হাতের অ্যাকজিমা ও চিকিৎসা

1449681287হাতে বিভিন্ন চর্মরোগ হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে হাতের অ্যাকজিমা অন্যতম। আমাদের দেশে নারীদের, বিশেষ করে গৃহবধূদের হাত প্রায়ই অ্যাকজিমায় আক্রান্ত হয়। এ জন্য রোগটি হাতের অ্যাকজিমা বা গৃহবধূ অ্যাকজিমা নামে পরিচিত।
যারা খুব পানি ঘাঁটেন, অনবরত সাবান বা সোডাজাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে আসেন সাধারণত ওই গৃহবধূদের এ রোগ হয়ে থাকে। শুরুতে আঙুলগুলো লাল ও শুকনো হয়ে ফেটে যায়, হাতের চামড়ায় ফোস্কা পড়ে। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আঙুলে আংটি থাকলে এর চারপাশে এ অ্যাকজিমা প্রকট হয়ে ওঠে। কারণ আংটি বরাবর একই স্থানে থাকে বলে পানি ও সাবান আংটির তলায় জমে ওঠে।
শুধু গৃহবধূ নন, যেসব পেশায় অনেকক্ষণ পানি ঘাঁটতে বা সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হয়, সেসব পেশার ব্যক্তিরা এ রোগের শিকার হন চিকিৎসক, মদ বিক্রেতা, ময়লা পরিষ্কারক, মাছ ও পানি বিক্রেতা।
খাবার-দাবার বা আনাজপত্র আদা, পেঁয়াজ, টমেটো, গাজর, ডুমুর, কুমড়া, বেগুন, পেঁপে ইত্যাদির অ্যালার্জি থেকেও নারীদের হাতে অ্যাকজিমা হতে পারে। খাবারে প্রোটিনজাতীয় অংশ প্রায়ই অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এর মধ্যে আছে আলু, গম, মাছ, বিশেষ করে খোলযুক্ত চিংড়ি, কাঁকড়া ইত্যাদি। এছাড়া গ্লাভসসহ প্লাস্টিকের পণ্য ও নিকেলজাতীয় ধাতবের সংস্পর্শে, ফাইলোডেনড্রেন, পার্থোনিয়াম ইত্যাদি গাছ বা প্যারাফিনাইল ডাই-অ্যামাইন রঙ (চুলের কলপে ব্যবহৃত হয়) থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট রাসায়নিক থেকেও প্রায়ই এ অ্যালার্জি দেখা দেয়।Rog
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা : টেস্টের মাধ্যমে এ অ্যালার্জির কারণ জানা যায়। সাবান বা সোডাজাতীয় পদার্থ থেকে অ্যালার্জি হয় না। এগুলো ত্বকে এক ধরনের ক্ষারীয় বিক্রিয়া সৃষ্টি করে মাত্র। স্বাভাবিক ত্বকে এ বিক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে। অনেক সময় আগে থেকে অন্য কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জির ওপর ওই ক্ষারীয় বিক্রিয়া ত্বকের প্রদাহ আরও বাড়িয়ে দেয়। বাজারে প্রচলিত জীবাণুনাশক সাবান থেকে (এগুলোয় হেক্সক্লোরেনেফেন থাকে) প্রায়ই অ্যালার্জি হয়। চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরামর্শ সবচেয়ে ভালো।
হাতের অ্যাকজিমা শীতকালে বাড়ে : হাতের অ্যাকজিমা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয়। কেননা যেসব কারণে এ রোগ হয়, তা থেকে দূরে থাকা রোগীর পক্ষে, বিশেষ করে জীবিকার কারণে প্রায়ই সম্ভব হয় না। তাই সুচিকিৎসায় এ রোগ দূর হলেও আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্রনিক অ্যাকজিমা সারাতে রোগীকে বেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হয়।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমু 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *