দেশের ঔষধি ফলসমূহের মধ্যে হরিতকী হচ্ছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারত এর আদি জন্মভূমি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই মহামূল্যবান হরিতকীর ফুল চেনে না। চেনে না হরিতকী, জানে না এর গুণাগুণ। নানা ধরনের ঔষধি গুনে সমৃদ্ধ এই গাছ।
হরিতকী হচ্ছে সর্বরোগের ওষুধ। হরিতকী একটি তেতো গন্ধবিশিষ্ট একটি ওষধি। এতে রয়েছে প্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রকটোজ সার্কমিনিক এসিড, বিটা সাইটোস্টেরল।
এর নানা ধরনের গুনাগুন নিচে তুলে ধরা হলো-
♣১। হজম শক্তি বৃদ্ধি ও পেট ফাঁপায় খোসা চূর্ণ ৫-৬ গ্রাম সামান্য পরিমাণ বিটলবণসহ বা কালো লবণসহ খাবারের পরে দৈনিক তিন বার খান।
♣২। শিশুদের সর্দিতে হরিতকী চূর্ণ পিপুল চূর্ণ মধুর সাথে খাইয়ে দিন।
♣৩। শোথ রোগে ৫-৬ গ্রাম খোসা চূর্ণ ৫-৬ চামচ গুলঞ্চের রসসহ দিনে ৩-৪ বার খান।
♣৪। চোখের রোগে হরিতকী ছেঁচে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে।
♣৫। প্রতিদিন একটি করে হরিতকী প্রসূতি মা বা যে কেউ চুষে খেলে চুল সবসময় কৃষ্ণ থাকবে দাঁত পড়বে না এবং চোখে চশমা দিতে হবে না। অর্থাৎ চির যৌবন বহাল থাকবে।
♣৬। কোষ্ঠকাঠিন্যে ৫-৬ গ্রাম খোঁসা চূর্ণ সম পরিমাণ চিনি মিশিয়ে রাতে গরম পানিসহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
♣৭। হিক্কায় ৫ গ্রাম খোঁসা চূর্ণ গরম পানিসহ দিনে তিনবার খাবেন।
♣৮। কাঁচা হরিতকীর রস আয়ু, বল ও ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং বার্ধক্য নাশক।
♣৯। অর্শ রোগে হরিতকী চূর্ণ ৩-৫ গ্রাম ঘোলের সাথে একটু সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে খেলে আরোগ্য হবে।
♣১০। ত্রিফলা প্রস্তুত প্রণালী আমলকী, হরিতকী, বহেড়া= ৪ঃ১ঃ২ অনুপাতে চূর্ণ করে মধুর সাথে খেলে সকল রোগের জন্য ভালো।
সতর্কতা : প্রয়োজনের বেশি সেবন ক্ষতিকর। দুর্বল ব্যক্তির জন্য হরিতকী ব্যবহার করা উচিত নয়।