মানসিক অস্থিরতা কমানোর ১৫ কৌশল

images (1)মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস :

১. অস্থিরতা দেখা দিলে প্রথমে ব্রিদিং রিলাক্সেশন করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। বুক ভরে ভেতরের সব খালি জায়গা বাতাসে ভরে ফেলুন। দমটা অল্পক্ষণ আটকে রাখুন। তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পরপর তিনবার করুন।

২. ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও গান শোনা, গল্পের বই পড়া, কবিতা পড়া, বাগানে সময় কাটানো—এমন ধরনের নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন। কাজগুলো মনটাকে অন্য দিকে সরিয়ে দিয়ে অস্থিরতা কাটাতে সাহায্য করবে।

৩. মনের অস্থিরতা কমাতে ফেলে আসা জীবনের কিছু ভালো স্মৃতি মনে করুন।

৪. অস্থিরতার বিষয়টিকে পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করুন।

৫. উল্টো দিক থেকে সংখ্যা গুনুন। যেমন ১০০, ৯৯, ৯৮ এভাবে।
৬. অনেক সময় যে কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করলে অস্থিরতা কমে যায়। তাই যাকে আপনি আস্থা মনে করেন এবং যার সঙ্গে শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তার সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করুন।

৭. মানসিক অস্থিরতা বোধ করার সঙ্গে সঙ্গে যদি সবার কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে, একা থেকে অস্থিরতার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকেন, তবে আপনার মানসিক অস্থিরতা না কমে বরং আরো বাড়বে। তাই এমন অবস্থায় যে পরিস্থিতিতে আছেন তা ত্যাগ করুন। উঠে গিয়ে মুখ-হাতে পানি দিন। ঘরে থাকলে ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির অন্যদের সঙ্গে সময় কাটান, অফিসে থাকলে ডেস্ক থেকে উঠে কলিগদের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ থাকলে বাসা থেকে বাইরে বেরিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন, সিনেমা দেখুন, নাটক দেখুন, পছন্দের খাবার খান, শপিং করুন।

. অনেক সময় কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে চিন্তাও আমাদের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তাই জরুরি ভিত্তিতে তখন সেই সমস্যাটা সমাধান করার প্রয়োজন দেখা দেয়। আর এমন পরিস্থিতিতে এটা করার জন্য প্রথমেই যে কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা খুঁজে বের করুন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। অস্থিরতার কারণগুলো থেকে যতটা পারা যায় দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

৯. অস্থিরতার পেছনে যে কারণগুলো কাজ করে, সব সময় তা দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।

১০. যদি অস্থিরতার সময় কোনো একটি চিন্তা বারবার ব্যক্তির মনে আসতে থাকে সে ক্ষেত্রে ঠিক করুন, সারা দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবেন। বাকি সময়গুলোতে নয়। এ বিষয়টা মেনে চলার চেষ্টা করুন।

১১. যদি কোনো ব্যক্তির কারণে বা ব্যক্তির আচরণে অস্থিরতা তৈরি হয়, তবে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বিষয়টা পরিষ্কার করুন।

১২. প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন, নিয়মিত হাঁটুন।

১৩. সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের অভ্যাস করুন, নেশাজাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।

১৪. সবার সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি নিজের জন্য আলাদা কিছু সময় বরাদ্দ রাখুন। সে সময় নিজের ভালোলাগার কাজটি করুন। যেমন : চোখ বন্ধ করে পছন্দের গানটি শুনুন, প্রিয় কবিতাটি পড়ুন।

১৫. ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে ভেবেও ব্যক্তি অনেক সময় মানসিক অস্থিরতায় ভোগে। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করুন এবং সেই অনুযায়ী অগ্রসর হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *