অ্যাথলেটস ফুটকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে টিনিয়া পেডিস। এটি হলো পায়ের আঙুলের ফাঁকে ছত্রাক সংক্রমণ, যার ফলে স্থানটি লাল হয় এবং চুলকায়। কখনো কখনো পায়ের সর্বত্র এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। রোগটি সম্পূর্ণ ছোঁয়াচে, যেকোনো জনাকীর্ণ স্থানে খালি পায়ে হাঁটলে যে কারো এটি হতে পারে।
অ্যাথলেটস ফুট নিরাময়ে পা এবং পায়ের আঙুুলগুলো সাধারণত সাবান ও পানি দিয়ে দৈনিক দুইবার পরিষ্কার করতে হবে, শুকাতে হবে ভালো করে এবং নিয়মিত মোজা পাল্টাতে হবে। অনেকে পায়ের আঙুুলের ফাঁকে দিনে দু-তিনবার মধু মাখেন। মধুতে বিদ্যমান এসিড ছত্রাক কোষগুলোর আর্দ্রতা শুষে নেয়। তবে বেশি জায়গাজুড়ে ছত্রাক আক্রান্ত হলে সেসব স্থানে মধু স্যাঁতস্যাঁতে উৎপাদনকারী ক্ষেত্র তৈরি করে। অ্যাথলেটস ফুটের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হলো- অ্যান্টি ফাংগাল বা ছত্রাকবিরোধী ওষুধ।
কিছু উপায় অবলম্বন করলে অ্যাথলেটস ফুট প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন-
♣• জনাকীর্ণ স্থানে গোসল করার সময় পায়ে রাবারের চটি, স্যান্ডেল কিংবা প্লাস্টিকের ব্যাগ পরে নিতে হবে। হোটেলের রুম, অ্যাথলেটিক লকার রুম, জনসাধারণের গোসলের স্থান, সুইমিংপুল এলাকা কিংবা অন্যান্য জনাকীর্ণ স্থানে কখনোই খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। কার্পেট বিছানো কিংবা সাধারণ মেঝের ওপর খালি পায়ে হাঁটা নিষেধ।
♣• দুই পায়ের পাশ, বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকগুলো সম্পূর্ণ শুকনো রাখতে হবে। পায়ে পানি লাগার সাথে সাথেই ভালো করে পা ও আঙুলের ফাঁকগুলো শুকাতে হবে। দিনে কমপক্ষে একবার কিংবা কোনো কাজে পা ঘেমে গেলে মোজা পাল্টাতে হবে। পা শুকনো রাখার জন্য খালি পায়ে থাকা অথবা মোজা ছাড়া খোলা স্যান্ডেল উত্তম ব্যবস্থা, এতে পায়ে ভালোভাবে বাতাস লাগতে পারে। মোজা পরলে অবশ্যই পাতলা সুতির মোজা ব্যবহার করবেন। কারণ এ ধরনের মোজার মধ্য দিয়ে পায়ে বাতাস পৌঁছতে পারে ও পায়ের ঘাম বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে পারে। দিনে দুইবার মোজা পাল্টালে ভালো হয়। পা শুকানোর পর পায়ের আঙুুলের ফাঁকে ট্যালকম পাউডার, বেকিং সোডা কিংবা ভেড়ার লোম প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যায়।
♣• পরপর দু’দিন একই জুতা কখনোই ব্যবহার করবেন না। একদিন পরপর জুতা বদলে পরলে পা বেশি সময় শুকনো থাকবে এবং পায়ের দুর্গন্ধ ও ছত্রাক প্রতিহত হবে। জুতা কেনার সময় প্লাস্টিক কিংবা সিনথেটিক জুতা না কিনে চামড়ার জুতা কিনে ব্যবহার করবেন। কারণ চামড়ার জুতাতে বাতাস প্রবেশ করে এবং শুকনো থাকে, যেটা প্লাস্টিক বা সিনথেটিক জুতাতে সম্ভব হয় না।
নিকটস্থ কোনো ভালো হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসা নিন * রোগ মুক্তি পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ, তার পরও যদি সমাধান না পান তা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল– dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
ফেসবুক পেইজে লাইক দিন https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall