বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বেশিরভাগ মহিলার একটি অভিন্ন সমস্যা হচ্ছে মা হতে না পারা। এজন্য তাদের চেষ্টা-তদবিরেরও কমতি হয় না। চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে তাবিজ-কবচ কোনো কিছুই বাদ দেন না তারা। ল্য একটাই। আর তা হচ্ছে মা হয়ে জীবন সার্থক করে তোলা। বিজ্ঞানীরাও বসে নেই। কেন মহিলারা মা হতে পারেন না তা নিয়ে তাদের গবেষণার অন্ত নেই। শেষ পর্যন্ত তারা খুঁজে পেয়েছেন মা হওয়ার েেত্র প্রধান সমস্যা রক্তের গ্রুপ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার পর এ তথ্য প্র্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আলবার্ট ইনস্টেন কলেজ অব মেডিসিন ইন নিউইয়র্ক এবং ইয়ার ইউনিভার্সিটির কয়েকজন বিজ্ঞানী এ কথা বলেছেন।
গবেষকরা বলেছেন, গভর্ধারণের ুদ্র রসগ্রন্থির (এফএসএইচ) হরমোনগুলো চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। এটি শুরু হয় ১৫ বছর বয়স থেকে এবং ৩৫ বছর পর্যন্ত তা সচল থাকে। ৩৫ বছর পর থেকে এর কার্যকারিতা ক্রমেই কমতে থাকে। পরে তা মেনাপোজ বা রজোনিবৃত্তি হয়ে শেষ হয়। অর্থাত্ গভর্ধারণ মতাকে কমিয়ে দেয়।
গবেষকরা আরও বলেন, রক্তের গ্রুপ ‘এ’ এবং ‘ও’ মহিলাদের ুদ্র রসগ্রন্থী উর্বরতা অনেকাংশে কম-বেশি হাওয়ায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা গর্ভধারণ মতায় বাধা সৃষ্টি করছে।
গবেষকরা বলেন, রক্তের গ্রুপ ‘ও’ হলে মহিলাদের রসগ্রন্থির উর্বরতা উচ্চ আকারে থাকে এবং রক্তের গ্রুপ ‘এ’ হলে রসগ্রন্থির উর্বরতা কমে যায় যা গভর্ধারণের জন্য বিপজ্জনক।
ড. অ্যাডওয়ার্ড নিজ্যাট বলেন, মহিলাদের গর্ভধারণের জন্য বয়স একটি প্রয়োজনীয় দিক। তিনি আরও বলেন, এফএসএইচ হরমোন একটি দিকনিদর্শন, যা একজন মহিলার ডিম্বাশয়ের গুণাগুণ ও পরিমাণকে বুঝতে সাহায্য করে।
ড. নিজ্যাট বলেন, যুক্তরাজ্যের ৪৪ ভাগ মানুষের রক্তের গ্রুপ হলো ‘ও’। তিনি এ প্রথমবারের মতো রক্তের গ্রুপ এবং রসগ্রন্থির উর্বরতা নিয়ে গবেষণা করছেন।
উল্লেখ্য, একজন মহিলার মা হওয়ার জন্য এ গবেষণাটি খুবই প্রয়োজনীয়। এভাবেই বিজ্ঞান যুগে যুগে আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসতে সাহায্য করে।