মহিলাদের অপারেশনকে না বলুন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন

images (1)

অপারেশন কথাটি শুনলেই মনে আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ আর অ্যাংজাইটি শুরু হয়। হাসপাতাল-কিনিকে ভর্তি থাকা, ডাক্তার ঠিকমতো ওটিতে পৌঁছবেন কি না, অজ্ঞান হওয়ার পর জ্ঞান ফিরবে কি না, অপারেশনের পর সুস্থতা কতটা নিশ্চিত, কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে কি না এবং খরচের দুশ্চিন্তা তো আছেই। কিন্তু মিহিলাদের যেকোনো রোগের শুরুতে যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেয় তা হলে এ অপারেশানের দরকার হয় না।

সিজারিয়ান
প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে ব্যথা ওঠার ১৮ ঘণ্টা অতিক্রম হলে সিজার করা দরকার হতে পারে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পরবর্তী সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। যেকোনো কারণে মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হলে, প্রসবের রাস্তা ছোট থাকলে, গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে, প্রসব পথ আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ বন্ধ থাকলে, জরায়ুতে সঠিক স্থানে সন্তান না থাকলে, মায়ের একলামসিয়া বা প্রিএকলামসিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সিজারিয়ানের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

প্রসবের তারিখ ঘনিয়ে এলে ভরা পেটে খাবেন না। সহজ পাচ্য হালকা বলকারক খাবার এবং পানীয় অর্থাৎ লেবুর রস, দুধ, ডাবের পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাবেন। ভরা পেটে প্রসূতিকে অস্ত্রোপচারের জন্য অজ্ঞান করা বিপজ্জনক। কফি, চা ও শক্ত খাবার এ সময় নিষিদ্ধ।

হিস্টেরেক্টমি
হিস্টেরেক্টমি মানে জরায়ু বা ইউটেরাস বাদ দেয়া। ইউটেরাসে ফাইব্রয়েড, টিউমার, সিস্ট এমন নানা কারণেই ইউটেরাস বাদ দেয়ার প্রয়োজন হয়। হিস্টেরেক্টমির পর পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু নারীত্ব কমে না। তবে সন্তান ধারণ সম্ভব নয়। ওভারি বাদ দেয়া না হলে হরমোনের জোয়ার-ভাটা একই রকম থাকবে। মিলনের আনন্দ পূর্বাপর সমান থাকে।

রোগের লক্ষণ
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত ব্লিডিং, পেট ও কোমরে ব্যথা, রক্তে কট হওয়া, শারীরিক মেলামেশায় রক্ত পড়া, তলপেট ভারী লাগা, মূত্রত্যাগের সময় প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু নেমে আসা- এমন সব লক্ষণ থেকে বোঝা যায় ইউটেরাস বা ওভারিতে টিউমার-জনিত কোনো সমস্যা আছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে পরীক্ষা করার পর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনেকভাবেই এই অপারেশন করা যায়। সবচেয়ে বেশি করা হয় অ্যাবডমিনাল হিস্টেরেক্টমি, যা তলপেট কেটে করা হয়। সাধারণভাবে তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি আড়াআড়িভাবে কেটে নেয়া হয়। লম্বালম্বি কাটা প্রয়োজন হয় কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অথবা খুব বড় কোনো ফাইব্রয়েড বা ওভারিয়ান সিস্ট থাকলে। এ ছাড়া নিচপথে অপারেশন করা হয়। এ পদ্ধতিতে পেটের ওপর কাটার প্রয়োজন হয় না। প্রোলান্স থাকলে তাও একসাথে মেরামত করে দেয়া হয়। অপারেশনের পর চার সপ্তাহ ভারী কাজ না করা। চার সপ্তাহ শারীরিক মিলন বন্ধ রাখা। ড্রাইভিং না করা। রক্ত বের হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা। সমুদ্রে গোসল না করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন।

ওভারিতে সিস্ট
নানা কারণেই ওভারিতে সিস্ট হয়। ইদানীং অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে এ প্রবণতা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে দেখা যায়।
এর প্রধান কারণ শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, খেলাধুলা, দৌড়ঝাঁপ না করা, খাবার গ্রহণ ও হরমোনের গণ্ডগোলের ফলে ঋতুস্রাবে সমস্যা ও ওভারিতে সিস্ট হয়।

লক্ষণ
মোটা হয়ে যাওয়া। মুখে এবং শরীরে লোমের আধিক্য, মেজাজ খিটখিটে হওয়া।

 

ফাইব্রয়েড
ফাইব্রয়েড হলো নারীদেহের অত্যন্ত কমন এক ধরনের টিউমার। এই টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা ১ শতাংশেরও কম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপারেশন না করেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব। সন্তান নেয়ার আগে অপারেশন না করে শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই হবে। তবে সন্তান প্রসবের পর ফাইব্রয়েড সরিয়ে ফেলতে হবে। সিজারের সময় ফাইব্রয়েড অপসারণ করা হয়।
২৫ শতাংশ মহিলার দেহে ফাইব্রয়েড থাকতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের মধ্যে ফাইব্রয়েড আক্রান্তের হার বেশি।

চিকিৎসা

এ সব সমস্যা গুলোর জন্য হোমিওপ্যাথ অপারেশান ছাড়া একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *