যৌনবাহিত রোগব্যাধি ও সংক্রমণ

যৌনবাহিত রোগব্যাধি সমুহ কে সংক্ষেপে – Sexually transmitted diseases (STD) -, যৌনবাহিত সংক্রমণ – Sexually transmitted infections (STI ) , অথবা যৌনব্যাধি-সংক্রান্ত রোগ venereal diseases (VD ) বলা হয়ে থাকে, যার বেশীর ভাগ জীবাণু সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে অবৈধ এবং অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যৌনবাহিত রোগ ছড়ায় । এছাড়া রক্ত, বীর্য এবং যোনিপথের নির্গত তরলের মাধ্যমে এই জীবাণু সমুহ সংক্রামিত হয়ে থাকে ।
যখন কোন সুস্থ ব্যাক্তি উক্ত জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হয়ে থাকে তখন একে এসটিআই বলা হয় – যার মধ্যে বেশীর ভাগ রোগির প্রাথমিক অবস্থায় অল্প কিছু লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর এমনিতেই সেরে যায় ।
এমন কি কিছু কিছু জীবাণু আছে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। যদি ও আক্রান্ত ব্যাক্তিকে কে দেখতে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হয় কিন্তু তার থেকে যৌন মিলন বা অন্যান্য দৈহিক সম্পর্কের কারনে একজন সুস্থ ব্যাক্তির দেহে ট্রান্সমিটেড হয়ে থাকে, মহিলাদের বেলায় পরবর্তীতে তার গর্ভের সন্তান ও আক্রান্ত হয়ে থাকে বা গর্ভবতি না হলে অনেকের বন্ধা্ত্ব দেখা দিতে পারে । পুরুষের বেলায় যৌন অক্ষ্যমতা সহ তার সাথে সম্পরক যুক্ত অন্যান্য মারাত্মক অসুখের জন্ম দিয়ে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত খুবী যন্ত্রণা দায়ক মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন পথ থাকেনা ।

বিষয় টি এখানেই শেষ নয়- সেই সাথে উক্ত পরিবার ও তার সাথে সম্পর্ক যুক্ত সমাজের অনেকেই আক্রান্ত হওয়া এমন আশ্চর্যের কিছু নয় । সর্বশেষ তথ্যনুসারে এখন পর্যন্ত ৩১ এর অধিক ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং প্যারাসাইট সমুহের কারণে যৌনবাহিত রোগের সৃষ্টি করে এবং সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৮ মিলিয়ন নারীপুরুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন যার ৯৫% আক্রান্ত হয়ে থাকেন অবৈধ যৌন মিলনের ফলে !!!! ( BMJ )

যৌনবাহিত অসুখ সমুহের কারন বা কি কি জীবাণুর দ্বারা হয়ে থাকে ? ( ব্যাক্টোরিয়া জনিত যৌন ব্যাধি  )

s-01১- শ্যানক্রয়েড ঃ Chancroid (Haemophilus ducreyi)অসুখটি হিমোফাইলাস ডুকরে নামক ব্যাক্টোরিয়ার সংক্রামণে হয়ে থাকে এবং ইহা একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ জাতীয় অসুখ – এর প্রধান লক্ষণ , যৌনাঙ্গে খুব বেশি যন্ত্রণা দায়ক ঘায়ের সৃষ্টি করে । জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার একদিন থেকে দু’সপ্তাহ পর ছোট গোটা দেখা দেয়। একদিনের মধ্যে এটা ঘায়ে পরিণত হয় বা ক্ষতের সৃষ্টি করে – ক্ষতের আকার ৩ থেকে ৫০ মি.মি. (১/৮ ইঞ্চি থেকে দু’ইঞ্চি) হয়, ব্যথা পূর্ণ হয়। ক্ষতের কিনারাগুলো তীক্ষ্ণ এবং নিচের দিকে ডাবানো হয়। কিনারাগুলো অনিয়মিত বা এবড়ো থেবড়ো হয়। গোড়া ধূসর কিংবা হলুদাভ ধূসর পদার্থ দিয়ে আবৃত থাকে। আঘাত লাগলে কিংবা পর্দা তুলে ফেললে গোড়া থেকে সহজেই রক্তপাত হয়।
অসুখটি সবচেয়ে বেশি হয় পরশ্রী া পরপুরুষ কাতর ব্যাক্তিদের ( বহু-পুরুষে আসক্ত নারিদের সাথে সহবাস করলে ) বিশেষ করে যারা পতিতালয়ে গিয়ে থাকেন তাদের এবং এর মধ্যে খৎনা করানো পুরুষদের চেয়ে খৎনা না করানো পুরুষদের শ্যানক্রয়েড আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেশি।

s-01২- স্যালামাইডিয়া ঃ- Chlamydia (Chlamydia trachomatis)স্যালামাইডিয়া ব্যাকটেরিয়ার কারনে পুরুষদের ক্ষেত্রে “অনির্দিষ্ট যৌনাঙ্গ-সংক্রমণ” হয়ে থাকে এবং এর মধ্যে বেশীর ভাগ সিসটাইটিস (মূত্রথলিতে জ্বালাপোড়া) দেখা দিয়ে থাকে যা সহবাস ছাড়াও এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত হতে পারে – তবে ৯০% সহবাস জনিত কারনেই হয়ে থাকে –
পুরুষ মহিলা উভয়ের ই মুত্রনালী, মলদ্বার এবং চোখে এই রোগ সংক্রামিত হতে পারে- এবং সংক্রামিত হওয়ার ৩/৪ সপ্তাহের ভিতর অসুখটির লক্ষণ সমুহ দেখা দিয়ে থাকে বা অনেকের বেলায় লক্ষনগুলি অনেকদিন পর প্রকাশ পেতে পারে ।
মহিলাদের ( ব্যথা যুক্ত প্রস্রাব, অস্বাভাবিক স্রাব, উদর বা দুধের বোটাতে ব্যথা, যৌনমিলনের সময় বা পরে রক্তপাত যা মাসিকের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয় এবং অবশেষ অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে — ইত্যাদি )
পুরুষদের ( ব্যথা ও যন্ত্রনা যুক্ত প্রস্রাব, লিঙ্গ থেকে সাদা মেঘলা বা স্বাদহীন স্রাব বাহির হতে থাকে এবং একি সাথে অণ্ডকোষে ব্যথা দেখা দিয়ে থাকে – অসুহটির লক্ষণ দেখা দেওয়ার ৭/৯ দিনের ভিতর অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে — ইত্যাদি )

s-01৩-গনোরিয়াঃ Gonorrhea (Neisseria gonorrhea)গনোরিয়া ও একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত যৌন সংক্রমণ রোগ । যৌন বাহিত এই রোগটি নাইসেরিয়া গনোরি নামক একপ্রকার ব্যকটেরিয়ার সঙ্ক্রামনে হয়ে থাকে যা যোনিপথে, পায়ুপথে বা মৌখিক (কারো যৌনাঙ্গ চুম্বন, লেহন বা চোষা) যৌনকর্মের মাধ্যমে সংক্রামিত হতে দেখা যায় ।
গন কোক্কাই নাইসেরি জীবাণু সংক্রামিত পুরুষ বা মহিলার সাথে মিলনের ৮-১০ দিন পর এই রোগের লক্ষন গুলো দৃষ্টিগোচর হয় । ( মহিলাদের বেলায় জীবাণু সমুহ দীর্ঘ দিন সুপ্ত অবস্থায় লুকায়িত থাকে ) পুরুষের যৌনাংগ দিয়ে পুজ (Pus) বের হওয়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া এই রোগের প্রধান উপসর্গ। মহিলাদের যোনিপথ, মূত্রনালী ও গুহ্যদারে ( সমকামীদের ) এই রোগ হয়। যদিও অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই রোগটি কোনো লক্ষন প্রকাশ করেনা তবে প্রসাবে জ্বালাপোড়া, যোনিপথে স্রাব আসা (Vaginal discharge) ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে ।

৪- গ্রেনুলোমা ইঙ্গুইনালি ( Granuloma inguinale ) ইহা ও একটি যৌন সক্রামিত রোগ যা ক্লি-ব্যাসিলা গ্রেনিলোমাইটিস নামক s-01ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা সংক্রামিত হয়ে থাকে । দক্ষিণ-পূর্ব ভারত এবং নিউ গিনিতে বেশি দেখা যায় । এই জীবাণুটি যোনি বা এনাল সেক্সের মাধ্যমে সুস্থ ব্যাক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়লেও ওরাল সেক্সে তা ছড়ায়না তবে বেশীর ভাগ এ্যানাল সেক্সেই তা ছড়ায় এবং মহিলাদের চাইতে পুরুষরাই দ্বিগুণ আক্রান্ত হয়ে থাকেন । রোগের লক্ষণ সমুহ জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ১ থেকে ১২ সপ্তাহের ভিতর দেখা দেয় , প্রথমে পায়ুপথ এবং লিঙ্গ বা যোনির আশে পাশে লাল ফুস্কুড়ি দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে স্থায়ী ভাবেই উক্ত এরিয়ার টিস্যু সমুহকে ধংস করে দেয় যা ক্রমশ সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে ( কোমর এবং পায়ে ) একি সাথে চর্মের রঙের পরিবর্তন করতে থাকে । সেই সাথে বমি বমি ভাব , বুকের তীক্ষ্ণ ব্যথা , কুঁচকিতে ব্যথা ,যোনীপথে ব্যথা ,যোনিদ্বারে ক্ষত, যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়া, হাঁটুতে শক্ত পিণ্ড দেখা দেওয়া, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক বৃদ্ধি কব্জিতে দুর্বল অনুভব করা , কাঁধ ফুলে যাওয়া, ঘাড়ের মাংসেপশীতে টান বা খিঁচুনি ইত্যাদি লক্ষণ সমুহ দেখা দিয়ে থাকে ।

 

সিফিলিস ঃ Syphilis (Treponema pallidum)সিফিলিস একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত যৌনবাহিত সংক্রমণ। অন্যান্য এসটিআই এর s-01তুলনায় সিফিলিস সাধারণত কম হয়ে থাকে, কিন্তু বাংলাদেশে এর প্রাদুর্ভাব এখন ও একটু বেশী ।সিফিলিস কে বাংলায় ফিরিঙ্গি রোগ বা গর্মি রোগ বা উপদংশ বলা হয়ে থাকে । স্পিরোসেত ব্যাকটেরিয়া ট্রেপোনেমা পেলিডাম উপজাত পেলিডাম দ্বারা সৃষ্ট একটি যৌনবাহিত রোগ। জীবাণুটি যৌন মিলন, যৌনতা জাতীয় সংস্পর্শ; রক্ত পরিসঞ্চালন, চুম্বন,চামড়ার আঘাতপ্রাপ্তি এবং গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময় মায়ের কাছ থেকে ভ্রূণে সংক্রমিত হতে পারে (যাকে কনজেনিটাল সিফিলিস বলা হয়)।
অসুখ টি নয় থেকে নব্বই দিনএ পর পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ জীবাণু দেহে প্রবেশের পর রোগের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিতে এ রকম সময়ের প্রয়োজন হয়। সাধারণ ভাবে ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয় এবং অনেক সময় প্রাথমিক লক্ষণ ( যৌনাঙ্গে ক্ষত বা ঘা, হাতের তালু, পায়ের পাতার নিচে ফুস্কুড়ি এবং জ্বালা যন্ত্রণা ইত্যাদি ) দেখা দেওয়ার পর অনেক সময় সাধারণ চিকিৎসা অথবা এমনিতেই ভাল হয়ে গেছে মনে হলেও পূর্ণ চিকিৎসা না করালে তা আবার পুনারায় কয়েক বছর পর ও দেখা দিতে পারে ( রক্তে জীবাণুটি সুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকে ) এবং উক্ত ব্যাক্তি অন্য সুস্থ কারও সাথে যৌন মিলন , যৌনাঙ্গ চুম্বন, টোঠ চুম্বন , রক্ত দান ইত্যাদির মাধ্যমে সুস্থ ব্যাক্তির দেহে জীবাণু সংক্রামিত করে থাকে । বাংলাদেশ তথা ভারত বর্ষে এই অসুখটি অবৈধ এবং ভাসমান যৌনকর্মের মাধ্যমেই সংক্রামিত হয় বেশী । এর মধ্যে পরপুরুষ বা নারী তে আসক্তরাই বেশী ভুক্ত ভোগী হয়ে থাকেন — অসুখটির শেষ পরিনিতি হিসাবে স্নায়বিক অক্ষমতা ( ধ্বজভঙ্গ ) হৃৎপিণ্ডঘটিত ও যকৃতের অন্যান্য জটিল রোগ সৃষ্টি করে থাকে ।

ভাইরাস জনিত যৌন ব্যাধি সমুহ ( caused by viruses )   — জ্যানিটাল হারপিস Genital herpes (herpes simplex s-012virus)হারপিস এক ধরনের ডিএনএ ভাইরাস যা প্রধানত লালা এবং শরীরের অন্যান্য নিঃসৃত রসের মাধ্যমে দেহে সঞ্চালিত হয়ে সংক্রমণ সৃষ্টি করে থাকে। হারপিস ভাইরাস আট ধরনের হয়ে থাকে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস দুই ধরনের হয়ে থাকে। যৌনাঙ্গে হারপিস ভাইরাসজনিত সংক্রমণ যেটি হয়ে থাকে ইহা হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস এর কারণে হয়ে থাকে ( হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-২ বা জেনিটাল হারপিস ) । ২০ বছরের অধিক নারী পুরুষের ক্ষেত্রে এ সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
জেনিটাল হারপিসের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ বা মুখের পাশে এক বা একাধিক ফোস্কা দেখা দিতে পারে। ফোস্কা গুলো ফেটে ব্যথাযুক্ত ক্ষতস্থানের সৃষ্টি করে থাকে। তখন রোগীর শরীরে ব্যথা, জ্বর এবং গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।
যোনিপথে, পায়ুপথে অনিরাপদ যৌনমিলন বা অনিরাপদ মৌখিক যৌনকর্মের (কারো যৌনাঙ্গ চুম্বন, লেহন বা চোষা) মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনের কাছে হারপিস সংক্রামিত হয়। যৌনাঙ্গের খুব ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শেও (যখন ত্বকের স্পর্শে আসে) সংক্রামিত হতে পারে।
যৌনাঙ্গে হারপিস প্রথমবার প্রকাশের পর পুনরায় সক্রিয় হওয়ার আগে শরীরের ভেতর ভাইরাস কিছু সময় নিষ্ক্রিয় থাকে এবং পরবর্তী কয়েক মাসে মধ্যে আবারো হারপিসের প্রকাশ ঘটায়, একে “পুনঃ প্রকাশ বা পুনঃসংক্রমণ”ও বলা হয়ে থাকে । এই ধরণের পুনাক্রমনে শরীরের ইমুনিটি সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় বিধায় ক্যান্সার জাতীয় অসুখে ভোগার সম্বভনা থেকেই যায় ।

জেনিটাল ওয়ার্টস/জননেন্দ্রিয় আঁচিল :- Genital warts (human papillomavirus virus [HPV])

s-012এই ভাইরাস গুলো পুরুষ বা মহিলাদের জননেন্দ্রিয়ে ছোট ছোট মাংসপিন্ডের মত পিন্ড গজায়। হিউম্যন পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি/HPV) দ্বারা। এই ওয়ার্ট/আঁচিল জননেন্দ্রিয় বা শরীরের অন্য অংশেও হতে পারে। ভাইরাস গুলো শরীরের সংষ্পর্শে আসার ১ থেকে তিন মাসের ভিতর জননেন্দ্রিয়ে এই ওয়ার্ট/আঁচিল দেখা দেয় ।
এই মাংসপিন্ড মহিলাদের যোনী দ্বারে, অন্ডকোষ বা মলদ্বারে হতে পারে। এই মাংসপিন্ডগুলি আলাদা আলাদা ভাবে একটা একটা করে বা একসঙ্গে অনেকগুলি হতে পারে। সেগুলিতে সাধারনত কোন ব্যথা হয় না তবে চুলকানি হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য কোন লক্ষন দেখা যায় না এবং এই ওয়ার্টগুলি/আঁচিলগুলি চোখে দেখা কঠিন। যদি কোন মহিলার গর্ভাশয়ের সঙ্কীর্ন অংশে এই ওয়ার্ট/আঁচিল হয়ে থাকে, তাহলে এর ফলে অল্প স্বল্প রক্তপাত হতে পারে, অথবা রঙীন স্রাব বেরোতে পারে।
এ ছাড়া এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়া, ভালবা, পেরিনিয়াম, পেরিনিয়াল স্কিন, পুরুষের নিম্ন অঙ্গ ও টেস্টিকুলার এরিয়াতে দেখা দিতে পারে ।
বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত একশত এর বেশী ধরণের জেনিটাল ওয়ার্টস-এর আবিষ্কার করেছেন । এসবের বেশীরভাগ সেক্সুয়াল কন্ট্যাকটির-এর মাধ্যমে ছড়ায়। অর্থাৎ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে এ ভাইরাস অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে এবং পরে স্বামী আক্রান্ত হলে স্ত্রীর বা স্ত্রী আক্রান্ত হলে স্বামী আক্রান্ত হয়ে থাকেন ।

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস আক্রান্ত স্থানসমূহে কোন ধরণের উপসর্গ থাকেনা। তবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়াতে সংক্রমণ ঘটলে মাঝে মধ্যে চুলকানি থাকতে পারে। তবে ইন্টারনাল ওয়ার্টস হলে সাধারণত: কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়না। তবে আক্রান্ত স্থানের গ্রোথ বড় হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন: মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যথা, রক্ত ক্ষরণ এবং স্বামী-স্ত্রীর মিলনে ব্যথা অনুভূত হতে পারে এবং দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করলে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের আক্রান্ত স্থানগুলো ইনফেকশন হয়ে ফুলে যায়। তীব্র ব্যথা হয় এবং নানা জটিলতা তৈরী হতে পারে।

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না,কারন রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে অন্যথায় উপকার পাওয়া যাবে না।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 //01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *