অ্যালার্জি কাদের বেশি হয়?

2015 - 1 (2)অ্যালার্জি কাদের বেশি হয়?

অ্যালার্জি একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হয়। এই সমস্যা কাদের বেশি হয় এবং এর চিকিৎসা কী

প্রশ্ন : অ্যালার্জি ব্যাপক একটি বিষয়। তবে মূলত অ্যালার্জি বলতে আমরা ত্বকের অ্যালার্জিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। একজন মানুষের ত্বকে অ্যালার্জি হয় কেন?

উত্তর : ত্বকে যেই অ্যালার্জি হয় একে সাধারণত বলি আর্টিকেরিয়া। শরীর চাক চাক হয়ে যায়, লাল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের হয়, লাল হয়ে যায়, চুলকায়- একে বলে এটোপিক ডার্মাটাইটিস। বড়দের অনেক সময় হয় কনট্রাক্ট ডার্মাটাইটিস। কোনো কোনো স্পর্শে অ্যালার্জি হয়- এগুলো হয় ত্বকে। নাকের মধ্যে যে অ্যালার্জি হয় নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, অনবরত হাঁচি, একে বলা হয়, অ্যালার্জি রাইনাইটিস।

আর ফুসফুসের মধ্যে যখন অ্যালার্জি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, কাশি হয়, রাতে ঘুমাতে পারে না। এই সবইঅ্যালার্জির বিভিন্ন রকম প্রকাশ।

প্রশ্ন : এই অ্যালার্জির কারণ কী? এটি হয় কেন?

উত্তর : আপনি ঠিকই বলেছেন, একটি পরিবারে হয়তো পাঁচটি ভাই আছে। একজন বা দুজনের অ্যালার্জি হবে আর তিনজনের হবে না। সাধারণত যাদের রক্তে আইজিইর পরিমাণ বেশি, তাদের সাধারণত অ্যালার্জি হয়।

কতগুলো সাবসট্যান্স থাকে যেগুলো অ্যালার্জির জন্য সহায়ক। সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জির জন্য সহায়ক হলো ধুলাবালি, বাড়ি ঘরের বিছানাপত্র। এসবের মধ্যে এক ধরনের পোকা থাকে। এই ধরনের পোকা একটি তোশকের মধ্যে প্রায় ২০ লাখের বেশি থাকে। একে হাউজ ডাস্ট মাইট বলে। তা ছাড়া ফুলের রেণু, ফাঙ্গাস, কোনো খাদ্য, পশু পাখির লোম- এগুলো থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। তবে একেকজনের একেকটি বিষয় থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

প্রশ্ন : তাহলে এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায় কী?images

উত্তর : আমাদের লেপ তোশক ব্যবহার করতেই হয়। আমি সবাইকে বলি, যে তোশকে আমরা ঘুমাই এগুলো মাঝে মাঝে রোদ্রে দেওয়া উচিত। বিশেষত বিছানার চাদরটি প্রতিদিন তো ধোয়া সম্ভব নয়, একে প্রতিদিন রোদে শুকাতে দেওয়া উচিত। আর বিদেশে বা বাংলাদেশেও এখন মাইটরোধী কাভার পাওয়া যায়। এই কভারগুলো যদি আমরা তোশকের ওপর দেই বা বালিশের ওপর দেই ভেতর থেকে মাইটটা আসবে না। এতে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।

আসলে সবারই একটি অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো উচিত। কার কিসে অ্যালার্জি। কারো মাইটে অ্যালার্জি হয়, কারো ফাঙ্গাল অ্যালার্জি হয়। আমাদের একটি সাধারণ ধারণা অ্যাজমা হয়েছে, গরুর মাংস, চিংড়ি , বোয়াল মাছ, গজার মাছ সব খাওয়া বাদ দিতে হবে। তবে এগুলো ঠিক নয়।  আমার ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি শতকরা ৯৮ শতাংশ রোগীরই গরুর মাংসে অ্যালার্জি হয় না। গরুর মাংস খেলেও যা, না খেলেও তা। তাই অ্যাজমা হয়েছে দেখে গরুর মাংস, চিংড়ি খাওয়া যাবে না, সেটি ঠিক নয়। প্রথমে একটি অ্যালার্জির পরীক্ষা করতে হবে। অ্যালার্জি পরীক্ষা করে যে এলার্জেন পাওয়া যায় সেটিকে শুধু এড়িয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন : অ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা আছে কি? ধরুন আমি পরিমিত খাব, তবে সবই খেতে চাই। আবার অ্যালার্জি মুক্তও থাকতে চাই। এটি সম্ভব কি না?

উত্তর : এটি সম্ভব। অ্যালার্জির টেস্ট দুইভাগে করা হয়। হাতের মধ্যে বিভিন্ন এলার্জেন  দিয়ে  পিক পিক করে টেস্ট করি। টেস্ট করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আমরা বলে দিতে পারি তার কিসে কিসে অ্যালার্জি।

তা ছাড়া স্পেসিফিক আইজি বলে একটি বিষয় আছে। শরীর থেকে রক্ত নিয়ে মেশিনের মধ্যে দিয়ে দেখি কিসে অ্যালার্জি আছে। এটা সাধারণত আমরা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করি। তার পিক নিতে ভয় পায় দেখে সাধারণত করে থাকি।

অ্যালার্জি টেস্ট করার পর উৎসটাকে যদি বাদ দিয়ে দেই, তাহলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম থাকে।

 

প্রশ্ন : অ্যালার্জির জন্য যেই পরীক্ষা করা দরকার এগুলো কী বাংলাদেশে সম্ভব?

উত্তর : সব পরীক্ষাই বাংলাদেশে সম্ভব। অনেকের ধারণা বাংলাদেশে অ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা নেই। সব চিকিৎসা বিদেশে রয়েছে। জানা দরকার, অ্যালার্জির কেন হচ্ছে সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা সম্ভব। আর সব ধরনের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই আছে। এজন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

প্রশ্ন : অ্যালার্জির সঙ্গে তাপমাত্রার সম্পর্ক কী? কারো দেখা যায়, ঠান্ডা বা গরমে অ্যালার্জি হচ্ছে, কারো বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অ্যালার্জি হচ্ছে। এই বিষয়টি কী?

উত্তর : ঠান্ডা-গরম হলে নাকের রিসেপটরগুলো ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে না। তখন নার্ভাস পদ্ধতির হরমোনের ভারসাম্য কমে গিয়ে এই সমস্যা হয়।

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

 মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,কালীবাড়ী মোড়,চাঁদপুর

চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

চাঁদপুর
01711-943435 //01670908547
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *