নিঃসন্তান দম্পতির চিকিৎসা

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

দুই বছর বা তার বেশি সময় কোনো ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বন্ধ্যত্ব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। প্রতি ১০০ দম্পতির মধ্যে ৮৪ জন প্রথম বছরে এবং ৯২ জন দ্বিতীয় বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করতে সমর্থ হন। তাই বলা যায়, প্রতি ১০০ দম্পতির মধ্যে ৮ জন বন্ধ্যত্বের শিকার হন।

চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় যে কারণে : এক বছর বা এর বেশি সময় কোনো ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলে ৬ মাস চেষ্টার পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

বন্ধ্যত্বের কারণ : বন্ধ্যত্ব বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর যে কোনো একজন বা উভয়ের েেত্র সমস্যা থাকতে পারে। গর্ভধারণের জন্য দরকার একটি সুস্থ ওভাম (ডিম), সবল বীর্য ও নর্মাল ইউটেরাস বা জরায়ু। এর যে কোনো একটির সমস্যা হলে গর্ভধারণে ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। প্রাথমিকভাবে বন্ধ্যত্বের কারণকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এগুলো হলো এনুভলেশন (ডিম্বাশয় থেকে ওভাম বা ডিম নিঃসরণ না হওয়া), জরায়ু বা ডিম্বনালির সমস্যা এবং পুরুষ সঙ্গীর সমস্যা।

ডিম্বস্ফুটন না হওয়ার কারণ : পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম; হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রায় নিঃসরণ; কিছু কিছু হরমোন, যেমন প্রলেক্টিন, থাইরয়েড হরমোন অথবা পিটুইটারি ঋঝঐ, খঐ হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রায় নিঃসরণ ওভুলেশন ব্যাহত করে; ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বা কম থাকা; প্রিম্যাচিউর ওভারিয়ান ফেইলিউর; অতিরিক্ত মানসিক চাপ; অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যানসার কিংবা কিডনি রোগ; কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি সাময়িক বা পুরোপুরিভাবে ওভারিকে অকার্যকর করে দিতে পারে; জরায়ু বা ডিম্বনালির সমস্যা; জরায়ুর টিউমার, যেমন এডিনোমায়োসিস, ফাইব্রয়েড বা পলিপ; পেলভিক ইনফামেটরি ডিজিজ (পিআইডি) অথবা যে কোনো ইনফেকশনের কারণে ডিম্বনালি বন্ধ হয়ে ওভাম এবং শুক্রাণু নিষিক্তকরণের পথ বন্ধ করে দিতে পারে; এন্ডোমেত্রিওসিস বন্ধ্যত্বের একটি পরিচিত কারণ। এ রোগের লণ মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তরণ, পেটে ব্যথা ইত্যাদি; ইনফেকশন বা এন্ডোমেত্রিওসিস জরায়ু এবং এর আশপাশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক অ্যানাটমি নষ্ট করে বন্ধ্যত্বের কারণ ঘটায়।

পুরুষদের বন্ধ্যত্বের কারণ : ৩০ ভাগ েেত্র পুরুষ সঙ্গীর সমস্যার কারণে বন্ধ্যত্ব্ হতে পারে। শুক্রাণু বা বীর্য যথেষ্ট গতিশীল না হলে বা অস্বাভাবিক গঠনগত কারণে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। কোনো কারণে শুক্রাণু তৈরি ব্যাহত হলে, যেমন জিনগত ত্রুটি, ভেরিকোসেলি, টেস্টিসের টিউমার বা ইনফেকশন অথবা কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত কারণে নরমাল শুক্রাণু তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। পুরুষ-নারী উভয়ের েেত্রই গর্ভধারণের হার বয়স বাড়ার সঙ্গে কমে যায়। ৩৫ বছরের পর থেকে নারীদের ওভুলেশনের হার কমতে থাকে। একই সঙ্গে শুক্রাণুর কার্যকারিতাও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমে। তাই এ চিকিৎসায় বিলম্ব হলে সাফল্যের হারও কমে যায়।

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উত্তম,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

 মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,কালীবাড়ী মোড়,চাঁদপুর

চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

চাঁদপুর
01711-943435 // ইমো-01919-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *