ছবিটি দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। উপরের পদ্ধতি ছাড়াও নিজেকে স্মার্ট করার আরো অনেক সহজ পদ্ধতি আছে।
নিজেকে স্মার্ট এবং বুদ্ধিদিপ্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় লুকায়িত আছে কিছু ভাল অভ্যাস এর মধ্যে, যা আপনার মননশীলতাকে নিয়ে যাবে অন্য এক স্তরে। আমরা সবাই চাই স্মৃতিশক্তি এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে। আপনি জানেন কি এটা কি করে সম্ভব? হ্যাঁ, উত্তরটা খুব সহজ। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো প্রত্যহিক জীবনে নিচের তিনটি অভ্যাসকে যোগ করুন এবং ফলাফল নিজেই টের পাবেন।
ঘুম পুরো শরীরের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থকর মস্তিষ্কের পূর্বশর্ত। যদি সৃজনশীল মন অথবা প্রখর স্মৃতিশক্তি পেতে চান, তবে রাতে একটি ভাল ঘুম দিন।
আমরা প্রায়শই শুনে থাকি ঘুম মানেই সময় নষ্ট করা। এজন্য কাজের চাপে দুই তিন ঘন্টার ঘুম বিসর্জন দেয়া আমাদের পক্ষে কোন ব্যপারই না। আপনি চারঘন্টা নাকি পাঁচঘন্টা ঘুমাবেন সেটা বড় কথা নয়, বরং এটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য কতটুকু ঘুম দরকার।
কেউ কেউ ৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে প্রশান্তিবোধ করে, আবার কারো ৯ ঘন্টা দরকার। তবে ৯ ঘন্টার বেশি কোনক্রমেই নয়। গবেষণায় দেখা গেছে ৬ ঘন্টার কম ঘুম বেশিরভাগ মানুষেরই শরীরের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। অর্থাৎ ৬-৯ ঘন্টার মধ্যেই ঘুম হওয়া উত্তম।
এখন প্রশ্ন হলো ঘুম কেন এতো প্রয়োজন? আসলে আমরা জানি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্রম ঠিক রাখতে ঘুম প্রয়োজন। বর্তমানে গবেষণায় এও উঠে এসেছে যে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের অনেক কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। বিষয়টি কিন্তু সাংঘাতিক!
সুষম খাদ্য আমাদের প্রয়োজন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনার ব্রেইনও সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে। আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার মানসিক শক্তি বিকশিত করার জন্য আপনি সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন? আপনার হয়তো সুঠাম-সুগঠিত দেহ থাকতে পারে, কিন্তু তারপরও আপনার ব্রেইনে পুষ্টির অভাব হতে পারে।
আপনি কি ব্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যথেষ্ট পরিমাণ পাচ্ছেন? বিভ্রান্ত হবার কিছু নেই, আমি জানতে চাচ্ছি আপনি কি সেইসব খাবার খাচ্ছেন যেগুলোতে ওমেগা-৩ আছে যেমন, কাঠ বাদাম, সয়াবিন, মাছের তেল ইত্যাদি।
সম্পৃক্ত ফ্যাট এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য যেমন, ফাস্ট ফুড, ভাঁজা-পোড়া ইত্যাদি বর্জন করুন। এইসব খাদ্য ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
নতুন নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করুন
নতুন কিছু শিখলে আপনার বুদ্ধি এবং স্মার্টনেস্ দুটোই বাড়ে। এটা শুধু আপনার জ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করেনা, এটা আপনার মানসিক শক্তিও বৃদ্ধি করে। আপনি যতো বেশি শিখবেন, আপনার মস্তিষ্কের চর্চাও ততো বেশি হবে এবং এর কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
আপনি কি শিখছেন তা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার যদি বই পড়তে ভাল না লাগে, তাহলে তা পড়ার দরকার নেই। আপনি বিভিন্ন নিবন্ধ পড়ে বা টিভি/ভিডিও দেখেও অনেক তথ্য পেতে পারেন। আপনি বাইরে ঘুরে বেড়াতে পারেন। অথবা কারো সাথে আলাপ করেও অনেক কিছু শিখতে পারেন। আসলে শেখার মাধ্যম অনেক এবং এটি সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে যে কিভাবে আপনি নিজের চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে শিখবেন।
ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।