ত্বকের অ্যালার্জির কারণ ও তার প্রতিকার

14619874_1805301466378561_1741858403_n-300x159ত্বকের অ্যালার্জি সম্পর্কে সঠিক ধারণা কিন্তু আমাদের অনেকেরই নেই। অনেক কারণে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। তাই অ্যালার্জি সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। তারপর তার প্রতিকার করা উচিত।

ফুলের পরাগ, দূষিত বাতাস, ধোঁয়া, কাঁচা রঙের গন্ধ, চুনকাম, ঘরের ধুলো, পুরনো ফাইলের ধুলো দেহে অ্যালার্জিক বিক্রিয়া করে।
নোংরা,ভেজা পদার্থে ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়। আবার কোনো কোনো খাদ্য ছত্রাক দ্বারা দূষিত হয়ে থাকে। পনিরে,পাউরুটি এবং কেকে ছত্রাক মিশিয়ে তৈরি করা হয়। আলু, পেঁয়াজও ছত্রাক দ্বারা দূষিত হয়। এই ছত্রাক অ্যালার্জি সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ।

গরমে ঘাম হলে এবং ঘরের ধুলো অ্যালার্জির জন্য একটি অন্যতম কারণ। সে জন্য যারা অ্যালার্জিক সমস্যায় ভোগেন তারা ঘরের ধুলো সব সময় এড়িয়ে চলবেন। বিশেষ করে যখন ঘর ঝাড়ু দেবেন তখন সেখান থেকে দূরে সরে থাকতে হবে। ঘরের আসবাবপত্র যেমন- কম্বল, পর্দা, তোষক, বালিশ প্রভৃতিতে যে ধুলো জমে থাকে তা পরিষ্কার করার সময় দূরে সরে থাকতে হবে।

খাদ্যে প্রচুর অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। যেমন- দুধে অ্যালার্জি বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধে খুবই বেশি অ্যালার্জি হতে দেখা যায়। গরুর দুধে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গায়ে চুলকানি, হতে দেখা যায়। এছাড়া গম, ডিম, মাছে অ্যালার্জি হতে দেখা যায়। বাদাম, কলা, আপেল, আঙ্গুর, ব্যাঙের ছাতা, পেঁয়াজ, রসুন, চকোলেট, এমনকি ঠাণ্ডা পানীয় কোনো কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।

পতঙ্গের কামড়ে গায়ে চুলকানি, স্থানটি ফুলে যাওয়া এমনকি হাঁপানি পর্যন্তও হতে দেখা যায়। মশা, বেলেমাছি, মৌমাছি, বোলতা, ভীমরুল প্রভৃতি পতঙ্গের কামড়ে দেহে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।

রোমশ, পালকবিশিষ্ট জীবজন্তু যেমন- বিড়াল, কুকুর, অশ্ব প্রভৃতি গৃহপালিত পশু অনেক সময় অ্যালার্জি সৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

এছাড়া একটি চর্মরোগ আছে যাকে বলা হয় আর্টিকোরিয়া। এ ক্ষেত্রে ত্বক চাকা চাকা হয়। আর ফুলে উঠে চুলকাতে দেখা যায়। এটিও হলো অ্যালার্জির অন্যতম প্রকাশ। বেশির ভাগ লোকের জীবনেই কোনো না কোনো সময় এই রোগ হতে দেখা যায়। এই আর্টিকোরিয়া শরীরের কোনো অংশে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে অথবা সমস্ত শরীর ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে বিভিন্ন আকারের লালচে চাকা চাকা ফোলা দাগ হতে দেখা যায় এবং সেই সাথে থাকে প্রচণ্ড চুলকানি। খাদ্য অ্যালার্জি থেকেও এ রোগ হতে পারে। যেমন- বাদাম, ডাল, গোশত, ডিম ইত্যাদি।

এই অ্যালার্জির সৃষ্টি পোকা-মাকড় থেকেও হতে পারে ।

ওষুধে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেক ওষুধই অ্যালার্জি সৃষ্টির জন্য দায়ী। এর মধ্যে পেনিসিলিন আর এসপিরিন অন্যতম।

জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, পাঁচড়া, ফোঁড়া ইত্যাদির জন্য এই ওষুধ দুটো আমরা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খেয়ে থাকি। কিন্তু মনে রাখতে হবে এর থেকে গায়ে অ্যালার্জিজনিত চুলকানি তো হতেই পারে। এমন কি পেনিসিলি ব্যবহারের কারণে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। এছাড়া আরো অসংখ্য ওষুধ আছে যা খেয়ে গায়ে অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ কখনোই খাওয়া উচিত নয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *