যাবলেট খেতে হবে।

অ্যালকোহল পরিহার করুন:

অনেকেই ভাবতে পারেন, অ্যালকোহল পান করলে ঠাণ্ডার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে শারীরিক অন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে। ফলে তা পরিহার করাই ভালো।

কাশিকে প্রশমিত করুন:influenza

কাশি হলে সেটাকে প্রশমিত করার চেষ্টা করুন। এর জন্য দু’ধরণের সিরাপ রয়েছে। কাশিকে (কফ) দমিয়ে রাখার জন্য আপনাকে খেতে হবে কফ সাপ্রেস্যান্ট আর কাশি বের করে দেয়ার জন্য কফ এক্সপেকটোর্বান্ট।

প্রতি রাতে চমত্কার ঘুম দিন:

চমৎকার একটি ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলোর ক্ষমতা বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ৮ ঘণ্টা চমত্কার ঘুমে জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

সঠিক ডি কনজেসট্যান্ট ব্যবহার করুন:

নাক বুজে গেলে ডি কনজেসট্যান্ট ড্রপ ও সেপ্র মুখে খাবার ওষুধের চেয়ে দ্রুত আপনার উপসর্গমুক্ত করবে। মুখে খাবার ওষুধ অনেক সময় হূত্স্পন্দনকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হূদরোগের রোগীরা তা খেতে পারেন না। তবে পরপর তিন দিনের বেশি এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

গলাব্যথার আরামদায়ক ব্যবস্থা খুঁজুন:ts

এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে গড়গড়া করলে বিস্ময় রকমের কাজ হয়- বলেছেন মিশিগান স্টেটের ডা. মুরে। তবে চা ও মধু ভালো কাজ করে। মেডিকেটেড লজেন্সে থাকে মেনথল, যা গলার অনুভূতি নাশ করে। প্রকৃতপক্ষে গলাব্যথার কোনো উপকার করে না। তাই গলা ব্যথার জন্য লবণ-পানির গড়গড়াই উত্কৃষ্ট।প্রাকৃতিক প্রতিষেধক ব্যবহার করুন তুলসিপাতা ট্যাবলেট কিংবা ক্যাপসুলের চেয়ে বেশি কার্যকর। প্রাকৃতিক এই প্রতিষেধককে ঠাণ্ডার সাথে লড়াই করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যদি অ্যালার্জি না হয়, তাহলে তুলসির রস খান। ঠাণ্ডা আপনাকে ছেড়ে যাবে।

স্বল্প চর্বিযুক্ত মুরগির স্যুপ খান:

যেকোনো গরম তরল উপসর্গ নিরসনে সাহায্য করে। তবে মুরগির স্যুপ ঠাণ্ডায় বিশেষভাবে স্বাচ্ছন্দ্যকর প্রতিক্রিয়া ফেলে- বলেছেন ডিউক ইউনিভার্সিটির ভাং গ্রাডিসন। এই স্যুপে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ।

===============================================

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *